করোনা হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ করায় রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেন অর্জুন সিং
নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এমনকি প্রাণ তুলে দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হওয়ার পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন এই বিজেপি সংসদ। রাজ্যের করো না হাসপাতাল গুলির অব্যবস্থা, এমনকি রেশন নিয়ে দুর্নীতির ও তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাজ্য সরকার ঘোষণা করে করণা হাসপাতালে মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এরপরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। রাজ্যের এই নির্দেশ নামা মহামারী আইনের পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ। আর তারই ভিত্তিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় ২২ এপ্রিল। রাজ্যের তরফে জানানো হয় সংক্রমণ রুখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন আইসোলেশন ওয়ার্ড কিংবা যেখানে করো না রোগীরা ভর্তি থাকবেন সেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমণ অনেকখানি ছড়িয়ে যেতে পারে। রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স এমনকি রোগী সকলকেই নির্দিষ্ট জায়গায় মোবাইল ফোন জমা রেখে হাসপাতালে ঢুকতে হবে। ফোন জমা রাখার সময় তাঁদের নির্দিষ্ট একটি করে স্লিপ দেয়া হবে। ডিউটি শেষ করার পর হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় সেই স্লিপ দেখালে আবার ফোন ফেরত পাওয়া যাবে।
তবে হাসপাতালে থাকার সময় মোবাইল ফোন না থাকায় যাতে কারো সমস্যা না হয় সেদিকেও নজর রাখবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে নিছকই সংক্রমণ এড়াতে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে? রাজ্য বিজেপির দাবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের করো না হাসপাতাল গুলির অবস্থার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। রাজ্যের হাসপাতাল গুলির সেই অবস্থা যাতে জনসম্মুক্ষে চলে আসতে না পারে তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে রাজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে বিজেপির অভিযোগ। আর মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা মহামারী আইনের পরিপন্থী এই দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন ব্যারাকপুরের সংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। সূত্রের খবর আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় ২২ এপ্রিল। রাজ্যের তরফে জানানো হয় সংক্রমণ রুখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন আইসোলেশন ওয়ার্ড কিংবা যেখানে করো না রোগীরা ভর্তি থাকবেন সেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমণ অনেকখানি ছড়িয়ে যেতে পারে। রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স এমনকি রোগী সকলকেই নির্দিষ্ট জায়গায় মোবাইল ফোন জমা রেখে হাসপাতালে ঢুকতে হবে। ফোন জমা রাখার সময় তাঁদের নির্দিষ্ট একটি করে স্লিপ দেয়া হবে। ডিউটি শেষ করার পর হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় সেই স্লিপ দেখালে আবার ফোন ফেরত পাওয়া যাবে।
তবে হাসপাতালে থাকার সময় মোবাইল ফোন না থাকায় যাতে কারো সমস্যা না হয় সেদিকেও নজর রাখবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে নিছকই সংক্রমণ এড়াতে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে? রাজ্য বিজেপির দাবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের করো না হাসপাতাল গুলির অবস্থার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। রাজ্যের হাসপাতাল গুলির সেই অবস্থা যাতে জনসম্মুক্ষে চলে আসতে না পারে তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে রাজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে বিজেপির অভিযোগ। আর মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা মহামারী আইনের পরিপন্থী এই দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন ব্যারাকপুরের সংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। সূত্রের খবর আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।

No comments