Header Ads

এই মুহুর্তে স্থগিতাদেশ নয় CAA-এর উপর, জানালো শীর্ষ আদালত

নজরবন্দি ব্যুরোঃ CAA –এর উপর স্থদিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৈরী করা হবে সাংবিধানিক বেঞ্চ। বুধবার CAA – বিরুদ্ধে হওয়া ১৪৪ টি মামলার শুনানি হয়েছে শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীনে তিন বিচারপতির বেঞ্চে হয়েছে শুনানি।
 বুধবার শীর্ষ আদালতের শুনানিতে বলা হয়েছে
 নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তৈরী হবে সানহবিধানিক বেঞ্চ। CAA – এর বিরুদ্ধে আদালতে যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে তার কি উত্তর আছে সরকার পক্ষের কাছে তা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রী সরকারকে। এই উত্তর দেওয়ার সময় সীমা ৪ সপ্তাহ নির্ধারিত করে আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেল শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেন, সিএএ-এর বিরুদ্ধে আর মামলা না নেওয়ার। আরজেডি নেতা মনোজ ঝা, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল এই আইন স্থগিত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। আইনজীবী কপিল সিব্বল জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার এই মুহুর্তে স্থগিত রাখার আবেদনও করেছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, এই আইনকে মৌলিক অধিকারের উপর ‘নির্লজ্জ আঘাত’ বলে জানিয়েছেন তাঁর আবেদনে। অন্য দিকে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ তাদের আবেদনে দাবি করে্, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে এই আইন।
 নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন কে স্থগিত করার জন্য, কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, ডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও এআইএমআইএম-এর মতো দল গুলি আবেদন করেছে। অন্য দিকে ওই আইন কে সাংবিধানিক ঘোষণার দাবি নিয়েও আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে দেশের যা পরিস্থিতি তাতে এই মুহুর্তে এই মামলা শোনা সম্ভব নয়। এই মামলায় তিন বিচারপতির বেঞ্চে নেতৃত্বাধীন দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে।
বিচারপতিরা তাঁদের যুক্তি দিয়ে জানান, ‘’ আইন সাংবিধানিক কি না তা দেখা আদালতের কাহ নয়।আদালতের কাজ আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখা। দেশ এখন ভীষণ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।‘’ পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

এই আইন ১২ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাশ হয়। এবং তাঁর পর থেকে গোটা দেশ জুরতে চলছে এর তীব্র বিরোধীতা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরোধি না। আমাদের দেশের মুসলিমদের ওপরে এর কোন রকম প্রভাব পরবে না। তবে বিরোধী দল গুলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এই কথায় না মেনে বিরোধীতা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু বিরোধী দল গুলি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে বুদ্ধিজীবিরাও এই আইনের বিরোধীতায় সুর মিলিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ‘যতই বিরোধিতা, সিএএ প্রত্যাহার হবে না’।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.