তৃণমূল-বিজেপি কী সত্যিই পরস্পরের শত্রু? ভোটার হৃদয় জিততে কোন পথে বাম-কংগ্রেস! #SpecialArticle
নজরবন্দি ব্যুরোঃ কিছুদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিক্ষোভের আশঙ্কায় সড়কপথে সফরসূচিই রাখা হয়নি সেবার। জলপথ এবং আকাশপথেই সফর করেছেন তিনি৷যদিও আজ সড়কপথেই সফর করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷সরকারি কর্মসূচীর সঙ্গে পালন করছেন দলীয় কর্মসূচী৷কিন্তু প্রচারের সার্চলাইটটা কিন্তু কেড়ে নিলেন বাম কর্মী সমর্থকরা,অবশ্যই কংগ্রেসের কর্মীরাও৷
রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ন অথচ স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচী পালন করে তারা রাজ্যকে ইতিবাচক বার্তা দিতে সক্ষম হলেন তৃণমূল নয় আসলে বিজেপির জাত শত্রু বাম ও কংগ্রেস৷কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ যেমনই চড়েছে,তেমনই এক প্রস্ত টানটান বাগযুদ্ধ কিন্তু উপভোগ করছেন বাংলার মানুষ৷বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেই রেখেছিলেন‘গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের অধিকার সকলের আছে।
কিন্তু প্রত্যক্ষ ভাবে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিতে এলে তা ভেঙে চুরমার করে কী ভাবে এগোতে হয়, আমরা জানি! কোণঠাসা হয়ে যাওয়া বামেদের প্রচার পাওয়ার জন্য এ সব পদক্ষেপ!’’
হ্যাঁ বামেরা প্রচার পাওয়ার জন্য নিশ্চিতভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে৷এক ঢিলে দুই পাখি মারার লক্ষে তারাই কার্যত প্রচারের সার্চলাইট নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হল শান্তিপূর্ন অথচ স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভে৷কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই,অমিত শাহের কলকাতা সফরে নজিরবিহীন বিক্ষোভে বামেদের রাজনৈতিক লাভ মিলবে বিপুল ভাবেই৷প্রথমত তারা রাজ্যের বিজেপি বিরোধী মানুষদের কাছে বার্তা দিতে পারবে,মুখে যে যতই আস্ফালন করুক রাজ্যে আসল বিজেপি বিরোধী শক্তি বাম দলগুলি৷পাশাপাশি বামেদের ছেড়ে যাওয়া সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে৷বাম ছেড়ে রামে যাওয়া ভোটারদের কাছেও বার্তা যাবে৷
সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলকেও নিশানায় রেখে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র শনিবার বিধান ভবনে বলেছিলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে দেশটাকে ভাগ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন সব বিরোধী দল যখন শাহের ইস্তফা দাবি করেছেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবি করেন নি৷সন্দেহ নেই ঠিক জায়গায় টার্গেট করতে পেরেছেন তিনি৷প্রায় একই রকম কটাক্ষের সুরে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমও বলেছেন,অন্য কোনও দল অনুমতি না পেলেও শাহ মাইক বাজিয়ে সভা করতে পারবেন। তা হলে লোকসভা ভোটের আগে সভার অনুমতি নিয়ে রাজ্য প্রশাসন এত নাটক কেন করেছিল?তিনি না বললেও বেশীরভাগ বিজেপি বিরোধী মানুষই তৃণমূলের ঠিক এই দ্বিচারিতার দিকে আঙুল তুলছেন৷তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না,আদৌ কি তৃণমূল বিজেপির বিরোধী?আদৌ কি তৃণমূলের সামর্থ আছে রাজনৈতিক নীতি,আদর্শের জোরে বিজেপির মতাদর্শের রাজনীতির স্রোত কে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে বাংলায় বিজেপির উত্থান রুখে দেওয়ার! আসলে সবাই যে কথাটি বলতে চান,অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়ে বলতে চেয়েছেন তৃণমূলের দ্বিচারিতার কথা৷
ঐশী ঘোষ সভার অনুমতি পান না,ভোটের আগে অমিত শাহের সভা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের টালবাহনা,ভোট মিটতেই দলীয় কর্মসূচী পালনে অমিত শাহের সভার অনুমতি মিললেও অনুমতি পাননা বিজেপির চোখে চোখ রেখে লড়াই করা বাম নেত্রী ঐশী ঘোষ৷অর্থাৎ কোথাও যেন সত্যিই মনেপ্রানে বিজেপি বিরোধী মানুষগুলোর হৃদয়ে অবিশ্বাসের বাতাবরনের মেঘ তৈরি হচ্ছে৷তৃণমূলই বিজেপির বিরোধী,এই বার্তায় আর বিশ্বাস করছেন না বাংলার অনেক মানুষ৷হয়ত তৃণমূলের অন্য নিজস্ব অঙ্ক আছে৷তবে রাজনীতির কেমিস্ট্রিটা একটু আলাদা৷এখানে কিন্তু দুই প্লাস দুই সর্বদা চার না হয়ে ছয় হতে পারে৷আর সেইজন্য রাজনীতি সর্বদা সম্ভাবনার অনন্য শিল্প,এই আপ্তবাক্যকে মাথায় রেখেই ফের শাহ বিরোধী স্বতঃস্ফুর্ত বিক্ষোভে বাংলার বিপুল সংখ্যক মানুষের হৃদয় জিতলেন বাম কর্মীরা৷নিন্দুক বলেন মিলছে কোথায় এমন স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের সুফল!কেন ভোট কমছে বামেদের?শুধু এটুকু বলা যায় হারানো বিশ্বাস ফিরে পেতে সময় লাগে,তবে বিজেপি বিরোধী ভোটারদের হৃদয় জিততে একেবারেই সঠিক রাস্তায় হাঁটছে বাম-কংগ্রেস৷
রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ন অথচ স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচী পালন করে তারা রাজ্যকে ইতিবাচক বার্তা দিতে সক্ষম হলেন তৃণমূল নয় আসলে বিজেপির জাত শত্রু বাম ও কংগ্রেস৷কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ যেমনই চড়েছে,তেমনই এক প্রস্ত টানটান বাগযুদ্ধ কিন্তু উপভোগ করছেন বাংলার মানুষ৷বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেই রেখেছিলেন‘গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের অধিকার সকলের আছে।
কিন্তু প্রত্যক্ষ ভাবে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিতে এলে তা ভেঙে চুরমার করে কী ভাবে এগোতে হয়, আমরা জানি! কোণঠাসা হয়ে যাওয়া বামেদের প্রচার পাওয়ার জন্য এ সব পদক্ষেপ!’’
হ্যাঁ বামেরা প্রচার পাওয়ার জন্য নিশ্চিতভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে৷এক ঢিলে দুই পাখি মারার লক্ষে তারাই কার্যত প্রচারের সার্চলাইট নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হল শান্তিপূর্ন অথচ স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভে৷কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই,অমিত শাহের কলকাতা সফরে নজিরবিহীন বিক্ষোভে বামেদের রাজনৈতিক লাভ মিলবে বিপুল ভাবেই৷প্রথমত তারা রাজ্যের বিজেপি বিরোধী মানুষদের কাছে বার্তা দিতে পারবে,মুখে যে যতই আস্ফালন করুক রাজ্যে আসল বিজেপি বিরোধী শক্তি বাম দলগুলি৷পাশাপাশি বামেদের ছেড়ে যাওয়া সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে৷বাম ছেড়ে রামে যাওয়া ভোটারদের কাছেও বার্তা যাবে৷
সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলকেও নিশানায় রেখে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র শনিবার বিধান ভবনে বলেছিলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে দেশটাকে ভাগ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন সব বিরোধী দল যখন শাহের ইস্তফা দাবি করেছেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবি করেন নি৷সন্দেহ নেই ঠিক জায়গায় টার্গেট করতে পেরেছেন তিনি৷প্রায় একই রকম কটাক্ষের সুরে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমও বলেছেন,অন্য কোনও দল অনুমতি না পেলেও শাহ মাইক বাজিয়ে সভা করতে পারবেন। তা হলে লোকসভা ভোটের আগে সভার অনুমতি নিয়ে রাজ্য প্রশাসন এত নাটক কেন করেছিল?তিনি না বললেও বেশীরভাগ বিজেপি বিরোধী মানুষই তৃণমূলের ঠিক এই দ্বিচারিতার দিকে আঙুল তুলছেন৷তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না,আদৌ কি তৃণমূল বিজেপির বিরোধী?আদৌ কি তৃণমূলের সামর্থ আছে রাজনৈতিক নীতি,আদর্শের জোরে বিজেপির মতাদর্শের রাজনীতির স্রোত কে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে বাংলায় বিজেপির উত্থান রুখে দেওয়ার! আসলে সবাই যে কথাটি বলতে চান,অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়ে বলতে চেয়েছেন তৃণমূলের দ্বিচারিতার কথা৷

No comments