জানেন কি একটি পরিণত ফুলকপি আপনার জন্যে কত উপকারী? পড়ুন
নজরবন্ফুদি ব্লযুরোঃ কপি সবজির মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর সবজি, যা রান্না কিংবা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি রয়েছে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। শীতের খোঁজ নেই কিন্তু এর মধ্যেই বাজারে ভরে উঠছে ফুলকপি,অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এর মধ্যেই বাজারে ভরে উঠছে ফুলকপি। এবার জানুন ফুলকপির নানা গুণ ...১)মূত্রথলি ও নারীদের প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম। ২)ফুলকপিতে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এমনকি দেহের কোথাও কেটে গেলে ফুলকপির কচি পাতার রস লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। ৩)ফুলকপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান রয়েছে, যা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে,এছাড়া এর ফাইবার খাবার হজম করতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৪)ফুলকপি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে, এর সালফোরাফেন নামের উপাদানটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং কিডনি সুস্থ রাখে। ৫)ফুলকপিতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস নামে এমন এক উপাদান রয়েছে যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়। ৬)ফুলকপিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন-বি রয়েছে, যা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেননা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়। ৭)এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান,গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি। ৮)নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। ৯)অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়ার হাত থেকেও বাঁচায় ফুলকপি। কারণ এতে রয়েছে দাঁত-মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লুরাইড। উপাদানগুলো দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি ও বাড়ন্ত শিশুদের দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০)ফুলকপিতে আছে ভিটামিন বি-সি-ও-কে যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। ফুলকপি সতর্কতা উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের রোগীরা নিঃসঙ্কোচে ফুলকপি খেতে পারেন। কেননা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং কোলেস্টেরল কমাতে এই সবজিটি আমাদের বন্ধু। এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক। তবে যারা কিডনি ও থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ফুলকপি বেশি না খাওয়াই ভালো,কারণ এতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও কেউ খেতে চাইলে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ..

No comments