Header Ads

TGT স্কেল আদায়ের লক্ষে শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিল BGTA

নজরবন্দি ব্যুরোঃ বেতন বৈষম্য সহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাকে গতকাল পূর্বমেদিনীপুর জেলার এগরা মহকুমার ঝাঁটুলাল হাই স্কুলে সভা করলো বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এসোসিয়েশন বা বিজিটিএ। উপস্থিত ছিলেন এগরা ১, এগরা ২, পটাশপুর ১, পটাশপুর ২, ভাগবানপুর ১ ব্লক থেকে আগত বহু গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক। প্রসঙ্গত রাজ্যের সমস্ত মাধমিক শিক্ষায় নিযুক্ত প্রায় লক্ষাধিক গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার।
তাদের পাস নামক তকমা দিয়ে এক ভিন্ন বেতন কাঠামোর মধ্যে রাখা হয়েছে যা ভূভারতে কোথাও নেই। কলকাতা হাই কোর্ট এই বৈষম্য দূর করার জন্য পে কমিশনকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত পে কমিশনের রিপোর্টে এই বৈষম্য দূর তো হয়নি উল্টে বঞ্চনা আরো বেড়ে যায়। অর্থাৎ কেন্দ্রের পে কমিশন অনুযায়ী একজন পিজি ও গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরির শিক্ষকের মূল বেতনের পার্থক্য ২৭০০ হওয়ার কথা কিন্তু এ রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টে সেই পার্থক্য দাঁড়ায় ৯২০০ টাকা।
 এই বঞ্চনার প্রতিবাদে গত ৩-৫ নভেম্বরে কলকাতার শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় এই অরাজনৈতিক সংগঠন। জেলা সভানেত্রী শাস্বতি মাইতি বলেন আমরা বহুবার শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা দপ্তরে দরবার করলেও কোনো সুরাহা হয়নি।তাই আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতির জন্য ব্লক স্তর থেকে সংগঠনের ভীত মজবুত করছি।প্রতিটি স্কুলের গ্রাজুয়েট শিক্ষকের মধ্যে এই বার্তা পৌঁছে দিতে আজ আমরা ব্লক ও মহকুমা কমিটি তৈরি করেছি।
জেলার কমিটির অন্যতম সদস্য মানব দাস বলেন- আমরা ধোঁয়াশা পূর্ন স্টাফ প্যাটার্নের বিরুদ্ধেও আইনি লড়াই লড়ছি। 2016 সালের আগে নিযুক্ত সকল জুনিয়র হাই ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা নর্মাল সেকশনের জন্য নিযুক্ত। তাদের আপার প্রাইমারি হিসাবে দাখিল করলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা দেবে কিনা সে বিষয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন জারি থাকবে । তিনি জেলার সকল গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের আরো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.