Header Ads

সোশ্যালে বিভ্রান্তিকর তথ্য; এপ্রিল মাসেই গ্রেফতার ১৩০ জন! সচিবদের কি হবে?

নজরবন্দি ব্যুরোঃ তথ্য বিভ্রান্তিতে ভুগছে পুরো রাজ্য; তথ্য বিভ্রান্তির মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র 'ডাইরেক্ট ডিসমিস' বা 'সাসপেন্ড' দাবি করেছেন রাজ্যের অন্যতম প্রধান দুই সচিবের। প্রসঙ্গত, গত ৩০শে এপ্রিল যেদিন রাজ্য সরকার শেষবার করোনা সংক্রান্ত বুলেটিন প্রকাশ করেছিল সেদিন ঘটেছে নিজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যের পক্ষ থেকে একদিকে যখন বুলেটিন প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা তখন একই দিনে কেন্দ্রকে জবাবি চিঠিতে রাজ্যের করোনা সংক্রান্ত তথ্য পাঠান স্বাস্থ সচিব বিবেক কুমার।
দুজনের তথ্যে বিরাট ব্যাবধান; কোনটি বিশ্বাস যোগ্য এবং কোনটি বিভ্রান্তিকর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ সচিবের তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত ৯৩১ এবং মুখ্যসচিবের বুলেটিন অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৮১৬! অর্থাৎ তথ্যের বৈষম্য। এই বিষয়েই দুই সচিবের অপসারণ দাবি করেছেন সোমেন মিত্র।
অন্যদিকে আজ রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর পোস্ট করার দায়ে ১৩০ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ২৮৩ জন কে সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্যপুলিশের পক্ষ তকে জনগনকে সতর্ক করা হয়েছে "পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গত এপ্রিল মাসে মিথ্যা ও আপত্তিজনক পোস্ট করার জন্য ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ২৮৩ জনকে সতর্ক করেছে। এমন বিষয়গুলি দয়া করে পোস্ট/ফরোয়ার্ড করবেন না যার সম্বন্ধে আপনার ব্যক্তিগতভাবে জানা নেই।"
প্রশ্ন উঠছে কেউ যদি মুখ্য সচিবের তথ্য অনুযায়ী পোস্ট করেন রাজ্যে করোনার মোট আক্রান্ত ৮১৬ আর একই দিনে অন্য কেউ যদি পোস্ট করে রাজ্যের মোট আক্রান্ত ৯৩১ তাহলে কোনটি সঠিক এবং কোনটি ফেক হিসেবে ধরা হবে? দায় কার!
উল্লেখ্য দিলিপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির যিনি সভাপতি এবং সাংসদ একটি ফেক পোস্ট করেছেন বলে জানিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। দিলিপ ঘোষ কে কি গ্রেফতার করা হয়ছে? যদি না হয় তাহলে কেন? আইন তো সবার জন্যেই সমান হওয়া উচিত।
নিচের ছবিটি রাজ্য পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছিল।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.