কাটোয়া শহরের প্রাণের উৎসব কার্তিক লড়াই সামলাতে কোমর বাঁধছে পুলিশ ও পুরসভা।
নজরবন্দি ব্যুরো: রবিবার অর্থাৎ (১৭ ই নভেম্বর) থেকে শুরু কাটোয়ার ঐতিহ্যবাহী কার্তিক পূজা। আর সোমবার (আজ) শোভাযাত্রা অর্থাৎ ঐতিহ্যবাহী কার্তিক লড়াই। সুস্ঠভাবে কার্তিক লড়াই পরিচালনা করতে পূজা উদ্যোক্তারা ও পুলিশ ও পুরসভা মূলত জোর কদমে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। গাড়িতে আলো বাঁধার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে প্রায়। যে রুটে কার্তিক পরিক্রমা হবে, তার দুই ধারে বারান্দায় চট, খবরের কাগজ, ইট পেতে দু-দিন আগে থেকেই লড়াই দেখার জন্য জায়গা রাখা শুরু করে দিয়েছে শহরবাসী।
কাটোয়া শহরের প্রাণের উৎসব কার্তিক লড়াই। পুরসভার তরফ থেকে জানা গেছে, শহরে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। লড়াই উপলক্ষে গোটা শহর জুড়ে পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে প্রায় ৮০০। শহরের প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে থাকবে পুলিশ। সঙ্গে থাকছে র্যাফ ও। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন 'লড়াইয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ থাকবে শহর জুড়ে, থাকছে একাধিক পুলিশ শিবির। সিসি ক্যামেরায় সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হবে। কে কোন মোড়ে থেকে লড়াইয়ের রুটে ঢুকবে তা আমরা ঠিক করে দিয়েছি। গেট গুলি কতটা চওড়া হবে সেই নির্দেশিকাও দাওয়া হয়েছে। সব মেনে চললে সমস্যা হবে না বলেই আমারা আসাবাদী। '
পুরসভার তরফ থেকে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকবে পুরসভার শিবির। দর্শনার্থীদের জন্য শহরের আটটি জায়গায় থাকবে জলের গাড়ি। কার্তিক লড়াইয়ে এ বছর প্রায় ২০ হাজার জলের পাউচ বিতরণ করবে পুরসভা। প্রত্যেক পূজা কমিটিকে ২০০ করে জলের পাউচ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ও পুরসভার সোমবার নিজস্ব দুটি স্বাস্থ্য শিবির রাখবে। দুটি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা থাকবে জরুরী অবস্থার জন্য।
প্রায় ৭০ টি পূজা কমিটি অংশ নেবে কার্তিক লড়াই শোভাযাত্রায়। চার কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে পরিক্রমা করবে শোভাযাত্রা। কাটোয়া শহরের বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন বিখ্যাত লড়াই দেখতে। রাতে ফিরতে অনেক সময় অনেকেই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েন। বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছেন পুরসভা। কাটোয়া বারোয়ারি তলা ও টেলিফোন ময়দানের কাছে দুটি শিবির করা হয়েছে রাতে অন্তত প্রায় ১০০ জন থাকতে পারবেন এই শিবিরে। কাটোয়া চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ' আমরা পুরসভার তরফে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিচ্ছি, যাতে কার্তিক লড়াই দেখতে এসে কারও কোনো সমস্যা না হয়। রাতে থাকার শিবির ও করেছি আমরা। সেই সঙ্গে লড়াইয়ের আগে একবার রাস্তা ঘাট পরিষ্কার করে দাওয়া হবে।'
কাটোয়া শহরের প্রাণের উৎসব কার্তিক লড়াই। পুরসভার তরফ থেকে জানা গেছে, শহরে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। লড়াই উপলক্ষে গোটা শহর জুড়ে পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে প্রায় ৮০০। শহরের প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে থাকবে পুলিশ। সঙ্গে থাকছে র্যাফ ও। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন 'লড়াইয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ থাকবে শহর জুড়ে, থাকছে একাধিক পুলিশ শিবির। সিসি ক্যামেরায় সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হবে। কে কোন মোড়ে থেকে লড়াইয়ের রুটে ঢুকবে তা আমরা ঠিক করে দিয়েছি। গেট গুলি কতটা চওড়া হবে সেই নির্দেশিকাও দাওয়া হয়েছে। সব মেনে চললে সমস্যা হবে না বলেই আমারা আসাবাদী। '
কোন মন্তব্য নেই