ধন্যি মেয়ে! দেশের প্রথম বিমানবন্দরের মহিলা দমকলকর্মী উত্তর কলকাতার এই বঙ্গতনয়া
নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিমান দুর্ঘটনা ঘটলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে উদ্ধার করতে হবে বিমানকর্মী এবং যাত্রীদের। ওই সময়ের মধ্যে আগুন নেভানো না গেলেই সব শেষ। তাই খুব দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় দমকল বাহিনীকে। এরকম জীবনপণ লড়াইয়ে পুরুষদেরই আধিপত্য ছিল এতদিন। সেই আধিপত্যকেই এবার ভাঙলেন দমদম মেট্রো স্টেশনের পাশে সেন্টার সিঁথি রোডের বাসিন্দা তানিয়া সান্যাল। এখন তিনি বাংলার গর্ব, দেশের সমস্ত মহিলার কাছেই আইকন। তানিয়ার জীবন পাল্টে দেয় বিজ্ঞাপন। ২০১৭ সাল। উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। স্বপ্ন ছিল, আমলা হওয়ার। একদিন তাঁর চোখে পড়ে, খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘জুনিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন ফায়ার সার্ভিস’ পদে লোক চাইছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। চাকরিটা একটু অন্যরকম মনে হয়েছিল তাঁর। আবেদন করে দিলেন।
আবেদন করার পর তিনি লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেন, উত্তীর্ণ হলেন শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষাতেও। তারপর শুরু হল প্রশিক্ষণ। মোট ৫৫ জনের ট্রেনিং হয়েছিল, যার মধ্যে তিনিই একমাত্র ছিলেন মহিলা। কঠোর ট্রেনিং শেষ করে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কলকাতা বিমানবন্দরের দমকল যোগ দিলেন। সারা দেশে তিনিই বিমানবন্দরের দমকল বাহিনীর প্রথম মহিলা অফিসার। বছর ২৭-এর তানিয়া এখন কলকাতা এয়ারপোর্ট ফায়ার ট্রেনিং সেন্টারের একজন প্রশিক্ষক। কিছুদিন আগেই লাভ করেছেন 'সেফটি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সেফটি অ্যাওয়ার্ড'। এখনও অবধি কলকাতা বিমানবন্দরে কোনো বড়ো মাপের দুর্ঘটনা ঘটেনি। তাই, এখনও সরাসরি কোনো বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে হয়নি তানিয়াকে। তবুও নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন, যে কোনো আকস্মিক জরুরি পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নিজেকে তৈরি রাখছেন তিনি। তানিয়ার স্কুল জীবন কেটেছে সিঁথির রামকৃষ্ণ সংঘ সারদা বিদ্যামন্দিরে। রামমোহন কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। পড়াশোনার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা চালিয়ে গেছেন তিনি। স্কুলের স্পোর্টসে তাক লাগিয়ে দিতেন। পাশাপাশি, শাস্ত্রীয় নৃত্যেও তিনি পারদর্শী। বাবা কিশোর সান্যাল, মা রুমাদেবী এবং দিদি তনিমাই তাঁর সবথেকে বড়ো প্রেরণা বলে জানিয়েছেন তানিয়া।
আবেদন করার পর তিনি লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেন, উত্তীর্ণ হলেন শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষাতেও। তারপর শুরু হল প্রশিক্ষণ। মোট ৫৫ জনের ট্রেনিং হয়েছিল, যার মধ্যে তিনিই একমাত্র ছিলেন মহিলা। কঠোর ট্রেনিং শেষ করে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কলকাতা বিমানবন্দরের দমকল যোগ দিলেন। সারা দেশে তিনিই বিমানবন্দরের দমকল বাহিনীর প্রথম মহিলা অফিসার। বছর ২৭-এর তানিয়া এখন কলকাতা এয়ারপোর্ট ফায়ার ট্রেনিং সেন্টারের একজন প্রশিক্ষক। কিছুদিন আগেই লাভ করেছেন 'সেফটি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সেফটি অ্যাওয়ার্ড'। এখনও অবধি কলকাতা বিমানবন্দরে কোনো বড়ো মাপের দুর্ঘটনা ঘটেনি। তাই, এখনও সরাসরি কোনো বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে হয়নি তানিয়াকে। তবুও নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন, যে কোনো আকস্মিক জরুরি পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নিজেকে তৈরি রাখছেন তিনি। তানিয়ার স্কুল জীবন কেটেছে সিঁথির রামকৃষ্ণ সংঘ সারদা বিদ্যামন্দিরে। রামমোহন কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। পড়াশোনার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা চালিয়ে গেছেন তিনি। স্কুলের স্পোর্টসে তাক লাগিয়ে দিতেন। পাশাপাশি, শাস্ত্রীয় নৃত্যেও তিনি পারদর্শী। বাবা কিশোর সান্যাল, মা রুমাদেবী এবং দিদি তনিমাই তাঁর সবথেকে বড়ো প্রেরণা বলে জানিয়েছেন তানিয়া।

No comments