করোনা আতঙ্ক, ভারতকে বন্ধু বলে সম্বোধন করল চিন
নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনার জেরে কার্যত গোটা চিনই এখন শ্মশানের চেহারা নিয়েছে। কান পাতলেই স্বজন হারানোর কান্না। থমথম করছে গোটা দেশ। সার্সের পর মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। নিত্যদিন শয়ে শয়ে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতে শুরু করেছে। সেই পরিস্থিতির মাঝেই এবার ভারতকে বন্ধু বলে সম্বোধন করল চিন। মহামারীর আকার নেওয়া করোনা ভাইরাস রোধে চিনকে সাহায্যের জন্য পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিল ভারত। তাই ভারতকে বন্ধু বলেই সম্বোধন করলেন চিন রাষ্ট্রদূত সান ওয়েট।
সম্প্রতি তিনি একটি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন তাঁদের দেশের এই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারত যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে অবশ্যই বন্ধুত্বের ছোঁয়া রয়েছে। দেশের ক্ষেত্রে বড়োসড়ো বিপর্যয় চলছে। এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে ভারত যেভাবে সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেছে তা সত্যিই অনস্বীকার্য। বন্ধুর মতো ভারতের ব্যবহারে আপ্লুত হয়ে চিন রাষ্ট্রদূত জানান একসময় জাপানে আহত চিনা সৈন্যদের চিকিৎসা করে জীবন বাঁচিয়েছিলেন ভারতীয় চিকিৎসক দ্বারকানাথ কোটনিস। ১৯৪০ সালের সেই ইতিহাসকে সামনে তুলে ভারতের বন্ধুত্বের প্রতিচ্ছবিকে আরও একবার জনসমক্ষে তুলে আনলেন চিনের রাষ্ট্রদূত। তিনি আরও জানান ভারতের এই বন্ধুসুলভ আচরণ তাদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত চিন কার্যত মহামারীর আকার নিয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস। আর সেই ভাইরাসের মোকাবিলায় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর কাছে চিঠি লিখে সাহায্যের জন্য জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের তরফে সমস্ত রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। চিন সরকার সেই চিঠি পাওয়ার পর স্যালুট জানিয়েছে। চিনে করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার। তবে সেই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার মানুষের। তবে চিন সরকার জানিয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে ৮০ বিলিয়ন আরএমবি বরাদ্দ করা হয়েছে। করোনার সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চীন। এই লড়াইয়ে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী চিন সরকার।
সম্প্রতি তিনি একটি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন তাঁদের দেশের এই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারত যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে অবশ্যই বন্ধুত্বের ছোঁয়া রয়েছে। দেশের ক্ষেত্রে বড়োসড়ো বিপর্যয় চলছে। এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে ভারত যেভাবে সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেছে তা সত্যিই অনস্বীকার্য। বন্ধুর মতো ভারতের ব্যবহারে আপ্লুত হয়ে চিন রাষ্ট্রদূত জানান একসময় জাপানে আহত চিনা সৈন্যদের চিকিৎসা করে জীবন বাঁচিয়েছিলেন ভারতীয় চিকিৎসক দ্বারকানাথ কোটনিস। ১৯৪০ সালের সেই ইতিহাসকে সামনে তুলে ভারতের বন্ধুত্বের প্রতিচ্ছবিকে আরও একবার জনসমক্ষে তুলে আনলেন চিনের রাষ্ট্রদূত। তিনি আরও জানান ভারতের এই বন্ধুসুলভ আচরণ তাদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
No comments