দেশ সঙ্কটে পড়লে কি করতে হয়? মোদীর সাথে নিজের পার্থক্য বোঝালেন বিজয়ন। #Editorial
অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): গতকাল সমগ্র ভারতবর্ষ তাকিয়ে ছিল ঘড়ির দিকে, কখন রাত ৮টা বাজবে। কারন করোনা নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতবাসী আশা করেছিল সবার জন্যে মাস্ক আর স্যানিটাইজার যোগান দেবে ভারত সরকার, ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
যারা দিন আনে দিন খায়, একদিন কর্মহীন হলে যাদের খাওয়ার জোটেনা তাঁদের জন্যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। যে সমস্ত স্বাস্থ কর্মী, নার্স, ডাক্তার জীবনের ঝুকি নিয়ে চিকিৎসা করছেন তাঁদের জন্যে কিছু ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার প্রকোপে বিশ্বজুড়ে কাজ হারাতে চলেছেন বহু মানুষ, রেস ধরে ভারতেও কর্মহীন হবেন লক্ষাধিক তাঁদের কথা মাথায় রেখে কিছু বলবেন প্রধানমন্ত্রী।দলের উর্দ্ধে উঠে সতর্ক করবেন গোমুত্র না খেতে! দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করে জনগনের খাদ্য জোগানের ব্যাবস্থা করবেন।
না এইগুলোর কথা একবারও মুখে আনেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! ৩০ মিনিট বক্তব্যের শেষে ভারতবাসীর প্রাপ্য রবিবার কার্ফু আর হাততালি দিয়ে করোনা ভাগানোর পদ্ধতি জানতে পারা!
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী যখন জনতা কার্ফুর মাধ্যমে হাততালি দেওয়ার কথা বলছেন তখন দক্ষিনের একটি ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজ্যবাসীর জন্যে ঘোষণা করলেন কয়েকটি প্রকল্প! যেমন, করোনা-র প্রকোপে রাজ্যবাসী ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন তাই ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ! রাজ্যজুড়ে প্রত্যেককে ১ মাসের চাল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। ২০০০ কোটি টাকা লোন দেওয়া হবে যে সমস্ত অর্থিক ভাবে অনগ্রসর মানুষ করোনার প্রভাবে সংকটে পড়বেন তাঁদের।
রাজ্যের কাছাকাছি ৫০ লক্ষ মানুষ যারা বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষার ভাতা(যেমন বিধবা, বার্ধক্য ইত্যাদি...) পান তাঁদের একসাথে মার্চ আর এপ্রিল মাসের ভাতা দিয়ে দেওয়া হবে। যারা এইরকম ভাতা পাননা অথচ আর্থিক ভাবে দূর্বল তাঁদের প্রত্যেক কে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ এবং জলের বিল অতিরিক্ত ১ মাস পরে দেওয়া যাবে ফাইন লাগবে না! পুরোরাজ্য জুড়ে ১০০০ খাওয়ারের সরকারি স্টল, যেখানে মাত্র ২০টাকায় পেটভর্তি খাওয়ার(আমিষ, নিরামিষ সবই) পাওয়া যাবে।স্বাস্থ সুরক্ষার জন্যে বরাদ্দ ৫০০ কোটি! ভাবুন একবার। যে রাজ্য এগুলি ঘোষণা করল তাঁর নাম কেরল আর মুখ্যমন্ত্রীর নাম পিনারাই বিজয়ন! প্রশ্ন কি ওঠে না? আমাদের প্রাপ্য কি শুধুই হাততালি?
যারা দিন আনে দিন খায়, একদিন কর্মহীন হলে যাদের খাওয়ার জোটেনা তাঁদের জন্যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। যে সমস্ত স্বাস্থ কর্মী, নার্স, ডাক্তার জীবনের ঝুকি নিয়ে চিকিৎসা করছেন তাঁদের জন্যে কিছু ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার প্রকোপে বিশ্বজুড়ে কাজ হারাতে চলেছেন বহু মানুষ, রেস ধরে ভারতেও কর্মহীন হবেন লক্ষাধিক তাঁদের কথা মাথায় রেখে কিছু বলবেন প্রধানমন্ত্রী।দলের উর্দ্ধে উঠে সতর্ক করবেন গোমুত্র না খেতে! দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করে জনগনের খাদ্য জোগানের ব্যাবস্থা করবেন।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী যখন জনতা কার্ফুর মাধ্যমে হাততালি দেওয়ার কথা বলছেন তখন দক্ষিনের একটি ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজ্যবাসীর জন্যে ঘোষণা করলেন কয়েকটি প্রকল্প! যেমন, করোনা-র প্রকোপে রাজ্যবাসী ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন তাই ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ! রাজ্যজুড়ে প্রত্যেককে ১ মাসের চাল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। ২০০০ কোটি টাকা লোন দেওয়া হবে যে সমস্ত অর্থিক ভাবে অনগ্রসর মানুষ করোনার প্রভাবে সংকটে পড়বেন তাঁদের।
রাজ্যের কাছাকাছি ৫০ লক্ষ মানুষ যারা বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষার ভাতা(যেমন বিধবা, বার্ধক্য ইত্যাদি...) পান তাঁদের একসাথে মার্চ আর এপ্রিল মাসের ভাতা দিয়ে দেওয়া হবে। যারা এইরকম ভাতা পাননা অথচ আর্থিক ভাবে দূর্বল তাঁদের প্রত্যেক কে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ এবং জলের বিল অতিরিক্ত ১ মাস পরে দেওয়া যাবে ফাইন লাগবে না! পুরোরাজ্য জুড়ে ১০০০ খাওয়ারের সরকারি স্টল, যেখানে মাত্র ২০টাকায় পেটভর্তি খাওয়ার(আমিষ, নিরামিষ সবই) পাওয়া যাবে।স্বাস্থ সুরক্ষার জন্যে বরাদ্দ ৫০০ কোটি! ভাবুন একবার। যে রাজ্য এগুলি ঘোষণা করল তাঁর নাম কেরল আর মুখ্যমন্ত্রীর নাম পিনারাই বিজয়ন! প্রশ্ন কি ওঠে না? আমাদের প্রাপ্য কি শুধুই হাততালি?

No comments