Header Ads

"তবলিঘিরাই করোনা ছড়িয়েছে,ওদের শাস্তি দেওয়া উচিত!" যোগী আদিত্যনাথ

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভারতে লকডাউনের তৃতীয়বারের মেয়াদও ঘোষণা করেদিল কেন্দ্র সরকার। তবে টানা এতদিনের লকডাউনের পরও কোনভাবেই সংক্রমণ রোখা সম্ভব হচ্ছে না। হুহু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই আবহে আবারও বিস্ফোরক দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আমাদের দেশে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে তবলিঘি জামাতদের কারণে। এমনই মন্তব্য করলেন যোগী আদিত্যনাথ।
তাঁর কথায় দেশে প্রথম যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন মারাত্মক হারে করোনা সংক্রমিত হয় নি। কিন্তু তবলিঘি জামাতরাই করোনার বাহক হয়ে ভারতের প্রায় অধিকাংশ রাজ্যেই ভাইরাস ছড়য়েছে। সূত্রের খবর, আগেই করোনা সংক্রমণ নিয়ে তবলিঘি জমায়েতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন যোগী। উত্তরপ্রদেশ করোনায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় শনিবার ফের নতুন করে তবলিঘিদের একহাত নিলেন তিনি। কড়া ভাষায় তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেন, গোটা দেশবাসীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে তবলিঘিরা। তাদের এই কাজ নিন্দনীয়। তবলিঘি জমায়েতকারীরা ভাইরাস বয়ে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন না করে থাকলে আজ এই দিন দেখতে হত না।তবলিঘিরা মারাত্মক ভাবে সংক্রমণ না ছড়ালে ভারত লকডাউনের প্রথম দফাতেই পরিস্থিতি সামলে নিত বলে দাবি আদিত্যনাথের। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগী বলেন তবলিঘের জমায়েতকারীরা যে কাজ করেছে তা শাস্তি যোগ্য অপরাধা।
শুধু তাই নয় ওদের শাস্তি দেওয়া উচিত। তিনি আরও জানান তাঁর রাজ্যের কয়েক হাজার তবলিঘি সদস্য রয়েছে। তাদের মাধ্যমে রাজ্যের কত মানুষের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে তা কেউ জানে না। যোগী আরও বলেন কোন ব্যক্তিই ভাইরাসে আক্রান্ত হতেই পারেন কিন্তু তা লুকিয়ে রেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে সংক্রমণ ছড়ানো অপরাধ। প্রসঙ্গত, ১৮ই এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী মোট আক্রান্তের ২৯ শতাংশের তবলিঘি জামাত যোগ রয়েছে। এরপর ধিরে ধিরে গোটা দেশ জুড়েই সংক্রমণ বাড়তে থাকে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.