এবার সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক আরোগ্য সেতু অ্যাপ
নজরবন্দি ব্যুরোঃ দেশজুড়ে আরও দু-সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হল লকডাউনের সময় সীমা, চলবে ১৭ মে পর্যন্ত। লকডাউনের তৃতীয় পর্বে আরোগ্য সেতু অ্যাপটিকে বাধ্যতামূলক ভাবে ঘোষণা করলো কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের জন্য এই অ্যাপটিকে বাধ্যতামূলক করা হল। বিশেষ করে তাদের জন্য যারা জরুরি পরিসেবার সাথে যুক্ত থাকায় রোজ বাড়ির থেকে বেরোতে হচ্ছে। চলছে লকডাউনের তৃতীয় পর্ব কিন্তু গ্রিন জোনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সম্পুর্ন লকডাউন থাকবে রেড জোন এলাকা গুলি। আগামী সোমবার থেকে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা তাদের কাজ শুরু করবে ৩৩% কর্মী নিয়ে। আর বাকি কর্মীরা ঘরে বসেই অফিসে কাজ করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইঙ্গিত অনুযায়ী মারণ ভাইরাস দীর্ঘদিন থাকবে মানুষের মধ্যে। এতো তারাতাড়ি সমাজকে করোনা মুক্ত করা যাবে না বলে মনে করছে হু। তাই সামনের দিন গুলোতেও বজায় রাখতে হবে সামাজিক দুরত্ব। সেই কারণে লকডাউনের পরে আরোগ্য সেতু অ্যাপটিকে বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানান হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু লকডাউনের সময় সীমা ১৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায়, এবং এর মধ্যেই আগামী সোমবার থেকে কিছু সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলা হবে সেই কারণে মানুষের সুরক্ষার জন্য আগে থেকেই বাধ্যতামূলক করা হল আরোগ্য সেতু অ্যাপটি। শুধু চাকুরীজীবি দের জন্যই নয় যারা সংক্রমিত এলাকার মধ্যে বসবাস করে তাদেরও অ্যাপটি ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষনে প্রধানমন্ত্রী এই অ্যাপটির কথা বলেছিলেন। এই অ্যাপের বিশেষত্ব হল কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এর দ্বারা জানা যাবে আপনি কোন ঝুঁকি পুর্ন এলাকায় আছেন কি না। সম্প্রতি আপনি সংক্রমণে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন কি না। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিছিলেন অ্যাপটি ফোনে ডাউনলোড করার জন্য। আরোগ্য সেতু অ্যাপটির মাধ্যমে করোনার উপসর্গ এবং তা থেকে নিজেকে রক্ষা করার মত অনেক তথ্য আছে। এর দ্বারা ইতিমধ্যেই উপকৃত হচ্ছেন অনেক দেশবাসী। পরবর্তী সময়ে সুরক্ষিত থাকার জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। আগামী দিনে আলাদা করে ফোনে ডাউনলোড করার প্রয়োজন করা হবে না। আরোগ্য সেতু অ্যাপটি সমস্ত স্মার্ট ফোনে প্রি-ইনস্টল করা থাকবে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রস্তুতকারি সংস্থা MAIT জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই এই অ্যাপ প্রত্যেক ফোনে প্রি-ইনস্টল থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সংস্থার ১০০% কর্মচারী এই অ্যপটি ব্যবহার করছে তা নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব সংস্থারই। এবং সংক্রমিত এলাকার বাসিন্দারা অ্যাপটি ব্যবহার করছে কি না সেই দায়িত্ব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই