১৩৮ জন শ্রমিক ফিরলেন নিজেদের ঘরে, উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ কাজের সূত্রে বহু মানুষ নিজের ঘর নিজের জায়গা নিজের দেশ ছেড়ে অন্য জায়গায় যায় কিছু বেশি টাকা রোজগার করার জন্য। এমনি কিছু বাঙালি শ্রমিক যারা শ্রীনগর ও কাশ্মীরে থাকতেন কাজের সুবাদে। সেখানে তাদের কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ২৯ অক্টোবর রাতে কুলগামের কাতরাসু গ্রামে জঙ্গিদের হামলায় মারা যায় বাঙালি শ্রমিক। কাশ্মীরের কুলগামে মুর্শিদাবাদের পাঁচ বাসিন্দাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার দুঃসংবাদ সেই রাতেই শ্রীনগরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকেই ঘরবন্দি হয়ে ছিলেন শ্রমিকেরা। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশের প্রচেষ্টায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের সেই ভয়ানক ঘটনার বিবরণ দিলেন শ্রীনগর থেকে কলকাতায় ফেরা বাঙ্গালি শ্রমিকেরা। সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে মোট ১৩৮ জন বাঙালি শ্রমিক কলকাতা স্টেশনে এসে পৌঁছন।
২৯ অক্টোবর রাতে কুলগামের কাতরাসু গ্রামে জঙ্গিদের গুলির শিকার হন যে পাঁচ শ্রমিক তারা সকলেই মুর্শিদাবাদের বাহালনগরের বাসিন্দা। একদিকে কাশ্মীরের অশান্ত পরিবেশ তার মধ্যে এই রকম ঘটনার জেরে প্রবল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিরা। এই পরিস্থিতির মধ্যে থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১৩৮ জন শ্রমিকদের সোমবার বিকেলে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য কলকাতা স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ১৩৮ জন শ্রমিকদের ব্যারিকেড করে প্ল্যাটফর্মের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পাঁচটি সরকারি বাসে করে তাঁদের সকলকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
নবান্ন সুত্রে জানা যায়, কাশ্মীর থেকে ফেরত আসা ১৩৮ জন শ্রমিকদের মধ্যে ১১২ জনই দক্ষীণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি অসমে এর বাকিরা উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বীরভূম এবং মালদহের বাসিন্দা। কাশ্মীরের বাঙালি শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ঘিরে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মিছিল।
দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশ্মুন্ডির বাসিন্দা বাবুল হক কর্ম সূত্রে শ্রীনগরে থাকতেন। তিনি বলেন, ''কুড়ি বছর ধরে শ্রীনগরে প্লাইউডের কাজ করছিলাম। পাঁচ বাঙালিকে খুন করা হয়েছে শুনে আমরা মালিকের আতঙ্কে থাকতাম। ঘর থেকে বেরোতে ভয় পেতাম। সেনাবাহিনী ও পুলিশ আমাদের বলেছিলেন এই পরিস্থিতিতে আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না।
অন্য এক শ্রমিক আব্দুল কালাম আজাদের কথায়, ''রাজ্য সরকার যে-ভাবে আমাদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করল, তাতে আমরা খুশি।'' একই সঙ্গে শ্রমিকদের দুর্ভাবনা, বেশি টাকা রোজগারের আশায় তাঁরা কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। এখানে ফিরে তত টাকা আয়ের সুযোগ মিলবে কি?
ফিরহাদ বলেন, ''এখানে একশো দিনের কাজ আছে। কাশ্মীরের মতো অত টাকা পাবেন না ঠিকই। তবে ওঁরা এ রাজ্যে শান্তিতে থাকতে পারবেন।''
২৯ অক্টোবর রাতে কুলগামের কাতরাসু গ্রামে জঙ্গিদের গুলির শিকার হন যে পাঁচ শ্রমিক তারা সকলেই মুর্শিদাবাদের বাহালনগরের বাসিন্দা। একদিকে কাশ্মীরের অশান্ত পরিবেশ তার মধ্যে এই রকম ঘটনার জেরে প্রবল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিরা। এই পরিস্থিতির মধ্যে থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১৩৮ জন শ্রমিকদের সোমবার বিকেলে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য কলকাতা স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ১৩৮ জন শ্রমিকদের ব্যারিকেড করে প্ল্যাটফর্মের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পাঁচটি সরকারি বাসে করে তাঁদের সকলকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই