Header Ads

"TGT বেতনক্রম ও CAS সুবিধা চাই চলতি ডিসেম্বরেই" সাধারন সভা থেকে দাবি বিজিটিএ-র।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ আজ দাশনগর, হাওড়া জেলার সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ সর্বভারতীয় স্তরে প্রচলিত টিজিটি ( Trained Graduate Teacher ) বেতনক্রম এবং Career Advancement Scheme এর দাবিতে ‘বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স আসোসিয়েশন’ (BGTA) হাওড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে দাশনগর চপলা দেবী বালিকা বিদ্যালয়ে আজ এক বর্ধিত সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। তাদের দাবি সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১ লা জানুয়ারী, ২০০৬ থেকে গ্রেড পে ৪৬০০ টাকা ধরে Pay fixation করতে হবে সেই সঙ্গে রাজ্যের সরকারি বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গে সমহারে ৩ বার CAS এর সুবিধা দিতে হবে। কেন্দ্র থেকে রাজ্য সব ক্ষেত্রেই NCTE র নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, তাই বেতন কাঠামোগত বৈষম্য অসাংবিধানিক। হাওড়া জেলা কমিটির সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন , “পশ্চিম বঙ্গে সরকার পোষিত/সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে নিযুক্ত স্নাতক শিক্ষক-শিক্ষিকাগন বিগত দুই দশকেরও অধিক কাল যাবৎ সর্বভারতীয় স্তরে প্রচলিত স্নাতক-শিক্ষক বেতনক্রম থেকে বঞ্চিত। পশ্চিম বঙ্গে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর প্রনীত রোপা রুলস্ ২০০৯ এ স্নাতক শিক্ষকদের বেতনক্রম ধার্য্য করা হয় : ৭১০০---৩৭৬০০ টাকা, গ্রেড পে- ৪১০০ টাকা এবং পে ফিক্সেশন করে প্রারম্ভিক মূল বেতন হয় ১২৭৫০ টাকা।
আর স্নাতকোত্তর শিক্ষক- বেতনক্রম ধার্য্য করা হয় ৯০০০---৪০৫০০ টাকা, গ্রেড পে ৪৮০০ টাকা এবং পে ফিক্সেশন করে প্রারম্ভিক মূল বেতন হয় ১৫৯৬০ টাকা। উভয়ের প্রারম্ভিক মূল বেতনের পার্থক্য দাড়ায় ৩২১০ টাকা। ঐ একই সময়কালে সর্বভারতীয় স্তরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের অভিন্ন বেতন কাঠামো দেওয়া হয়:- ৯৩০০-৩৪৮০০ টাকা, এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের গ্রেড পে হয় ৪৮০০ টাকা আর স্নাতক শিক্ষকদের গ্রেড পে হয়- ৪৬০০ টাকা। উভয়ের প্রারম্ভিক মূল বেতনের পার্থক্য দাঁড়ায় ১৮১৫০-১৭১৪০=১০১০ টাকা ( যেটা পঃবঙ্গে ৩২১০ টাকা )। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় এই যে পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষা দপ্তর স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বেতন কাঠামো (৯০০০----৪০৫০০ টাকা) তৈরি করে তাদের গ্রেড পে ধার্য করেন ৪৮০০ টাকা যা সর্বভারতীয় স্তরে ৪৮০০ টাকাই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পঃ বঙ্গে স্নাতক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক ভাবে নিম্নতর বেতনক্রম (৭১০০-৩৭৬০০) গ্রেড পে ধার্য্য করা হয় ৪১০০ টাকা। উল্লেখ্য সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পশ্চিমবঙ্গে রোপা রুলস্ ২০০৯ এ স্নাতক শিক্ষকদের 13(a ) স্কেল হওয়া উচিত ছিল যার প্রারম্ভিক মূল বেতন হওয়া (Band Pay +GP ১০২৮০+৪৬০০) মিলে ১৪৮৮০ টাকা।“ সংগঠনের হাওড়া জেলা কমিটির সভাপতি শেখ রমিজুর রহমান বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে কর্মরত স্নাতক শিক্ষকদের সমগ্র কর্মজীবনে তিন বার (৮, ১৬ এবং ২৫ বছরে) ক্যারিয়ার অ্যাডভান্সমেন্টের সুবিধা (CAS) প্রদানের মাধ্যমে উচ্চতর বেতনক্রমে উন্নীত করা হয়। আর সরকার পোষিত/সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে কর্মরত স্নাতক শিক্ষকদের ঐ সুবিধা সমগ্র কর্মজীবনে মাত্র একবার (১৮ বছরে ) দেওয়া হয়। যার ফলে সরকার পোষিত/সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন”। সভায় উপস্থিত সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন, “হাই কোর্ট ইতিমধ্যে দু দশক ধরে চলে আসা বেতন বৈষম্য দূরীকরণের জন্য পে কমিশন ও সরকার পক্ষকে আদেশ দিয়েছেন কিন্তু তার কোনো প্রতিফলন আমরা সদ্য প্রকাশিত পে কমিশন রিপোর্ট এ পাইনি। এছাড়াও সাম্প্রতিক web based staff pattern এর নামে Normal section এ নিযুক্ত গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের upper primary section এ দেখানো হচ্ছে যেটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। তাই এ রাজ্যের বঞ্চিত গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরির শিক্ষকরা নিজেদের ন্যায্য দাবি অর্জনের লক্ষ্যে জোটবদ্ধ হয়েছেন এবং “বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন” এর নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করেছেন। প্রশাসনিকভাবে একাধিকবার আমাদের দাবিপত্র রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর ও অর্থ দপ্তরে পৌঁছে দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। এই ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি না মিটলে আগামী দিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.