Header Ads

ফাঁস হয়ে গেল ভয়ানক তথ্য; রাজ্যের জেলায় জেলায় বিপুল আক্রান্ত! #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ নবান্নের যুক্তি মানল না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আর শুধু মানল না নয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে যে ১০ জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাতে কোন ভুল নেই। তিনি জানান, “আমরা বেশ কিছু বিষয় মাথায় রেখেছি। আজ হয়তো অনেক জায়গায় সংক্রমণের সংখ্যা কম, কিন্তু আগামী দিনে সেখানে যেন এমন না হয়, যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দেখতে হবে কোন জেলার জনঘনত্ব কত। কোন জেলায় কত পরিমাণে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে”।
পাশাপাশি "এমন যেন না হয়, তলায় তলায় সংক্রমণ ছড়াতে ছড়াতে সাংঘাতিক অবস্থা হয়ে যায়। যা নিয়ন্ত্রন করাই সম্ভব না হয়।" কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র সচিবের গলায় রাজ্যের জনগন কে নিয়ে ছিল যথেষ্ট উদ্বেগের সুর। 
অন্যদিকে রাজ্যে করোনা রাজ্যের দেওয়া করোনা বুলেটিনে গণ্ডগোল রয়েছে বলে একাধিকবার অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা। রাজ্য সরকার বুলেটিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা কখনই প্রকাশ করেনি এখন পর্যন্ত। কিন্তু কেন্দ্রকে দেওয়া জবাবি চিঠিতে অন্যরকম তথ্য দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ সচিব বিবেক কুমার।
সেই জবাবি চিঠিতে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান দিয়েছে রাজ্য যা যথেষ্ট উদ্বেগের।
সেখানে বলা হয়েছে কলকাতাতেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৮৯ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। হাওড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৬। উত্তর চব্বিশ পরগনায় ১২২ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৪ জন! এছাড়াও হুগলি ৩১, দক্ষিন ২৪ পরগনা ২৫ জন।  শুধু তাই নয় রাজ্যের স্বাস্থ সচিবের দেওয়া চিঠি অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩১! এদিকে গতকালই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১৬! অর্থাৎ বিপুল গ্যাপ।
রাজ্যের বুলেটিনে স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব সিনহার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত
৫৭২ জন চিকিৎসাধীন।
১৩৯ জন সুস্থ
৩৩ জন সরাসরি করোনা ভাইরাসের কারনে মৃত
৭২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর কারন অন্য।
 অর্থাৎ সর্বমোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮১৬ জন। 

অর্থাৎ একই দিনে কেন্দ্রকে দেওয়া স্বাস্থ সচিবের হিসবেই শুধু ১৫টি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যার পরিমান বেশি ১১৫টি কেস!
সবথেকে ভয়ানক ব্যাপার হল কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠিতে যে ৯৩১ টি করোনা আক্রান্তের বিষয়ে জানা যাচ্ছে তা শুধুমাত্র রেড আর অরেঞ্জ জোনের! অর্থাৎ ১৫টি জেলার পরিসংখ্যান। বাকি গ্রিন জোনের আক্রান্তদের কথা বলাই হয়নি।


No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.