Header Ads

শিলচরের বাঙালি অধ্যাপকের জামিনের আর্জি খারিজ

নজরবন্দি ব্যুরোঃ শিলচরের বাঙালি অধ্যাপক তথা প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনি সৌরদীপ সেনগুপ্তের জামিনের আর্জি খারিজ করেদিল আদালত। দুদিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাঁর জামিনের আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। জেলে অন্য ১৫ জন বন্দীর সঙ্গেই অধ্যাপককে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রয়োজনে তাঁকে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তোপ দেগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন অধ্যাপক। পরে এবিভিপির ছাত্রদের রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট ডিলিট করে দেয়ার পরেও মিলল না রেহাই। থানায় এবিভিপির এফআইআরের ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হল। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটল শিলচরের গুরুচরণ শিল কলেজে। কলেজের পদার্থবিদ্যার অতিথি অধ্যাপক সৌরদীপ সেনগুপ্ত। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী।দিল্লির হিংসা কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্র সরকার ও হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দেগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন।
আর যা নিয়ে লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। মূলত এবিভিপির রোষের মুখে পড়েন তিনি। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে পোস্ট ডিলিট করে দেন। সামাজিক মাধ্যমে ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে কলেজের এবিভিপি সমর্থকরা। এমনকি অধ্যাপকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অসমে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীরা। এহেন ঘটনায় কার্যত স্তম্ভিত সব মহলের মানুষ। সামাজিক মাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করায় অধ্যাপককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আবারও গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানল বলে মনে করছেন বাংলার পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর গ্রেফতারের খবর চাউর হতে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। চরম নিন্দনীয় ঘটনা বলে উল্লেখ করছেন শিক্ষাবিদরাও।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.