গিনেসবুকে রেকর্ড গড়ল বাংলার গোবিন্দভোগ চাল!
নজরবন্দি ব্যুরোঃ ইতিমধ্যেই ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ বা জিআই ট্যাগ পেয়েছে গোবিন্দভোগ। এবার সেই গোবিন্দভোগই সুগন্ধি বাসমতীকে পিছনে ফেলে বাংলার মুকুটে যুক্ত করল 'গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড'-এর পালক।
রেকর্ডের জন্য একটি প্যাকেটে ৬০০ কেজি গোবিন্দভোগ চাল ভরা হয়। এত দিন পর্যন্ত একটি প্যাকেটে ৫৫০ কেজি বাসমতী চাল ভরার রেকর্ড ছিল।
যে প্যাকেটে এই চাল ভরা হয় তার উচ্চতা ৮ ফুট, চওড়ায় ৪ ফুট। ২০১৬ সালে দুবাইয়ে এই রেকর্ড গড়েছিল বাসমতী। সম্প্রতি এই অভিনব রেকর্ড গড়ল গোবিন্দভোগ। গোবিন্দভোগ চালের প্রতি মানুষের যত উত্সাহ বাড়বে ততই বাংলার কৃষকরা উপকৃত হবেন। বাসমতী উৎপাদিত হয় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে। মূলত বর্ধমান জেলাতেই উৎপাদন হয় গোবিন্দভোগের। এই জেলার ২৫ শতাংশ চাষি এই চাল উৎপাদন করেন। অল্প কিছু পরিমাণ চাল হুগলির আরামবাগেও উৎপন্ন হয়। ২০১৭–য় গোবিন্দভোগ জিআই ট্যাগ পায়।
বাংলায় উৎপাদিত হলেও, এই চাল মূলত যায়
দক্ষিণ ভারতে। দক্ষিণ ভারতে এই চালের বিরাট চাহিদা। ভাল বিরিয়ানির জন্য দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দারা মূলত গোবিন্দভোগকেই বেছে নেন। বিশেষ করে কেরলে এই চালের খুবই চাহিদা।
বলা হয়, কলকাতা শহরের পত্তন হচ্ছে যখন, তখন হুগলির চার বসাক ও এক শেঠ পরিবার গোবিন্দপুর গ্রামের (অধুনা কলকাতার গড়ের মাঠ) জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে গোবিন্দ মন্দিরের খোঁজ পান। নদীর ধারেই তাঁরা শুরু করেন সুগন্ধী ধানের চাষ। গোবিন্দর উদ্দেশে ওই ধানের চাল ভোগ দেওয়া হত। তাই এর নাম হয় ‘গোবিন্দভোগ’। পায়েস, পোলাও, পিঠে মানেই যার প্রয়োজন হয় অবধারিত ভাবে।
যে প্যাকেটে এই চাল ভরা হয় তার উচ্চতা ৮ ফুট, চওড়ায় ৪ ফুট। ২০১৬ সালে দুবাইয়ে এই রেকর্ড গড়েছিল বাসমতী। সম্প্রতি এই অভিনব রেকর্ড গড়ল গোবিন্দভোগ। গোবিন্দভোগ চালের প্রতি মানুষের যত উত্সাহ বাড়বে ততই বাংলার কৃষকরা উপকৃত হবেন। বাসমতী উৎপাদিত হয় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে। মূলত বর্ধমান জেলাতেই উৎপাদন হয় গোবিন্দভোগের। এই জেলার ২৫ শতাংশ চাষি এই চাল উৎপাদন করেন। অল্প কিছু পরিমাণ চাল হুগলির আরামবাগেও উৎপন্ন হয়। ২০১৭–য় গোবিন্দভোগ জিআই ট্যাগ পায়।

No comments