Header Ads

লুট চলছে! "দিদি বাঁচান; হয় করোনা নয় কালোবাজারিরা আমাদের না খাইয়ে মেরে ফেলবে৷"

অরুনাভ সেন, নজরবন্দিঃ লক-ডাউনে কিছু মানুষের সর্বনাশ,অনেক অসাধু ব্যবসায়ীর পৌষ মাস৷ অত্যাবশ্যকীয়,নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ছে হুহু করে৷ প্রশাসনের দাম না বাড়ানোর নিষেধ অগ্রাহ্য করে অসাধু ব্যবসায়ীর মানুষের অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে জিনিসের দাম বাড়াচ্ছেন অত্যন্ত নির্মম ভাবে ,অমানবিক ভাবে৷যেসব পন্যগুলি কে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল ঠিক সেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়াচ্ছে রক্তচোষা ব্যবসায়ীরা৷ চলুন দেখি বাজারের কোন জিনিসগুলোর কয়েকটি দিন আগে দাম কেমন ছিল,এখন কেমন আছে৷লোকে বলেন কিছু না খাই শুধুমাত্র ডাল আর আলু সিদ্ধ দিয়ে ভাত খেয়ে মানুষ বেঁচে থাকতে পারেন৷ লক-ডাউনের আগে মুসুর ডাল ছিল ৮০ টাকা কেজি। রবিবার সেটি বেড়ে হয়েছিল ৯০ টাকা। বুধবার ১১০ টাকায়!অর্থাৎ কালোবাজারি আর অতিরিক্ত বেশি দামে বিক্রি করছেন বেশিরভাগ অসাধু ব্যবসায়ী৷
মুগ ডাল বাঙালির আর এক প্রিয় ডাল,গ্যালোপিং ট্রেনের মত সেও ছুটছে লাফিয়ে-লাফিয়ে৷ ১০০ টাকায় শুরু করে আপাতত সে থেমে আছে ১৩০ টাকা কেজিতে৷তার অর্থ এই নয় এখানেই থামবে৷সানডে ইয়ে মনডে রোজ খাও আনডে৷অনেক খাদ্যগুন সমৃদ্ধ ডিম যেমন,সুস্বাদু,তেমনই পুষ্টিকর৷সর্বোপরি কমদামের জন্য ডিমের জনপ্রিয়তা ধনী-দরিদ্র্য সবার কাছে সমান৷ সেই ডিম ৪টাকা থেকে এখন খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৬টাকা দামে৷থেমে নেই চাল৷লকডডাউনের আগে আর পরের মধ্যে দামের ফারাক ১০থেকে ২০টাকা? ৩৮-৪০ টাকায় যে চাল মানুম লকডাউনের আগে কিনতে পারছিলেন সেটা এখন কিনতে হচ্ছে কোথাও ৫০,কোথাও বা ৬০টাকায়৷বেড়ে গিয়েছে মুরগির মাংসের দামও৷করোনা ভাইরাসের ভয়ে মুরগির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছিল ৯০-১০০টাকায়৷ঠিক দ্বিগুন দাম বেড়ে আজ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে তার দাম ২০০৷সন্দেহ নেই করোনা আর লকডাউনের জুজুতে সন্ত্রস্ত মানুষজন চেয়েছিলেন যত বেশি সম্ভব খাদ্যসামগ্রী বাড়িতে মজুত করে রাখতে।
সত্যি বলতে কি সেই সুযোগটা ধরেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা৷অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর কালোবাজারি শুরু হয়েছে একেবারে প্রকাশ্যে৷মানুষের অসহায় অবস্থার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা৷লুট করছেন তারা,শুধুই লুট করছেন৷আর দু-হাত ভরে পয়সা কামাচ্ছেন৷ মাছ কিনতে গিয়ে ছ্যাঁকা লাগছে বাঙালির৷রুই-কাতলা থেকে ছোট,বড় যেকোনও মাছের কেজি প্রতি দাম অন্তত ২০টাকা বেশি৷ সন্ত্রস্ত হয়ে কিছু মানুষ হয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করার চেষ্টা করেছেন এই আশংকায় টানা ২১দিনের লক-ডাউনে অন্তত খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে৷কিন্তু ব্যবসায়ীরা কেন বাড়তি দাম নেবেন?সত্যি বলতে কি প্রশাসনের হুঁশিয়ারি কে কার্যত ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে লুট৷হ্যাঁ নিত্যপ্রয়োজণীয়,আর অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের হুঁশিয়ারি,নিষেধ অগ্রাহ্য করে লুট করছেন৷প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিল লকডাউনে মানুষের কোনও অসুবিধা হবে না৷মাছ,মাংস,সবজি,মুদি দোকান খোলা থাকবে৷সবাই প্রয়োজন মত সামগ্রী কিনতে পারবেন৷কিন্তু কোথায় কী?মজুতদাররা,কালোবাজারি,অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষের এই অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে তাদের দোকানে বসে মানুষকে লুট করছেন৷সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন সাধারন মানুষ৷
ব্যবসায়ী সংগঠনও আশ্বাস দিয়েছিল লক-ডাউনে দাম বাড়বে না জিনিসের৷কিন্তু ব্যবসায়ী সংগঠনের আশ্বাস আসলে মরুভূমিক মরীচিকা ছিল জীবনের অভিজ্ঞতায় বাজার করতে গিয়ে সাধারন মানুষ ভালমত অনুধাবন করছেন৷অনেকেই প্রশাসনের কাছে করুণ স্বরে আর্তি জানাচ্ছেন বাঁচান আমাদের৷অনেক মানুষ বলছেন বেআক্বেলে,রকবাজ,আড্ডাবাজ পাবলিককে ডান্ডা হাতে নিয়ে সবক শিখিয়েছে পুলিশ লকডাউনের অর্থ বুঝিয়ে দিতে৷অথচ আরও ভদ্রবেশী,প্রভাবশালী,অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর ব্যবসায়ীরা দিব্যি ভাঙছেন ব্যবসার যাবতীয় শর্ত৷দিনে-দুপুরে তারা শুধুমাত্র লুট করছেন৷এই অবস্থা আরও কয়েকটা দিন চললে অনেকের রেস্ত টাকা শেষ হবে,রাজ্যের গরিব মানুষের হাহাকার,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের আর্তি দিদি বাঁচান আমাদের৷করোনা নয় দিদি কালোবাজারি ব্যবসায়ীরাই আমাদের মেরে ফেলবে৷
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.