Header Ads

আত্মঘাতী প্রাক্তন বাম বিধায়ক, গভীর শোকের ছায়া বাম সংগঠনে।

নজরবন্দি ব্যুরো: খড়গ্রাম বিধানসভার প্রাক্তন বাম বিধায়ক ছিলেন মানবেন্দ্রনাথ সাহা। গত শুক্রবার ১৫ ই নভেম্বর গভীর রাতে বাম নেতার নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। না, এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক লড়াই নয়, মূলত শারীরিক অসুস্থতার অসহ্য কষ্ট জীবন যুদ্ধে হারিয়েছে তাঁকে। বাধ্য হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক। বাম ছাত্র রাজনীতির বহু লড়াইয়ের সঙ্গী তিনি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতার লড়াইটা লড়তে পারলেন না তিনি এমনটাই জানাচ্ছেন বামনেতার পরিবার। তাঁরা এও জানাচ্ছেন - " অনেকদিন ধরেই বামনেতা মানবেন্দ্রনাথ সাহা প্যানক্রিয়াস রোগে আক্রান্ত। অসহ্য কষ্ট হত তাঁর। মাঝে মাঝে তাঁর হাত - পা বেঁধেও রাখতে হত। রোগের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তিনি প্রায়ই আত্মীয়দের কাছে জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা বলতেন।" পরিবারের ধারণা, রোগের কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম কান্দুরি গ্রামের বাড়ি থেকেই প্রাক্তন বাম বিধায়ক মানবেন্দ্রনাথ সাহার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় খড়গ্রাম থানার পুলিশ।
বাম আমলে ২০০৬ - ২০১১ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ খড়গ্রাম বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন মানবেন্দ্রনাথ সাহা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রাক্তন বিধায়ক আত্মহত্যাই করেছেন। শনিবার (১৬ ই নভেম্বর) সকালে ময়না তদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁর মৃতদেহ। এইদিন প্রাক্তন বিধায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বামকর্মী সমর্থকরা তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন স্থানীয় বামনেতা ও মানবেন্দ্রনাথবাবুর সহকর্মী বিশ্বনাথ বাড়ুই বলেন, "১৯৭৭ সালে বামছাত্র রাজনীতির অঙ্গ ছিলেন মানবেন্দ্রবাবু। শিক্ষকতা করেছেন প্রাথমিক স্কুলে। শিক্ষকতার সঙ্গেই বাম আন্দোলনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন। দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দলের বড় ক্ষতি হল।"

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.