Header Ads

সোশ্যাল মিডিয়ায়ও নাকি এখন লাইকের বদলে লাইক,কমেন্টের বদলে কমেন্ট! #SpecialArticle

অরুনাভ সেনঃ বই পড়ার অভ্যাসটা কমেছে,কথাটা সঠিক না বেঠিক এই নিয়ে কিন্তু ইদানীং কালে বিতর্ক,একেবারে থেমে আছে বোধহয় ব্যপারাটা তেমন নয়৷ আসলে বই পড়ার অভ্যাস কমার জন্য বেশিরভাগ মানুষের অভিযোগের তীর কিন্তু সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের দিকে৷ কথাটা খুব ভুল বলে উড়িয়ে একেবারেই দেওয়া যায় না!আবার পুরোপুরি সঠিক, ব্যক্তিগত ভাবে ঠিক বিশ্বাস হয় না৷অভিযোগ অতীতে যারা নিয়মিত সার্বিক বিষয়ে পড়াশুনা করতেন, তারাই নাকি এখন অপেক্ষাকৃত বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত৷ তাদের সময়টা কাটে হয় ফেসবুকে অথবা whats app করেই!তবে বর্তমান সময়ই বলছে সময়টা আত্মসমীক্ষার, অর্থাৎ তথ্যের জন্য কোনটা জরুরী বেশী, সার্বিক পড়াশুনা নাকি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলিতে আত্মমগ্ন হয়ে থাকা! একটা বাস্তব সত্য হল, তথ্যের জন্য হয়ত পড়াশুনা প্রয়োজন, কিন্তু ফেসবুক না থাকলে সমাজ,মানুষ,কি চাইছে,কি নিয়ে আলোচনা করছেন,কোন বিষয়টা চান,কি পরিবর্তন তারা চান,সরকারের কাছে কোন বিষয় তাদের আরও প্রত্যাশা বোধহয় সেইসব বিষয়গুলি আজকাল অনেক বেশী স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায় এখান থেকেই৷তবে ভিন্ন মতের অনেকেই আছেন যারা বলেন একটু চোখ কান খোলা রাখলেই যেকোনও মানুষ বুঝতে পারবেন সমাজে প্রাসঙ্গিক বিষয় কোনটি,মানুষ কি চাইছেন,আর কি বা চাইছেন না৷এরজন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আসক্ত হওয়ার খুব বেশী দরকার বোধহয় নেই! উল্টোদিকের অনেকেই আছেন যারা খুব দৃড়কন্ঠে বলেন বর্তমান সময়টা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের স্বর্ণযুগ৷নিন্দুকদের আরো অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে হিসেবে ফেসবুক ভীষন জনপ্রিয়৷
তবে সেটাও অনেকের কাছে কমফোর্ট জোনে পরিণত হয়েছে৷এখানে সহমতের ও সমমানসিকতার মানুষেরা একে অন্যের পিঠ চাপড়ে দেন৷গঠনমুলক বিতর্ক কম,হলেও বেশীরভাগ সময় সেটি খেউড়,পরিশেষে ব্যক্তি কুৎসায় পরিনত হয়৷এইসবের কারনে অনেকেই নাকি অভিমানে ফেসবুক ছাড়ছেন!আরও মজার কিছু বিষয় আছে ফেসবুকে৷কথাগুলো ফেসবুকে দীর্ঘক্ষন সক্রিয় মানুষেরাই নিজেদের কমফোর্ট জোনেই বলে ফেলছেন আত্ম সমালোচনার সুরেই৷বিষয়টি একটু খোলামনে বিশ্লেষন করলে খুব মজার ও ইন্টারেষ্টিং কিছু তথ্য যে উঠে আসেনা,তেমনটাও নয়৷অনেকের খুব নিরপেক্ষ বক্তব্য এখানেও নাকি কিছু ক্ষেত্রে অলিখিত রীতি,সেই দেওয়া-নেওয়ার আদান প্রদানের,চেনা-চিরাচরিত চিত্রের৷অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, তাঁর ফেসবুকের বন্ধুর কোনও পোষ্ট,ছবি বা কোনও কিছু শেয়ার করা বিষয় পছন্দ না হলে যদি তিনি লাইক বা কমেন্ট না করেন তবে তিনিও যেন তাঁরই শেয়ার করা ফেসবুকের কোনও পোষ্টে,ছবিতে, বন্ধুদের কাছ থেকে লাইক,শেয়ার বা কমেন্টে কোনও প্রশংসাসূচক বা নেতিবাচক মন্তব্য যেন আশা না করেন!অর্থাৎ লাইক দাও বিনিময়ে লাইক নাও!
হয়ত সেলিব্রিটিরা এই নিয়মের বাইরে থাকেন৷বিশেষত হাই প্রোফাইল রাজনৈতিক নেতা বা সেলিব্রিটিরা ফেসবুকের এই ঘরানার ব্যতিক্রমী মানুষ,তবে তাঁরাও ট্রোলড হন,অনেকের অকারন সমালোচনার শিকার তাদের কপালে যে জোটে না সেই কথাটাও বলা যাচ্ছে না৷ অনেক মানুষই বলেন হয়ত ব্যতিক্রম মানুষরা নিশ্চিতভাবেই ফেসবুকে যতেষ্ট সক্রিয় আছেন,যারা ভাল কে মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করেন,পোষ্টের বিষয় বস্তু সম্পর্কে নিজের মতের মিল হলে লাইক,কমেন্ট থেকে শেয়ার করেন নির্বিধায়,নিঃসঙ্কচে৷তবে এসব ব্যতিক্রমী মানুষদের কথা৷ বরং নিন্দুকের অভিযোগ ফেসবুকে বেশীরভাগ মানুষই নাকি সেই নিয়ম-রীতি,নীতি, নাকি নিষ্ঠা ভরে মেনে চলার চেষ্টা করেন, অর্থাৎ লাইক দাও,বদলে লাইক নাও!নিন্দুক বলেন লাইকের বদলে লাইক,কমেন্টের বদলে কমেন্ট৷অভিযোগ আরও আছে ফেসবুককে অনেকে সালিশি সভা বানিয়ে ফেলেছেন৷সবাই সবটা জানেন,এমনই আত্মবিশ্বাসী মানুষদের সংখ্যাও এখানে বেশ অধিক,তাঁদের বক্তব্যের সুরে তারই বেশ রেশ মেলে৷ অনেকেই খেদের সুরে বলেন শেখার মানুষের সংখ্যা এখানে কম,বরং অনেকের হাবভাব সব বিষয়ে তাঁদের শেখার মত কোনও বস্তু আর অবশিষ্ট নেই,সবটাই তাঁদের নখদর্পনে!সে রাজনীতি হতে পারে,অর্থনীতি হতে পারে,শিক্ষা,সংস্কৃতি,খেলা,চলচ্চিত্র যেকোনও বিষয় তাঁদের অনায়াস দক্ষতা৷ফেসবুকের যারা সমালোচনা করেন তাদের বক্তব্যের জোরালো দিক যে কেউ এখানে যা খুশী করতে পারেন,কোনও এডিটিং নেই৷তবে ইতিবাচক দিক নিশ্চয়ই বেশী,না হলে কেন ভারতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে৷ সবথেকে বড় কথা ফেসবুক সেই শক্তিশালী মাধ্যম যেখানে এক লহমায় নিজের বক্তব্য অংসখ্য মানুষের কাছে নিমেষে পৌঁছে দেওয়া যায়,যা মেটষ্ট্রীম মিডিয়াও বোধহয় পারেনা,বা সমাজের চোখে সেলিব্রিটি নন অতি সাধারন মানুষের সুখ,দুঃখ,আনন্দের অনুভূতি মুহূর্তে অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে যা মেনস্ট্রীম মিডিয়াতে কল্পনা করা যায় না৷এরপরেও আছে অনেক সামাজিক কর্মকান্ড যার প্রচার করতে পারে একমাত্র ফেসবুকই খুবই দ্রুতলয়ে,সেই বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে মানুষকে অবগত করা হয়ত ফেসবুক ছাড়া সম্ভবই নয়৷সবমিলিয়ে এটুকু বলা যায় প্রাপ্তিযোগ নিশ্চয়ই বেশী,না হলে কেন বাড়বে ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা,যতই নিন্দুক বলুক ফেসবুক করে সময় নষ্ট করার মন বা মানসিকতা কোনওটাই নেই,বা ফেসবুক মানে কমফোর্ট জোন বা পছন্দের মানুষদের স্তুতি!
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.