ভারত এবং চিন; দেখুন শক্তিতে কে কোথায় দাঁড়িয়ে, কি বলছে আন্তর্জাতিক রিপোর্ট! #SpecialArticle
নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভারত বনাম চিন লাদাখ বর্ডারে মুখোমুখি যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ। এক নজরে দেখে নিন কোন দেশ শক্তিতে কতটা এগিয়ে নিয়ন্ত্রন রেখায়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে সেন্টার ফর নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি নামের একটি গবেষণা সংস্থা দুই দেশের শক্তি নিয়ে সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল। বেলফার সেন্টার এবং সিএনএএস প্রকাশিত সমীক্ষায় নির্দিষ্ট করে বলা রয়েছে কোন দেশ শক্তিতে কতটা এগিয়ে এবং কোন ক্ষেত্রে কে এগিয়ে।
স্থলবাহিনী
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ডার এরিয়ায় চিনের মোকাবিলা করতে ভারত কমপক্ষে ২ লাখ ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন করতে সক্ষম। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের ৩৪ হাজার জওয়ান, রয়েছে টি-৭২ ব্রিগেডের ৩০০০ জওয়ান, মধ্যাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে রয়েছে ষষ্ঠ মাউন্টেন ডিভিশনের প্রায় ১৬ হাজার জওয়ান। পাশাপাশি রয়েছে অষ্টম মাউন্টেন ডিভিশন এবং তৃতীয় ইনফ্যান্ট্রির সেনা সহ পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে ৯টি মাউন্টেন ডিভিশনের প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার জওয়ান। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে রয়েছে অরুণাচলের ব্রহ্মস মিসাইল রেজিমেন্ট এবং টি-৭২ ব্রিগেডের ১৫০টি ট্যাঙ্ক। অন্যদিকে চিনের শিনচিয়াং মিলিটারি ডিসট্রিক্ট এবং তিব্বত মিলিটারি ডিসট্রিক্টে মোতায়েন রয়েছে বর্ডার ডেফেন্স রেজিমেন্টের প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার জওয়ান। সংখ্যার খুব বেশি তফাত না থাকলেও সিএনএএস মুখোমুখি যুদ্ধে এগিয়ে রেখেছে ভারতকেই।
বায়ুসেনা
সমীক্ষা বলছে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি চিনের থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেশি। তারপর সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস এবং সি-১৭ গ্লোবমাস্টারের মতো বিমান ভারতের হাতে আসায় প্রত্যন্ত এলাকায় সেনা বাহিনীর রসদ এবং লজিস্টিক সাপোর্ট পৌঁছতে অনেক সুবিধা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে রয়েছে ৭৫ টি ফাইটার জেট, ৬৮ টি গ্রাউণ্ড অ্যাটাক যুদ্ধবিমান এবং ৫ টি অ্যাডভান্স ল্যাণ্ডিং গ্রাউন্ড। মধ্যাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে রয়েছে ৯৪ টি ফাইটার জেট, ৩৪ টি গ্রাউণ্ড অ্যাটাক যুদ্ধবিমান এবং ১ টি অ্যাডভান্স ল্যাণ্ডিং গ্রাউন্ড। এবং পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডের অধীনে রয়েছে ১০১ টি ফাইটার জেট, এবং ৯ টি অ্যাডভান্স ল্যাণ্ডিং গ্রাউন্ড। যা তাঁরা ব্যবহার করতে পারে চিনের নিয়ন্ত্রণরেখায়। অন্যদিকে চিনের অধীনে এই বর্ডার সংলগ্ন এলাকার জন্যে রয়েছে ১৫৭ টি যুদ্ধবিমান, পাশাপাশি রয়েছে বোমা ফেলতে সক্ষম চালকহীন ৫২ টি বিমান এবং ড্রোন। এছাড়াও চিনের হাতে মোট ১৫টি ট্যাঙ্কার বিমান রয়েছে যা দিয়ে আকাশে বিমানে জ্বালানি ভরা সম্ভব, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে মনে কছেন সমীক্ষকরা। চিনের যুদ্ধবিমান জে-১০ এবং জে-১১ কে পাল্লা দিতে সক্ষম ভারতের মিরাজ-২০০০। কিন্তু ভারতের সুখোই-৩০ এমকেআই, চিনের যে কোন যুদ্ধবিমানের থেকে আধুনিক এবং শক্তিশালী।
নেভি(নৌবাহিনী)
ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে পরমাণু জ্বালানিতে চলা ২ টি সাবমেরিন সহ মোট ১৫ টি সাবমেরিন। আছে আইএনএস বিক্রমাদিত্য নামক ১ টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। ১০ টি ডেস্ট্রয়ার এবং ১৫টি ফিগ্রেট। নৌসেনার শক্তিতে ভারত বিশ্বের ৫ নম্বর পজিশনে রয়েছে। অন্যদিকে চিনের স্থান বিশ্বে দ্বিতীয়, তাঁদের হাতে রয়েছে পরমাণু জ্বালানিতে চলা ১১ টি সাবমেরিন সহ মোট ৬৮ টি সাবমেরিন। আছে ১ টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। ২৮ টি ডেস্ট্রয়ার এবং ৪৬ টি ফিগ্রেট।
পরমানু শক্তি ও ক্ষেপনাস্ত্র
এই বিষয়ে চিনের থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে ভারত। সমীক্ষা জানাচ্ছে ভারতের হাতে রয়েছে বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু সমীক্ষকদের দাবি, ক্ষেপনস্ত্র গুলির বেশির ভাগই পাকিস্তানমুখী। তবে ১০টি অগ্নি-৩ মিসাইল চিনের মূল ভূখণ্ডের যে কোনও অংশে আঘাত হানতে সক্ষম। পাশাপাশি আরও ৮টি অগ্নি-২ ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য চিন পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। অগ্নি ৫ মিশাইল দিয়েও চিনের যেকোন অংশ কে টার্গেট করতে পারে ভারত, এই মিশাইলের পাল্লা ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার। উল্লেখ্য সবকটি মিশাইলই বহন করতে পারে পরমানু বোমা। অন্যদিকে চিনের হাতে রয়েছে ১০৪ টি ক্ষেপনস্ত্র যা ভারতের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর হল ডংফেন ৫ মিশাইল, যার পাল্লা ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কিলোমিটার। অর্থাৎ চিন এই মিশাইল ব্যাবহার করে সোজা আমেরিকার হোয়াইট হাউসকেও টার্গেট করতে সক্ষম। সমীক্ষা জানাচ্ছে চিনের সবচেয়ে বড় শক্তি প্রায় ১ হাজার ৬০০ ক্রুজ এবং ব্যালাস্টিক মিসাইল।
স্থলবাহিনী
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ডার এরিয়ায় চিনের মোকাবিলা করতে ভারত কমপক্ষে ২ লাখ ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন করতে সক্ষম। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের ৩৪ হাজার জওয়ান, রয়েছে টি-৭২ ব্রিগেডের ৩০০০ জওয়ান, মধ্যাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে রয়েছে ষষ্ঠ মাউন্টেন ডিভিশনের প্রায় ১৬ হাজার জওয়ান। পাশাপাশি রয়েছে অষ্টম মাউন্টেন ডিভিশন এবং তৃতীয় ইনফ্যান্ট্রির সেনা সহ পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে ৯টি মাউন্টেন ডিভিশনের প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার জওয়ান। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে রয়েছে অরুণাচলের ব্রহ্মস মিসাইল রেজিমেন্ট এবং টি-৭২ ব্রিগেডের ১৫০টি ট্যাঙ্ক। অন্যদিকে চিনের শিনচিয়াং মিলিটারি ডিসট্রিক্ট এবং তিব্বত মিলিটারি ডিসট্রিক্টে মোতায়েন রয়েছে বর্ডার ডেফেন্স রেজিমেন্টের প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার জওয়ান। সংখ্যার খুব বেশি তফাত না থাকলেও সিএনএএস মুখোমুখি যুদ্ধে এগিয়ে রেখেছে ভারতকেই।
বায়ুসেনা
সমীক্ষা বলছে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি চিনের থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেশি। তারপর সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস এবং সি-১৭ গ্লোবমাস্টারের মতো বিমান ভারতের হাতে আসায় প্রত্যন্ত এলাকায় সেনা বাহিনীর রসদ এবং লজিস্টিক সাপোর্ট পৌঁছতে অনেক সুবিধা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে রয়েছে ৭৫ টি ফাইটার জেট, ৬৮ টি গ্রাউণ্ড অ্যাটাক যুদ্ধবিমান এবং ৫ টি অ্যাডভান্স ল্যাণ্ডিং গ্রাউন্ড। মধ্যাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে রয়েছে ৯৪ টি ফাইটার জেট, ৩৪ টি গ্রাউণ্ড অ্যাটাক যুদ্ধবিমান এবং ১ টি অ্যাডভান্স ল্যাণ্ডিং গ্রাউন্ড। এবং পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডের অধীনে রয়েছে ১০১ টি ফাইটার জেট, এবং ৯ টি অ্যাডভান্স ল্যাণ্ডিং গ্রাউন্ড। যা তাঁরা ব্যবহার করতে পারে চিনের নিয়ন্ত্রণরেখায়। অন্যদিকে চিনের অধীনে এই বর্ডার সংলগ্ন এলাকার জন্যে রয়েছে ১৫৭ টি যুদ্ধবিমান, পাশাপাশি রয়েছে বোমা ফেলতে সক্ষম চালকহীন ৫২ টি বিমান এবং ড্রোন। এছাড়াও চিনের হাতে মোট ১৫টি ট্যাঙ্কার বিমান রয়েছে যা দিয়ে আকাশে বিমানে জ্বালানি ভরা সম্ভব, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে মনে কছেন সমীক্ষকরা। চিনের যুদ্ধবিমান জে-১০ এবং জে-১১ কে পাল্লা দিতে সক্ষম ভারতের মিরাজ-২০০০। কিন্তু ভারতের সুখোই-৩০ এমকেআই, চিনের যে কোন যুদ্ধবিমানের থেকে আধুনিক এবং শক্তিশালী।
নেভি(নৌবাহিনী)
ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে পরমাণু জ্বালানিতে চলা ২ টি সাবমেরিন সহ মোট ১৫ টি সাবমেরিন। আছে আইএনএস বিক্রমাদিত্য নামক ১ টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। ১০ টি ডেস্ট্রয়ার এবং ১৫টি ফিগ্রেট। নৌসেনার শক্তিতে ভারত বিশ্বের ৫ নম্বর পজিশনে রয়েছে। অন্যদিকে চিনের স্থান বিশ্বে দ্বিতীয়, তাঁদের হাতে রয়েছে পরমাণু জ্বালানিতে চলা ১১ টি সাবমেরিন সহ মোট ৬৮ টি সাবমেরিন। আছে ১ টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। ২৮ টি ডেস্ট্রয়ার এবং ৪৬ টি ফিগ্রেট।
পরমানু শক্তি ও ক্ষেপনাস্ত্র
এই বিষয়ে চিনের থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে ভারত। সমীক্ষা জানাচ্ছে ভারতের হাতে রয়েছে বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু সমীক্ষকদের দাবি, ক্ষেপনস্ত্র গুলির বেশির ভাগই পাকিস্তানমুখী। তবে ১০টি অগ্নি-৩ মিসাইল চিনের মূল ভূখণ্ডের যে কোনও অংশে আঘাত হানতে সক্ষম। পাশাপাশি আরও ৮টি অগ্নি-২ ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য চিন পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। অগ্নি ৫ মিশাইল দিয়েও চিনের যেকোন অংশ কে টার্গেট করতে পারে ভারত, এই মিশাইলের পাল্লা ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার। উল্লেখ্য সবকটি মিশাইলই বহন করতে পারে পরমানু বোমা। অন্যদিকে চিনের হাতে রয়েছে ১০৪ টি ক্ষেপনস্ত্র যা ভারতের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর হল ডংফেন ৫ মিশাইল, যার পাল্লা ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কিলোমিটার। অর্থাৎ চিন এই মিশাইল ব্যাবহার করে সোজা আমেরিকার হোয়াইট হাউসকেও টার্গেট করতে সক্ষম। সমীক্ষা জানাচ্ছে চিনের সবচেয়ে বড় শক্তি প্রায় ১ হাজার ৬০০ ক্রুজ এবং ব্যালাস্টিক মিসাইল।
কোন মন্তব্য নেই