মুখ্যমন্ত্রী, প্রত্যেকটি বাড়িতে এবার থার্ন্মাল স্ক্যানিং করান; হয়ে উঠুন বাংলার গর্ব মমতা। #Editorial
অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): আপনাকে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রী, জানি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই সেই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যে অনেক কিছু করছেন এই করোনার আবহে কিন্তু আপনি বরাবরর মতই সবার থেকে আলাদা। আমার এই লেখা পড়ে অনেকে দাগিয়ে দেবেন আমি তৃনমূল ঘেঁষা হোয়ে গেছি। কিন্তু আমি জানি আপনি সেটা ভাববেন না, কত সমালোচনা করেছি আপনার, আপনার দলের তাঁর হিসেব নেই। বিভিন্ন ইস্যুতে যেমন মুণ্ডপাত করেছি তেমন অনেক ক্ষেত্রেও প্রশংসাও করেছি। ১১ বছর আগে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হননি তখন থেকেই আপনার একটা কথা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল, "কাউকে ভয় পাবি না; আমাকেও নয়। সব সময় সত্যের পথে হেঁটে সাংবাদিকতা করবি।" জানিনা আপনার আশেপাশের স্তাবকের দলকে আপনি কখনও সেই শিক্ষা দিয়েছেন কিনা বা তাঁরা নিয়েছে কিনা! জানতেও চাইনা। লড়াই করে গেছি আজও করছি, সত্যি বলতে কি আপনাকেও ভয় পাইনা। আর ভয় পাবই বা কেন! আপনি তো ছাতা; অভিভাবক রাজ্যের, যে রাজ্যের আমি একজন জনগন।
স্তাবকতা আগেও করিনি এখনও করছি না। কিন্তু এই লেখা লিখতে বাধ্য করালেন আপনি, আপনার কাজের মধ্যে দিয়ে। জানি আপনার ভয়ডর নেই কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যেভাবে চষে ফেলছেন বিভিন্ন এলাকা তা আর কজন পারে! আপনি নিজে বাদ দিয়ে রাজ্যে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই আর এসএফআই ছাড়া রাস্তায় আর কাদের দেখা যাচ্ছে! আপনার নিজের দলের এমপি, এমএলএ রা সবাই ভাত ঘুম দিচ্ছেন! এক আধ জন যে কাজ করছেন তাঁরা আবার নিজেদের প্রচার নিয়েই ব্যাস্ত। গরীব কে সামান্য খাদ্য সাহায্য তাতেই সেঁটে দিয়েছেন নিজের মুখ, মাননীয়া অর্পিতা ঘোষ। এদের লজ্জা নেই, ন্যুনতম বোধ নেই কখন কি করতে হয়। এরা আপনাকে দেখে শেখেনা কেন বুঝিনা। যাই হোক প্রসঙ্গ ঘুরে যাচ্ছে, রাজ্যবাসীর জন্যে একাধিক প্যাকেজ করেছেন যা সত্যিই এই সময় একান্ত দরকারি ছিল। অসাধারন ভাবে বিরোধী দল গুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া, সবই রাজ্যবাসীর হিতের জন্যে। কঠোর ভাবে লক ডাউন পালন করাচ্ছেন পুলিশ দিয়ে, যদিও কোথাও কোথাও পুলিশ কারন ছাড়াই হাতের সুখ করছে নিরীহ আতঙ্কগ্রস্ত জনগন কে পিটিয়ে। কিন্তু সবাই সমান নয়, রাজ্য একাধিক জায়গায় দেখছে পুলিশের মানবিক মুখ। সব কিছুর পেছনেই আপনি, নিয়ন্ত্রন আপনার হাতে।
কিছুদিন আগে ব্যাক্তিগত ওয়ালে আপনার সমালোচনা করে লিখেছিলাম। কেউ নিজের নাম নিয়ে নিজেকে প্রজেক্ট করতে পারে? প্রসঙ্গ ছিল "বাংলার গর্ব মমতা"!
আজ বলছি, সাধারনের খাওয়া দাওয়া পথ্য সুরক্ষিত করার পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে পোলিও-র মত থার্মাল স্ক্যানিং করান প্রত্যেক বাড়িতে, সন্দেহ হলে ব্লাড টেস্ট। আতঙ্কিত বাঙালি মনে জোর পাবে। আপনার আশা কর্মীর ফৌজ তো আছেই, কিছুটা পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিন তাঁদের। হয়ে উঠুন প্রকৃত অর্থে "বাংলার গর্ব মমতা।"

No comments