গুরুতর অভিযোগ সেলিমের; মৃতদেহ সৎকারের পর লালারস সংগ্রহ
নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে আমাদের রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। যদিও গতকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১২ জন। এই প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ নবান্নে জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি করোনা সংক্রান্ত অডিট কমিটি এ দিন তিন জনের নাম মৃতের তালিকায় যোগ করেছেন। মুখ্যসচিবের দাবি, ওই তিন জনই করোনায় মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে অডিট কমিটি।
রাজীব বাবু বলেন, "গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৯। মঙ্গলবার বিকেলে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৪। গতকাল সেই সংখ্যা ছিল ২৪৫ এর ঘরে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও করোনা রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন ৭৩ জন। তিনি জানান, যে ২৯ জন গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কলকাতা, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা। উত্তরবঙ্গে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। দেহ সৎকারের পর করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস নেওয়া হল কীভাবে ? সম্প্রতি মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে উঠে আসা একটি তথ্যকে নিয়ে এভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই(এম) নেতা মহম্মদ সেলিম। সেলিমের দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মানতে রাজি হয় নয় নবান্ন।
সেলিম দাবি করেন, ওই ব্যক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরদিন নেওয়া হয় লালারস। অভিযোগের পক্ষে তিনি কিছু প্রমাণও পেশ করেন। তবে, সেলিমের এই অভিযোগ মিথ্যে বলে জানানো হয় নবান্নের তরফে। নবান্নের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, মৃত্যুর আগেই ওই ব্যক্তির লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে থেকে সেই নমুনা এসএসকেএম হাসপাতালে এসে পৌঁছায় পরের দিন। যেহেতু হাসপাতালের তরফে পরদিন নমুনা গ্রহণ করা হয়েছে, তাই রিপোর্টে সেই তারিখ রয়েছে। এতে তথ্য গোপন করার কিছু নেই বলে জানায় নবান্ন।
রাজীব বাবু বলেন, "গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৯। মঙ্গলবার বিকেলে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৪। গতকাল সেই সংখ্যা ছিল ২৪৫ এর ঘরে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও করোনা রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন ৭৩ জন। তিনি জানান, যে ২৯ জন গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কলকাতা, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা। উত্তরবঙ্গে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। দেহ সৎকারের পর করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস নেওয়া হল কীভাবে ? সম্প্রতি মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে উঠে আসা একটি তথ্যকে নিয়ে এভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই(এম) নেতা মহম্মদ সেলিম। সেলিমের দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মানতে রাজি হয় নয় নবান্ন।
কোন মন্তব্য নেই