ইডেন উদ্যানে শেখ হাসিনা, একান্ত বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে।
নজরবন্দি ব্যুরো: আজ শুক্রবার হাসিনার মূলত কলকাতা সফরের কারন ইডেনে ভারত - বাংলাদেশের দিন - রাতের ম্যাচ। এই ফাঁকে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করবেন। দিল্লির বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রনেই শেখ হাসিনার এই সফর। তবে মোদী নিজেই থাকতে পারছেন না। গোলাপি বলের ম্যাচের তুলনায়।, এই বৈঠকের আকর্ষণ ও কোনো অংশে কম নয়। ঠিক ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইডেনে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনিও আসতে পারছেন না বলেই খবর।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি সম্ভবত হাসিনা উত্থাপন করবেন না। ওই সূত্র এও জানিয়েছে, তিস্তা নিয়ে মোদী সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে ঢাকা। এই বিষয়ে সহমত তৈরির চেষ্টা চলছে বলে হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে মোদী সরকারের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে কয়েক মাস আগেই। সূত্রের খবর, তিস্তার জল বন্টন চুক্তি ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারত - বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক যে সব বিষয় এখনও মীমাংসাহীন তা নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বার আমার দেখা হবে। দুপুরে ইডেনে, সন্ধ্যায় তাজবেঙ্গল হোটেলে, পরে আবার ইডেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।'
রাজ্যের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তিস্তা চুক্তির বিরোধী, সেই বিষয়ে হাসিনা ওয়াকিবহল। মমতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সার্থ ক্ষুণ্ণ করে কোনো চুক্তি তিনি চান না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাসিনার মধুর সম্পর্ক উল্লেখ করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সেই আন্তরিকতাকে বাড়িয়ে তোলাই হাসিনার উদ্দেশ্য। তাই সৌজন্যের আবহ রেখেই দুই নেত্রী কথা বলবেন।
তবে কলকাতায় স্বাধীন বাংলা সরকারের সদর দফতর বলে চিহ্নিত বাড়ির সংরক্ষণের প্রস্তাব দিতে পারেন শেখ হাসিনা। আগামী বছর শেখ মুজিবের জন্মশতবর্ষ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান কলকাতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজরিত বাড়িগুলি এবং বঙ্গবন্ধুর ওই বাড়িটিও সংরক্ষণ করে প্রদর্শনশালা করা হোক।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি সম্ভবত হাসিনা উত্থাপন করবেন না। ওই সূত্র এও জানিয়েছে, তিস্তা নিয়ে মোদী সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে ঢাকা। এই বিষয়ে সহমত তৈরির চেষ্টা চলছে বলে হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে মোদী সরকারের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে কয়েক মাস আগেই। সূত্রের খবর, তিস্তার জল বন্টন চুক্তি ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারত - বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক যে সব বিষয় এখনও মীমাংসাহীন তা নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বার আমার দেখা হবে। দুপুরে ইডেনে, সন্ধ্যায় তাজবেঙ্গল হোটেলে, পরে আবার ইডেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।'
কোন মন্তব্য নেই