নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের চমকে দেওয়া ৭ তথ্য, জানতে হলে পড়তেই হবে।
নজরবন্দি ব্যুরো: অসমে জাতীয় নাগরিকপুঞ্জি প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ১৭ লক্ষ সন্দেহজনক ভোটার বা 'ডি' ভোটার চিহ্নিত হয়েছে, যা আদতে হিন্দু। এবার কেন্দ্রের মোদি সরকার গোটা দেশজুড়ে এনআরসি লাঘু করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সোমবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে সংসদের চলতি সেশনেই পাশ হয়ে যেতে পারে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। কেন্দ্রের গেরুয়া শিবির মরিয়া হয়ে উঠেছে এই বিল পাশ করানোর জন্য। আসুন দেখে নেওয়া যাক নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ৭ চমকপ্রদ তথ্য, যা আপনাকে চমকে দেবেই। ১) নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ১৯৫৫ মোতাবেক আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রীস্টান ধর্মের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে হবে। ২) মুসলিম দেশগুলোর সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া একমাত্র লক্ষ্য।
৩) তবে নাগরিকত্ব প্রশ্নে ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতে বসবাস করার শংসাপত্র জরুরী। নয়া সংশোধনী আইনে প্রস্তাব রাখা হয়েছে সময় কমিয়ে ছয় বছর করা হয়েছে। ৪) এই আইন অনুসারে যার মা বাবা ভারতীয় তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। ৫) যদি কোন ব্যক্তি ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করে দীর্ঘদিন ধরে এদেশে বসবাস করে থাকেন তাহলেও নাগরিকত্ব পাবেন। ৬) ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং খ্রীস্টানরা ছাড় পাবেন।
তাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই যারা ভারতের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাদের জেলে পাঠানো হবে না কিংবা নিজেদের দেশে পাঠানো হবে না। ৭) ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী এইসব ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে। এই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তর্ক তত্ত্ব নিয়ে কচকচানি কম হচ্ছে না। মুসলিমদের নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে। ভারতের সংবিধানে সমতা বিধান বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য। দেশের বিরোধী দলগুলো সরব হয়ে উঠেছে সংবিধানের পবিত্রতা এবং প্রাধান্যকে রক্ষা করার জন্য।
তাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই যারা ভারতের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাদের জেলে পাঠানো হবে না কিংবা নিজেদের দেশে পাঠানো হবে না। ৭) ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী এইসব ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে। এই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তর্ক তত্ত্ব নিয়ে কচকচানি কম হচ্ছে না। মুসলিমদের নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে। ভারতের সংবিধানে সমতা বিধান বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য। দেশের বিরোধী দলগুলো সরব হয়ে উঠেছে সংবিধানের পবিত্রতা এবং প্রাধান্যকে রক্ষা করার জন্য।
কোন মন্তব্য নেই