ঐক্য মঞ্চের ডেপুটেশন বিকাশভবনে, নির্দেশ প্রত্যাহার হতে পারে স্টাফ প্যাটার্নের?
নজরবন্দি ব্যুরোঃ আজ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে আমরা অসঙ্গতিপূর্ণ স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং কমিশনারের উদ্দেশ্যে দাবি পত্র জমা দেন শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিরা। পাঁচ জনের এক প্রতিনিধিদল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন এবং ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ স্কুল অলোক সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিস্তারিত ভাবে এই সংক্রান্ত সমস্যা গুলি তুলে ধরেন।
কমিশনার সৌমিত্র মোহন এবং ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ স্কুল অলোক সরকার প্রতিনিধি দলকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, "এ বিষয়ে শিক্ষক মহাশয়দের কোন অসুবিধা হোক এমন কাজ আমরা করবো না।" তবুও প্রতিনিধি দল তাঁদের জানায়, অনলাইনের মাধ্যমে স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করার সময় বিভিন্ন বিষয়ের নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্ধারিত বিষয়(subject) বদলে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্কুলে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে উদ্বৃত্ত দেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাঁদের বাধ্যতামূলক বদলির আশঙ্কা থেকেই যায়। এর ফলে জেনারেল বা মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ্যাপ্রুভাল অনুযায়ী নরমাল সেকশনে নিযুক্ত শিক্ষকদের বাধ্যতামূলকভাবে আপার প্রাইমারিতে নামিয়ে আনায় পদমর্যাদাগত অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে।
ক্লারিফিকেশনে সিনিয়রিটির কথা বলা থাকলেও অনলাইনে সাবমিটের সময় অনেক ক্ষেত্রে তা কার্যকরী হচ্ছে না।"
শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, "আমরা তাঁদের কাছে দাবি জানিয়েছি আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতৃত্বদের নিয়ে ওয়ার্কশপ বা আলোচনা সভার আয়োজন করা হোক। তারপর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে ক্লারিফিকেশন জারি করা হোক শিক্ষা দপ্তর থেকে। উত্তরে তাঁরা জানিয়েছেন আমাদের দেওয়া প্রতিটি পয়েন্ট তাঁরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবেন এবং তার ভিত্তিতে প্রয়োজনে আরও একটি ক্লারিফিকেশন জারি করা হতে পারে। আমরা তাঁদের জানিয়েছি এছাড়া কোনোভাবেই আমরা স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করব না।
তাঁরা ২৫ শে নভেম্বর পর্যন্ত দেখবেন কতগুলো বিদ্যালয় এ ব্যাপারে তাদের স্টাফ প্যাটার্ণ সাবমিট করেন তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমরা জানিয়েছি স্টাফ প্যাটার্ন সংক্রান্ত সমস্যা গুলি সমাধানের জন্য তাঁরা যদি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তাহলে শিক্ষকসমাজ কোনভাবেই এই নির্দেশ মেনে নেবেন না।" অন্যদিকে অনলাইনে ষ্টাফ প্যাটার্ণ দাখিল করার সময় যেসব শিক্ষকদের এক্সেস হিসাবে দেখানো হচ্ছে তাঁদের নিজস্ব বিষয় কোনভাবেই বদলানো যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা আধিকারিক বলে জানা গেছে।
আজকের ডেপুটেশনে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা হলেন ঐকমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তমাল মন্ডল, সুলগ্না পাল, প্রবাল চক্রবর্তী এবং রাজিব ঘোড়াই প্রমুখ।
কমিশনার সৌমিত্র মোহন এবং ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ স্কুল অলোক সরকার প্রতিনিধি দলকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, "এ বিষয়ে শিক্ষক মহাশয়দের কোন অসুবিধা হোক এমন কাজ আমরা করবো না।" তবুও প্রতিনিধি দল তাঁদের জানায়, অনলাইনের মাধ্যমে স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করার সময় বিভিন্ন বিষয়ের নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্ধারিত বিষয়(subject) বদলে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্কুলে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে উদ্বৃত্ত দেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাঁদের বাধ্যতামূলক বদলির আশঙ্কা থেকেই যায়। এর ফলে জেনারেল বা মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ্যাপ্রুভাল অনুযায়ী নরমাল সেকশনে নিযুক্ত শিক্ষকদের বাধ্যতামূলকভাবে আপার প্রাইমারিতে নামিয়ে আনায় পদমর্যাদাগত অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে।
শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, "আমরা তাঁদের কাছে দাবি জানিয়েছি আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতৃত্বদের নিয়ে ওয়ার্কশপ বা আলোচনা সভার আয়োজন করা হোক। তারপর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে ক্লারিফিকেশন জারি করা হোক শিক্ষা দপ্তর থেকে। উত্তরে তাঁরা জানিয়েছেন আমাদের দেওয়া প্রতিটি পয়েন্ট তাঁরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবেন এবং তার ভিত্তিতে প্রয়োজনে আরও একটি ক্লারিফিকেশন জারি করা হতে পারে। আমরা তাঁদের জানিয়েছি এছাড়া কোনোভাবেই আমরা স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করব না।

No comments