Header Ads

প্রান হাতে নিয়ে প্লেগ আর্তদের সেবা করেছিলেন বিবেকানন্দ; এখন করোনার ভয়ে বন্ধ বেলুড় মঠ।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ত্যাগ ও সেবার কথা বললে বাংলার বুকে এখনও উচ্চারিত হয় স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টেরেসার মত মহামানবদের নাম। আর্তের সেবায় নিজেদের জীবন চিরকাল উৎসর্গ করেছিলেন তাঁরা। কোন মানুষই জন্ম থেকেই মহামানব হন না। নিজেদের কাজের জোরেই মানুষ থেকে মানুষ থেকে মহামানব স্তরে উন্নীত হন। সালটা ১৮৯৮, প্লেগ মহামারী দেখা দিয়েছিল বাংলায়। মহানগরী কলকাতায় রীতিমত মড়ক লেগে গিয়েছিল।
সাধারণ অসহায় মানুষদের প্রাণ বাঁচাতে সব বাধা ও ভয়কে তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর সিস্যা ভোগিনী নিবেদিতা। প্রানের মায়া ত্যাগ করে স্বামীজির সঙ্গে সেবার কাজে নেমে পড়েছিলেন রামকৃষ্ণ মঠের সব সন্ন্যাসীরা। তাঁদের নিরলস পরিশ্রম ও সেবায় প্লেগ মহামারীর হাত থেকে প্রাণে বেঁচে ছিলেন শ'য়ে শ'য় মানুষ। সেই ইতিহাস কারো অজানা নয়। কিন্তু ২০২০তে দেখা দিল আরেক মহামারী করোনা। দেশ জাতির ভয়ংকর এই বিপদের দিনে অন্য ভূমিকায় রামকৃষ্ণ মিশন।
সম্প্রতি বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তরফে জানানো হয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে বন্ধ রাখা হচ্ছে বেলুড় মঠ। কারন? মঠের অন্যান্য সন্ন্যাসীদের আশঙ্কা ভক্তদের আগমনের জেরে সংঘের অধ্যক্ষ স্মরণানন্দ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন! এই পরিস্থিতিতে রামকৃষ্ণ মিশনের এহেন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজ্যের নেটিজেনরা। সন্ন্যাসী মানেই ত্যাগী, মৃত্যু ভয়কে পরোয়া করেন না তাঁরা। রামকৃষ্ণ মঠের প্রতিষ্ঠাতা একদিন নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে প্লেগ রোগের হাত থেকে শ'য়ে শ'য়ে মানুষকে বাঁচিয়ে ছিলেন সেই রামকৃষ্ণ মিশনই করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের কেন গুটিয়ে রাখছেন, তা ভাবতেই পারছেন না অনেকে।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.