এনআরএসে অস্ত্রোপচারের পর নিম্নমানের সুতো দিয়ে তিনবার সেলায়ের জেরে মৃত্যু ১০ দিনের শিশুর
নজরবন্দি ব্যুরোঃ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ধুন্ধুমার কলকাতা। এবার ঘটনাস্থল এনআরএস হাসপাতাল। মৃত শিশু পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ অস্ত্রোপচারের পর নিম্নমানের সুতো দিয়ে সেলাই। বারবার সেলাইয়ের সুতো ছিঁড়ে যাওয়ায় তিনবার অস্ত্রোপচার করা হয় শিশুটিকে। আর সেই ধকল সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হল শিশুর। মাত্র ১০ দিনের ওই শিশুটির মৃত্যু হল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত শিশুটির এনআরএস হাসপাতালেই জন্ম হয়। জন্মের পরই গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার তার অস্ত্রোপচার হয়।
এরপর একই ক্ষতস্থানে ২২ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচার করা হয়। মাত্র ১০ দিনের শিশুর পরপর তিন বার অস্ত্রোপচার। প্রথম দুবার যে জায়গায় অস্ত্রপচার করা হয়েছিল সেখান দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে। তৃতীয়বারের অপারেশনের সময় হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকজনদের নতুন সুতো কিনে দিতে বলা হয়। সেইমতো সেই সুতো দিয়ে অস্ত্রোপচারের পর সেলাইও করা হয়। কিন্তু তিনবার অস্ত্রোপচার সহ্য করতে পারেনি শিশু।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে। এরপর সন্ধ্যে নাগাদ মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় সরাসরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মৃত শিশু পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সুতো থাকার সত্ত্বেও কেন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনদের কাছে আনতে বলা হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য রোগীদের পরিজনেরা। শুক্রবার সকাল থেকেই এনআরএসে সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীদের পরিজনেরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। সরকারি হাসপাতালে কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। হাসপাতলে যে সংস্থা সুতো যোগান দেয় তাদের খোঁজ নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে এনআরএস কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় সরকারি হাসপাতালের পরিষেবার বেহাল অবস্থার ছবি আবারও উঠে এল সাধারণ মানুষের কাছে।
এরপর একই ক্ষতস্থানে ২২ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচার করা হয়। মাত্র ১০ দিনের শিশুর পরপর তিন বার অস্ত্রোপচার। প্রথম দুবার যে জায়গায় অস্ত্রপচার করা হয়েছিল সেখান দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে। তৃতীয়বারের অপারেশনের সময় হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকজনদের নতুন সুতো কিনে দিতে বলা হয়। সেইমতো সেই সুতো দিয়ে অস্ত্রোপচারের পর সেলাইও করা হয়। কিন্তু তিনবার অস্ত্রোপচার সহ্য করতে পারেনি শিশু।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে। এরপর সন্ধ্যে নাগাদ মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় সরাসরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মৃত শিশু পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সুতো থাকার সত্ত্বেও কেন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনদের কাছে আনতে বলা হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য রোগীদের পরিজনেরা। শুক্রবার সকাল থেকেই এনআরএসে সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীদের পরিজনেরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। সরকারি হাসপাতালে কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। হাসপাতলে যে সংস্থা সুতো যোগান দেয় তাদের খোঁজ নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে এনআরএস কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় সরকারি হাসপাতালের পরিষেবার বেহাল অবস্থার ছবি আবারও উঠে এল সাধারণ মানুষের কাছে।

No comments