Header Ads

গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বড় জয় আদালতে; পে-কমিশনকে নির্দেশ, খুলতে চলেছে জট।

নজরবন্দি ব্যুরো: বহু লড়াইয়ের পর পর অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট বড়সড় জয় পেলেন এই রাজ্যের কয়েক হাজার গ্রাজুয়েট শিক্ষক। আগেই সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ গেল গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের দিকে।


বিজিটিএ'র করা টিজিটি স্কেলের আদালত অবমাননা মামলাকে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছইল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২২ শে জুলাই মহামান্য হাইকোর্ট গ্র্যাজুয়েট টিচারদের বঞ্চনা দুর করে সর্বভারতীয় বেতনক্রমের সাথে সাযুজ্য রেখে গ্রেড পে ও স্কেল নির্ধারণ করতে বলে রীট অফ ম্যান্ডামাস জারী করে। কিন্তু সরকারী তরফে বিজিটিএ কে নিয়ে পে কমিশনে একটি হেয়ারিং করা হলেও ঘোষিত পে কমিশনে তার কোন প্রভাব পড়েনি। ফলে আবার আদালত অবমাননা মামলা করে হাই কোর্টের দারস্থ হয় 'বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান বা বিজিটিএ। হাই কোর্টে কয়েকটা হেয়ারিং এ সরকারী পক্ষের তালবাহানার পর গত ২১ শে জানুয়ারী ২০২০ মহামান্য হাইকোর্ট ১১ ই ফেব্রুয়ারী'র মধ্যে গত ২২শে জুলাইয়ের রায় মেনে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলে। অন্যথায় ঐ ১১ ই ফেব্রুয়ারী বেলা ৪টের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেম্বার সেক্রেটারি কে কোর্টে হাজির করানো হবে বলে কোর্ট অন্তর্বতী আদেশ জারি করে। এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে বেতন কমিশনকে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বিষয়ে সমস্ত রেকমেন্ডেশন আদালতে জমা দিতে হবে। এর পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটির শুনানি চলতে থাকবে।

আগেই টিজিটি স্কেল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই রায় কার্যকর না করার অভিযোগ তুলে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করে বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার-স অ্যাসোসিয়েশন। পরে রাজ্যের তরফে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে করা হয়। বলা হয়, বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানকে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হোক। এর তীব্র বিরোধিতা করেন মামলাকারীরা। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানকে আদালতে সমস্ত রেকমেন্ডেশন লেটার জমা দিতে হবে।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.