Header Ads

চীনা ভাইরাস বলে সংকীর্ন মানসিকতার পরিচয় দেবেন না; ভারত কে অনুরোধ চীনের।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনা ভাইরাস অর্থাৎ কোভিড ১৯ কে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম চাইনিজ ভাইরাস হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তাঁরপর থেকেই বিশ্বের একাধিক দেশে প্রচার হয়ে যায় করোনা ভাইরাস আসলে চায়না ভাইরাস! ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মন্তব্য কে সমর্থন করেনি বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা, হু'র পক্ষে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডাক্তার মাইক রায়ান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে সতর্ক করে জানিয়েছিলে এই ধরনের অনভিপ্রেত মন্তব্য না করতে। কারন ভাইরাসের কোন সীমারেখা নেই, ভাইরাস জাত ধর্ম শক্তি বা অর্থবল দেখেনা।
এই ঘটনা গত ১৮ই মার্চের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে তাঁর পরেও প্রচার চলেছে এই ভাইরাস চীনের তৈরি। উল্লেক্ষ্য, যুদ্ধের জৈবিক অস্ত্র হিসেবে চীন এই মারণ করোনা ভাইরাস বানিয়েছিল বলে দাবি করে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের মামলা দায়ের করেছেন আমেরিকার ল্যারি ক্লেম্যান নামের এক আইনজীবী ও তার আইনি প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম ওয়াচ ও বাজ ফটোজ।
যদিও এই মামলা আন্তর্জাতিক কোর্টে যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। কারন ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা, SARS CoV এর উৎপত্তি ২০০৩ সালে আমেরিকায়।  আমেরিকা ও ইউরোপে মহামারীতে প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছিল।
এই SARS CoV এর ৩৮৮বার মিউটেশন হয়ে তৈরি হয়েছে SARS CoV2 যার অপর নাম কোভিড-১৯। এখন প্রশ্ন হল এই ৩৮৮বার মিউটেশন কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবেও ঘটাতে পারে আবার প্রাকৃতিক ভাবে হতে পারে! যেমন কোন এন্টিবায়োটিক সঠিকভাবে প্রয়োগ না হলে ভাইরাস তার চরিত্র পরিবর্তন করে ডাইহার্ড হয়ে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে।  কিন্তু প্রথম উৎপত্তি আমেরিকা ২০০৩, দ্বিতীয় ভয়াবহ রূপে পুনরাবির্ভাব চীন ২০১৯। সন্দেহের তীর কার দিকে যাবে? এটা জীবানু বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন। আন্তর্জাতিক কোর্ট পর্যন্ত এই কেস যাবে বলে মনে হয়না কারণ শেষে আমেরিকাই দোষী প্রমাণিত হতে পারে। তাই আমেরিকা সেই পথে না গিয়ে লবি তৈরি করে চেষ্টা করবে নিজের অনুগামী দেশ গুলোকে দিয়ে প্রচার চালানোর।
তাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সাথে বিভিন্ন দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে, সম্ভবত সেই কারনেই বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার তরফে ডোনাল্ড ট্রাম্প কে সতর্ক করা হয়েছে এই ভাইরাস কে চীনা ভাইরাস হিসেবে ব্যাখ্যা না করতে।
এদিকে চীনও নেমে পড়েছে ময়দানে। যে দেশগুলিতে বলা হচ্ছে করোনা আসলে চায়না ভাইরাস চীন সেই দেশগুলোকে অনুরোধ করছে এমন ভাবে ব্যাখ্যা না করতে কারন তাতে আন্তর্জাতিক একাধিক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে। উল্লেখ্য চীন ভারতকেও একই অনুরোধ জানিয়েছে। মঙ্গলবার ফোনে স্টেট কাউন্সিলর এবং বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ইয়ি জানিয়েছেন, চিন আশা করে যে ভারত “চিনা ভাইরাস” শব্দটি ব্যবহার করে “সংকীর্ণ মানসিকতার” পরিচয় দেবে না।    
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.