Header Ads

CAA বিরোধী আনন্দোলনের মাঝেই উচ্ছেদ করা হল বাংলাদেশীদের।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ বেঙ্গালুরুতে হদিশ মিলল অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসিদের। উচ্ছেদ করা হল বাংলাদেশী অভিবাসীদের। সূত্রের খবর, করিয়াম্মানা আগ্রাহারাতের বাসিন্দা চেতান, তার জমিতেই অবৈধ ভাবে বসবাস করছিল বেশ কিছু বাংলাদেশী অভিবাসী। বাংলাদেশী অভিবাসীরা অই জমি দখল করে সেখানে ২৩টি ঝুপ্রি বানিয়ে সেখানে থাকত। রবিবার পুলিশ তাদের উচ্ছেদ করে। কিন্তু জমির মালিকের বক্তব্য তিনি এবং তার পরিবার দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অংশ থেকে এসেছেন। জমির মালিক চেতান জানিয়েছেন, তার জমিতে বসবাসকারী সকলেই ভারতীয়। তাদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশী নন। তারা সকলে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে এসে এখানে বাস করে। পুলিশের তরফ থেকে জমির মালিকের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়। যেখানে বলা আছে তার জমিতে বসবাসকারী বাংলাদেশী অভিবাসীদের উচ্ছেদ করতে হবে।সেখানে বলা আছে তাদের বেআইনি ভাবে বিদ্যুতের লাইন দেওয়া হয়েছে। তাদের ঝুপড়ি গুলি ভেঙ্গে ফেলতে হবে। শুধু তাই নয় এই রকম আরও অনেক অভিযোগ এসে পুলিশের পক্ষ্ থেকে। 
ওই জমিতে বসবাসকারীরা জানান, আমরা সকলেই ভারতীয়। আমাদের কাছে আছে প্রয়োজনীয় নথি। আমাদের মধ্যে কেউ শ্রমিক, পরিচারক-পরিচারিকা আবার কেউ জঞ্জাল কুড়নোর কাজ করে জীবন-যাপন করি। আমরা সকলেই ভারতীয়। তাদের কোন কথা পুলিশ শোনেনি, এমনকি তাদের ভারতী হওয়ার কোন নথিও তারা দেখতে চাননি। তারা দেখাতে চেয়েছিলেন তবুও পুলিশ তা দেখেনি। পুলিশ মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে তাদের ঝুপড়ি গুল ভেঙ্গে দেয়। এখন তারা কি করবেন এবং কথায় থাকবেন এই বিষয় নিয়ে খুবই চিন্তিত। 
পুলিশের বক্তব্য, তারা এই সমস্ত বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছেন। ওই জমি সংলগ্ন এক আবাসনের বাসিন্দা ১১ জানুয়ারি মারাঠাহাল্লির পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এই বলে যে তারা অখানে উপদ্রব চালাচ্ছে। তার পরেই পুলিশের এই পদক্ষেপ। জমির মালিক জানান, জমিতে বসবাসকারী কেউ বাংলাদেশী না। শুধু পুলিশের চাপেই তাকে ঝুপড়ি গুলি ভেঙ্গে দিতে হয়। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি মারাঠাহাল্লি পুলিশ ও ডিসিপি এবং মহাদেবপুরা জোনের স্পেশাল কমিশনার রণদীপ ডি।

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.