Header Ads

বিকৃত যৌন চাহিদার ইচ্ছা। হিংস্রতার শিকার দেশের মহিলাররা।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ সময়ের সাথে সাথে সমাজে মহিলাদের উপর হওয়া যৌন নির্যাতনের ঘটনাও বেড়ে চলেছে। যৌন নির্যাতন করা বা ধর্ষণ করার মধ্যে কি শুধুই শারীরিক চাহিদা লুকিয়ে থাকে? না, এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে হিংস্রতা, এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে বিকৃত পাশবিক মানসিকতা। এই কারণে উত্তরপ্রদেশে ঘুমন্ত দম্পতিকে খুনের পর মৃত গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হলো তিনঘন্টা। খুনি ধর্ষণ কারির হাত থেকে রেহাই পায়নি মৃত দম্পতির ১০ বছরের শিশু কন্যাটিও। তাকেও ধর্ষণ করা হয়। যত দিন যাচ্ছে মানুষের মন, মাথা ততই বিকৃত পাশবিক কামনায় বশিভূত হয়ে পড়ছে । আর চারিদিক থেকে উঠে আসছে এই রকম পাশবিক অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা। যা সমাজ কে ভাবতে বাধ্য করছে।দেশ প্রতিদিন এমন কত ঘটনা ঘটে চলেছে। তেলেঙ্গানা থেকে পুরীতে সব জায়গাতেই বিকৃতকাম এর ইচ্ছার শিকার হচ্ছে মহিলারা। এবার এমনি এক পাশবিক ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশে আজমড়ের মুবারকপুর এলাকার।
 স্থানীয় সুত্রে খবর, সপ্তাহখানেক আগে আজমগড়ের মুবারকপুর এলাকায় এক দম্পতি ও তাদের চারমাসের শিশুপুত্র কে হত্যা করা হয়। হত্যার পড়ে মৃত গৃহবধূর সাথে তিন ঘন্টা ধর্ষণ করে নাসিরুদ্দিন নামের বছর ৩৮ এর এক ব্যক্তি। গুরুতর জখম ছিল দম্পতির ১০ বছরের নাবালিকা মেয়ে ও তার চার বছরের ছেলে।নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা যায় ওই নাবালিকাকেও ধর্ষণ করা হয়েছে। কোন রকমে ১০ বছরের মেয়েটি তার ভাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রানে বাচে। তার পড়ে সে প্রতিবেশীদের জানায় এবং তারা পুলিশকে খবর দেয়।
 ২৪ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটে। নাসিরুদ্দিন কে পুলিশ গ্রেফতার করে। আজমগড়ের পুলিশ সুপার ত্রিবেণী সিং জানান, নাসিরুদ্দিন জানিয়েছে খুন পরে সে ধর্ষণ করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও করে রাখে। সেই ভিডিও সে তার শ্যালিকাকে দেখায়। এবং সে জানায় ২৪ নভেম্বর সুযোগ বুঝে সে প্রথমে সেই বাড়িতে প্রবেশ করে, তারপর ছুরি ও পাথর দিয়ে ওই ঘুমন্ত দম্পতি ও তাদের চার মাসের সন্তানকে খুন করে। তারপর, প্রথমে মৃত গৃহবধূ ও পড়ে তাদের মেয়ে কে ধর্ষণ করে। শ্যালিকা এই ঘটনা জানার পড়ে পুলিশ কে সব ঘটনা জানায় এবং পুলিশ নাসিরুদ্দিন কে গ্রেফতার করে। পুলিশের জেরায় ধৃত নাসিরুদ্দিন জানিয়েছে, এর আগে হরিয়ানা, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা সে ঘটিয়েছে। কিন্তু, সে কখন পুলিশের হাতে ধরা পারেনি।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.