Header Ads

কড়া ভাষায় ইস্তফাপত্র; পদ ছাড়লেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী

নজরবন্দি ব্যুরো: মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ থেকে সরে গেলেন অধ্যাপক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি যে এমনটা হবে, তার আঁচ মিলেছিল বুধবারই। এবার সেই আগাম অনুমান সত্যি হল।
প্রসঙ্গত, শোভন বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে বিতর্ক চলছে কয়েক বছর ধরে।
তাঁর বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বেশ চর্চা চলছে গোটা রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি অধ্যাপক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণের অভিযোগ উঠল শিক্ষামন্ত্রীর তথা তৃণমূলের মহাসচিবের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, বুধবার কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করে চূড়ান্ত অপমান করেন তৃণমূলের মফাসচিব। এর পরেই  কাঁদতে কাঁদতে বৈঠক ছাড়েন বৈশাখী। এই ঘটনার পরেই স্বভাবতই হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলে।

উল্লেখ্য, মিল্লি আল আমিন কলেজের অভ্যন্তরীণ সমস্যা অনেক দিনের। এই বিতর্কের খবর আগেও শোনা গিয়েছিল। বুধবার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিচালন সমিতির সদস্যদের নিয়ে বিকাশ ভবনে বৈঠকে করেন শিক্ষামন্ত্রী।

এই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "করোনা ভাইরাস যেমন পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি মিল্লি আল আমিন কলেজের ভাইরাস হচ্ছেন বৈশাখী।" এর পাশাপাশি বিকাশ ভবনে উচ্চশিক্ষা দফতরের বৈঠকে ন্যূনতম সহবৎ মেনে হাজির থাকা সবাইকে চা দিলেও প্রথমে বৈশাখীকে তা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এর আগে বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল পর্যবেক্ষকের পদে বসানো হয় শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এক কাউন্সিলরকে। সেই কারণেই কি এদিন শিক্ষামন্ত্রী ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.