Header Ads

"আমাদের বাঁচান" কাতর আবেদন জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে অর্থ দিলেন এই শিক্ষকরা।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিশ্বজুড়ে করোনার দাপট চলছে, আমাদের দেশ তথা রাজ্যতেও ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। চলছে লকডাউন, আজই প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন বাড়তে পারে লকডাউনের সীমা। আর এই পরিস্থিতিতে সবথেকে খারাপ অবস্থায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন এবং কম বেতনের বা অস্থায়ী কর্মীরা।
সেইরকমই কার্যত অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন অসংখ্য আংশিক সময়ের শিক্ষক। সারা রাজ্যে এই শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার।
এই শিক্ষকদের নিয়োগ করে এবং বেতন দেয় স্কুল কমিটি; বেতন ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। এই পারিশ্রমিকে চাকরি আর বাড়িতে গৃহ শিক্ষকতা করা এই দুইয়ের সংমিশ্রনে সংসার চলে রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার পরিবারের। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনে গৃহ শিক্ষকতা এবং স্কুল থেকে পাওয়া সামান্য অর্থ দুটোই বন্ধ।
এই শিক্ষকদের সংগঠন আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন(SPTTA) পক্ষ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এক বার্তায় বলা হয়েছে "আমরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি এবং আধা সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে অতি সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বছরের পর বছর নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতা করে চলেছি।আমাদের কাজের কোনো স্থায়ীত্ব নেই। বর্তমানে বিশ্ব মহামারী করোনার জন্য সারা দেশে লক ডাউন চলছে। এখন আমরা করোনার জন্য গৃহ শিক্ষকতা করাও বন্ধ রেখেছি। এইরূপ পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
অতি কষ্টের মধ্য দিয়ে আমরা জীবন যাপন করছি। অতএব মহাশয়া আপনি যদি দয়াকরে এই বিশ্ব মহামারীর দুঃসময়ে আমাদের আপৎকালীন সাহায্য প্রদান করেন ও আমাদের স্থায়ীকরনের ব্যবস্থা করেন তাহলে আমরা চরম উপকৃত হব।" উল্লেখ্য, আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন(SPTTA) নিজেদের এই দূর্দশার কথা জানিয়েও নিজেরা চাঁদা তুলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে অর্থ প্রদান করেছেন রাজ্যের এই কঠিন দুঃসময়ে! সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "সরকার আমাদের আবেদনে সাড়া দেন নি। এই অসুবিধার মধ্যেও আমাদের সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ১৭ হাজার ৮০০ টাকা দান করেছে।"

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.