সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে দুশ্চিন্তায় 'দিদি', বাংলায় আসছে নতুন রাজনৈতিক দল।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে তৃণমূলের আধিপত্য কতদূর অটুট থাকবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে আসাউদ্দিন ওয়াইসির 'অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন' বা এআইএমআইএম। গত মাসেই বাংলা বিহার সীমানায় অবস্থিত কিষানগঞ্জ উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে এই দলের প্রার্থী। এরপরই বাংলায় সংগঠন বিস্তারে আরও জোর দিয়েছে ওয়াইসির দল। জানা যাচ্ছে, ২০২১-এর ভোটে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী দেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছে এআইএমআইএম।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এআইএমআইএম-র মুখপাত্র তথা দলের তরফে বাংলার সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অসিফ ওয়াকার বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সব গ্রামেই আমাদের দলের অস্তিত্ব রয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে আমরা লড়াই করব। এই প্রথমবারের জন্য সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’ ইতিমধ্যেই নাম না করে বাংলায় এআইএমআইএম-র সংগঠন বিস্তার নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কোচবিহারে তৃণমূলের একটি কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনীতিতে হিন্দু চরমপন্থার মতোই সংখ্যালঘুদের মধ্যেও চরমপন্থা প্রকাশ পাচ্ছে। বিজেপির কাছে ওরা টাকা নেয়। ওই গোষ্ঠীর নেতারা উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় মিটিং করেছে এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। এদের কথায় কান দেবেন না।’ এরই মাঝে এআইএমআইএম-র মুখপাত্রের দাবি ঘিরে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইদানীং এ রাজ্যে মুসলমানদের ভোটের সিংহভাগই যায় তৃণমূলের ঝুলিতে।
মমতার মন্তব্যের জবাবে মঙ্গলবার আসাউদ্দিন ওয়াইসি টুইটে জানান, ”এআইএমআইএম বাংলায় পোক্ত হচ্ছে। আমাকে নিশানা করে আপনি বাংলার মুসলমানদের এই বার্তাই দিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয় ও হতাশা ভুগছেন। বাংলার সংখ্যালঘুদের যে উন্নয়ন হয়নি। মমতা ‘দিদি’ কীভাবে বাংলায় ১৮টি আসন পেল বিজেপি?”
বাংলায় কোনও সরকারই সংখ্যালঘু মুসলমানদের স্বার্থের দিকে নজর দেয়নি বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন এআইএমআইএম-এর মুখপাত্র অসিফ ওয়াকারের। তাঁর কথায়, ‘আমরাই একমাত্র মুসলমানদের আধিকারের জন্য লড়াই করব।’ ওয়াকারের এহেন মন্তব্যে তৃণমূল শীর্ষ নেত্রী বিধানসভা নির্বাচনে যে অচিরেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন, এ সন্দেহ নেহাতই অমূলক নয়।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এআইএমআইএম-র মুখপাত্র তথা দলের তরফে বাংলার সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অসিফ ওয়াকার বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সব গ্রামেই আমাদের দলের অস্তিত্ব রয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে আমরা লড়াই করব। এই প্রথমবারের জন্য সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’ ইতিমধ্যেই নাম না করে বাংলায় এআইএমআইএম-র সংগঠন বিস্তার নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কোচবিহারে তৃণমূলের একটি কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনীতিতে হিন্দু চরমপন্থার মতোই সংখ্যালঘুদের মধ্যেও চরমপন্থা প্রকাশ পাচ্ছে। বিজেপির কাছে ওরা টাকা নেয়। ওই গোষ্ঠীর নেতারা উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় মিটিং করেছে এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। এদের কথায় কান দেবেন না।’ এরই মাঝে এআইএমআইএম-র মুখপাত্রের দাবি ঘিরে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইদানীং এ রাজ্যে মুসলমানদের ভোটের সিংহভাগই যায় তৃণমূলের ঝুলিতে।
কোন মন্তব্য নেই