করোনা আবহে জনসেবার ১০০ দিন; সবার অগোচরে থেকেই নজর কাড়ল বাম ছাত্ররা।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ নাম থাকলে অহঙ্কার থাকে। তাই নামের পিছনে নয়, কাজের কাজ করে ১০০ দিন! অবিশ্বাস্য! মানুষের বিপদে টানা একশোদিন খাদ্য ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে ওরা, তবুও একফোঁটা ক্লান্তি নেই ছেলে গুলির চোখে মুখে। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই কোভিড -১৯ এর পরে দিনমজুর, অসহায় মানুষের পাশে কমিউনিটি কিচেন, বিনামূল্যে সবজি বাজারের মাধ্যমে জনসেবায় থাকছে অনেক সংগঠন। বাম রাজনীতির ছাত্ররা একটু বেশি নজরে পড়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক, এন জি ও বা এলাকার ক্লাব সংগঠন গুলি দারুন কাজ করছে।
দক্ষিণের কলিকাপুর স্টেশন সংলগ্ন এই ইমারজেন্সি সংগঠন সবার থেকে আলাদা। কারণ, না আছে রাজনৈতিক সংশ্রব না প্রতিষ্ঠিত ব্যানার। পরিচিত ক্রীড়া সাংবাদিক ও নাট্যকার সাইফ বলছিলেন "আমরা কোনো নাম ব্যানার বা কোনো ব্যক্তিত্বের প্রভাব চাইনি। আমি নিজেও খুবই নীরবে কাজ করেছি। সরবে কাজ করলে, অনেক অভাবী মানুষ মুখ ফুটে কিছু চাইতে পারবেনা, আমরা সেটা চাইনি।"
একটা সময়ে দৈনিক ৮০ পরিবারে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে এই নামহীন, কমিটিহীন, মিটিং বিহীন সংগঠন। রোজই অসংখ্য পরিবার আসছে, তারা তাকিয়ে আছে এদের দিকে। নিজেদের ভালো কাজ নিয়ে সাইফ বলছেন " মিটিং করে কী হবে, খালি কাজে বাঁধা আসবে। যেটা দরকার সেটা করো আগে, যেটা করছি সেটা ভালো কাজ নয়, এটা প্রয়োজনীয় কাজ। এখন মানুষের জন্যে কিছু না করলে কবে করবো, যে সব বন্ধুরা নানান ব্যাস্ততায় থেকে ক্যাম্পে অর্থ দান করে চালিয়ে গেল, এই ক্যাম্প তাদের। আমরা নিমিত্ত মাত্র। কিছু দায়িত্ব পালন করছি শুধু "? কালিকাপুরকে কেন্দ্র করে ৮-৯ টি গ্রাম রয়েছে। শহরকে সাপ্লাই করা ভিড়, সস্তার শ্রমিক দিনমজুর পরিবার, অসংখ্য সস্তার ভাড়া ঘর আর কালিকাপুর রেল বস্তি। কালিকাপুরের এই ' আপৎকালীন সংগঠন ' এর জন্যে এলাকার নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্যের অভাব ঘটেনি। মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার ছবি তোলা নেই, একবার ছাড়া কোনোবারই একাউন্ট নাম্বার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া নেই এমনকী সাংবাদিক হয়েও খবর করারও সম্পূর্ণ বিরোধী সাইফ শুধু অন্য এলাকার উদ্যোক্তাদের প্রেরণা দিতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বললেন।
অন্যতম সৈনিক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার চয়ন দাস দিন রাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। বলছিলেন " আমাদের এই ব্যবস্থাপনা একটা ইউনিক আইডিয়া। প্রথমে টাকাই ছিলনা, এলাকা থেকে আর কতটাই বা তুলবো, নিজেরাই বা কতটা দেব! চাহিদা অনেক। বন্ধুরা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছে, তাদেরকে বললাম এমন শিবির চালাচ্ছি, কিছু হেল্প করো। বন্ধুরা বিশ্বাস করে একাউন্টে অর্থ পাঠিয়েছে। আমেরিকায় থাকে এক দাদা দুবার অর্থ পাঠিয়েছে। মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। মানুষ ত্রাণ শিবির থেকে খুশি মনে ফিরছে। এটাই অনেক আনন্দের আমাদের কাছে "। কালিকাপুর স্টেশনের দুপারে দুটি ঠিকানা নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই বিলি হচ্ছে সব। নিজেরা পাইকারি বাজার করেছে, প্যাকিং করেছে, কিন্তু বিতরন কীভাবে হল! সেটাও এক দারুন পদ্ধতি। গোটা বাংলার কাছে উদাহরণ হওয়া উচিত। সমাজকর্মী আলতাপ বৈদ্য (চঞ্চল) বলছিলেন " মানুষের বাড়ি গেছি, কার কী হাঁড়ির অবস্থা কতদিন চলবে? সব জেনেছি। এছাড়া সঠিক মানুষের, বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। কার কী অভাব জেনেছি। মানুষ এসেছে আমাদের শিবিরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গেছে, এটা কঠিন কাজ তবে আমরা আনন্দের সঙ্গে করেছি। বিশেষত গরীব মানুষ যাদের রেশন কার্ড নেই, সরকারের লোকজন গুরুত্ব দেননি, তাদের কাছেই পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি।ট্রেনে করে মানুষ চামড়ার কাজে যায়, দিনমজুর বা অন্য কাজে যায়, সুতরাং ট্রেন যতদিন না চলবে আমাদের শিবিরের কাজ করে যেতে হবে "। একেকটি পরিবার ৭-৮ বারও খাদ্য দ্রব্য পেয়েছে বলে জানা গেল। ১৫০০ পরিবারের কাছে নিয়মিত পৌঁছে গেছে এই সত্যিকারের নামের নয়, কাজের পিছনে দৌড়ানো দলটি। নাম বা ব্যানারের ব্যাপ্তি আঞ্চলিক, কর্মের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। গোটা বাংলা জুড়ে এই ব্যবস্থা চালাতে পারলে ভালো লাগতো বলছেন নাম গোষ্ঠীহীন সংগঠনের উদ্যোগীরা। এলাকায় রাজনৈতিক ভাবে বা ব্যাক্তিগত ভাবে কয়েক জন মিলে ত্রাণের কাজ করেছে। কিন্তু তারা অল্প কিছু দিনের বেশি টানতে পারেনি।অথচ আজও রয়েছে এরা। এলাকার মানুষজন ও জানেননা কারা দিচ্ছে? কোথা থেকে দিচ্ছে। শুধু জানে ত্রাণ শিবির খোলা আছে। নিখিল দাস, সৈকত চ্যাটার্জি, বিন্দু চ্যাটার্জি, প্রসাদ মন্ডল, সাঞ্জারি বৈদ্য রা এখনও ক্লান্ত হননি। শুধু কালিকাপুর নয়, গোটা বাংলার রোল মডেল এই ত্রাণ শিবির। প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায়: চাল, আলু, পেঁয়াজ, ডাল, সোয়াবিন, সর্ষের তেল, বিস্কুট, সবজি(পটল, ঢেঁড়স, কুমড়ো ইত্যাদি), সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক।
একটা সময়ে দৈনিক ৮০ পরিবারে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে এই নামহীন, কমিটিহীন, মিটিং বিহীন সংগঠন। রোজই অসংখ্য পরিবার আসছে, তারা তাকিয়ে আছে এদের দিকে। নিজেদের ভালো কাজ নিয়ে সাইফ বলছেন " মিটিং করে কী হবে, খালি কাজে বাঁধা আসবে। যেটা দরকার সেটা করো আগে, যেটা করছি সেটা ভালো কাজ নয়, এটা প্রয়োজনীয় কাজ। এখন মানুষের জন্যে কিছু না করলে কবে করবো, যে সব বন্ধুরা নানান ব্যাস্ততায় থেকে ক্যাম্পে অর্থ দান করে চালিয়ে গেল, এই ক্যাম্প তাদের। আমরা নিমিত্ত মাত্র। কিছু দায়িত্ব পালন করছি শুধু "? কালিকাপুরকে কেন্দ্র করে ৮-৯ টি গ্রাম রয়েছে। শহরকে সাপ্লাই করা ভিড়, সস্তার শ্রমিক দিনমজুর পরিবার, অসংখ্য সস্তার ভাড়া ঘর আর কালিকাপুর রেল বস্তি। কালিকাপুরের এই ' আপৎকালীন সংগঠন ' এর জন্যে এলাকার নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্যের অভাব ঘটেনি। মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার ছবি তোলা নেই, একবার ছাড়া কোনোবারই একাউন্ট নাম্বার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া নেই এমনকী সাংবাদিক হয়েও খবর করারও সম্পূর্ণ বিরোধী সাইফ শুধু অন্য এলাকার উদ্যোক্তাদের প্রেরণা দিতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বললেন।
অন্যতম সৈনিক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার চয়ন দাস দিন রাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। বলছিলেন " আমাদের এই ব্যবস্থাপনা একটা ইউনিক আইডিয়া। প্রথমে টাকাই ছিলনা, এলাকা থেকে আর কতটাই বা তুলবো, নিজেরাই বা কতটা দেব! চাহিদা অনেক। বন্ধুরা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছে, তাদেরকে বললাম এমন শিবির চালাচ্ছি, কিছু হেল্প করো। বন্ধুরা বিশ্বাস করে একাউন্টে অর্থ পাঠিয়েছে। আমেরিকায় থাকে এক দাদা দুবার অর্থ পাঠিয়েছে। মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। মানুষ ত্রাণ শিবির থেকে খুশি মনে ফিরছে। এটাই অনেক আনন্দের আমাদের কাছে "। কালিকাপুর স্টেশনের দুপারে দুটি ঠিকানা নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই বিলি হচ্ছে সব। নিজেরা পাইকারি বাজার করেছে, প্যাকিং করেছে, কিন্তু বিতরন কীভাবে হল! সেটাও এক দারুন পদ্ধতি। গোটা বাংলার কাছে উদাহরণ হওয়া উচিত। সমাজকর্মী আলতাপ বৈদ্য (চঞ্চল) বলছিলেন " মানুষের বাড়ি গেছি, কার কী হাঁড়ির অবস্থা কতদিন চলবে? সব জেনেছি। এছাড়া সঠিক মানুষের, বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। কার কী অভাব জেনেছি। মানুষ এসেছে আমাদের শিবিরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গেছে, এটা কঠিন কাজ তবে আমরা আনন্দের সঙ্গে করেছি। বিশেষত গরীব মানুষ যাদের রেশন কার্ড নেই, সরকারের লোকজন গুরুত্ব দেননি, তাদের কাছেই পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি।ট্রেনে করে মানুষ চামড়ার কাজে যায়, দিনমজুর বা অন্য কাজে যায়, সুতরাং ট্রেন যতদিন না চলবে আমাদের শিবিরের কাজ করে যেতে হবে "। একেকটি পরিবার ৭-৮ বারও খাদ্য দ্রব্য পেয়েছে বলে জানা গেল। ১৫০০ পরিবারের কাছে নিয়মিত পৌঁছে গেছে এই সত্যিকারের নামের নয়, কাজের পিছনে দৌড়ানো দলটি। নাম বা ব্যানারের ব্যাপ্তি আঞ্চলিক, কর্মের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। গোটা বাংলা জুড়ে এই ব্যবস্থা চালাতে পারলে ভালো লাগতো বলছেন নাম গোষ্ঠীহীন সংগঠনের উদ্যোগীরা। এলাকায় রাজনৈতিক ভাবে বা ব্যাক্তিগত ভাবে কয়েক জন মিলে ত্রাণের কাজ করেছে। কিন্তু তারা অল্প কিছু দিনের বেশি টানতে পারেনি।অথচ আজও রয়েছে এরা। এলাকার মানুষজন ও জানেননা কারা দিচ্ছে? কোথা থেকে দিচ্ছে। শুধু জানে ত্রাণ শিবির খোলা আছে। নিখিল দাস, সৈকত চ্যাটার্জি, বিন্দু চ্যাটার্জি, প্রসাদ মন্ডল, সাঞ্জারি বৈদ্য রা এখনও ক্লান্ত হননি। শুধু কালিকাপুর নয়, গোটা বাংলার রোল মডেল এই ত্রাণ শিবির। প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায়: চাল, আলু, পেঁয়াজ, ডাল, সোয়াবিন, সর্ষের তেল, বিস্কুট, সবজি(পটল, ঢেঁড়স, কুমড়ো ইত্যাদি), সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক।
কোন মন্তব্য নেই