সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খুশি ওয়াসিম রিজমি, মন্দির নির্মানে সহযোগিতার বার্তা।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত ৮ নভেম্বর তারিখে বহু দশক ধরে চলে আসা সব থেকে বড় বিতর্কিত জমি মামলা অযোধ্যা নিয়ে রায় ঘোষণা করল দিল্লি সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির এক সংবিধানিক বেঞ্চ শনিবার অযোধ্যা মামলায় এক ঐতিহাসিক রায় দান করেন। এই রায়ে বলা হয়, অযোধ্যার জমিতে রাম মন্দির হবে আর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড কে আলাদা পাঁচ এককর জমি দেওয়া হবে। এই রায় ঘোষণার পরে বেশিরভাগ মানুষ খুশি হলেও, একদল মানুষ এই রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন । মুসলিমদের এক অংশ এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়।
উত্তরপ্রদেশে শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজমি বহু দশক ধরে চলা অযোধ্যা মামলার রায় দেখে ভিসন মুগ্ধ হন। সেই খুশিতেই তিনি অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মানের জন্য ৫১,০০০ টাকা দেবেন বলে ঘোষণা করেন।তিনি এই ঐতিহাসিক রায়কে সমর্থন করেন।ওয়াসিম রিজমি বলেন, 'এখন রামের জন্মভূমিতে মন্দির গড়ার তোড়জোড় চলছে। তিনি মনে করেন, শ্রীরামচন্দ্র সকলেরই পূর্বপুরুষ, মুসলমানদেরও, তাই 'ওয়াসিম রিজভি ফিল্মস'-এর পক্ষ থেকে মন্দির গড়ার জন ৫১,০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে রামজন্মভূমি ন্যাসকে।' তিনি জানান, যখনই মন্দির গড়া হবে, তখনই শিয়া ওয়াকফ বোর্ড সহায়তা করবে। ওয়াসিম রিজমি বলেন, 'এখন রামের জন্মভূমিতে মন্দির গড়ার তোড়জোড় চলছে। তিনি মনে করেন, শ্রীরামচন্দ্র সকলেরই পূর্বপুরুষ, মুসলমানদেরও, তাই 'ওয়াসিম রিজভি ফিল্মস'-এর পক্ষ থেকে মন্দির গড়ার জন ৫১,০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে ‘রামজন্মভূমি ন্যাসকে’।' তিনি জানান, যখনই মন্দির গড়া হবে, তখনই শিয়া ওয়াকফ বোর্ড সহায়তা করবে। তিনি বলেন, শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের রামভক্তদের কাছে অযোধ্যায় রামের মন্দির একটা আলাদা ব্যাপার।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রায় দানের আগে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ অযোধ্যার জমি নিয়ে যে তথ্য দিয়েছিল তা তিনি বিশদে তুলে ধরেন। তিনি জানান, পুরাতত্ত্ব বিভাগ তাঁদের তথ্যে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, অযোধ্যায় মসজিদ খালি জমির উপর নির্মিত হয়নি। তার আগে একটি দ্বাদশ শতকের কাঠামো সেখানে ছিল। তবে সেই কাঠামো ভেঙে মসজিদ গড়া হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রধান বিচারপতি এও বলেন, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড জমির মালিকানা চেয়ে যে যুক্তি দিয়েছিল তার কোনও ভিত্তি পাওয়া যায়নি। মসজিদটি বাবরই বানিয়েছিলেন কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। আইনজ্ঞদের মতে, পুরাতত্ত্ব বিভাগের মতকেই প্রাধান্য দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। দুই সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকেই মর্যাদা দিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে সর্বচ্চো আদালতের এই রায় দান। তাই এই রায়কে সেরা রায় বলছেন উত্তরপ্রদেশে শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানও। এই রায়ের ফলে দেশে কোনও রকম সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা দেখা যায়নি। সব পক্ষই এই রায়কে মান্যতা দিয়েছে।

No comments