কলকাতায় যৌন হেনস্থার শিকার শিল্পী
নজরবন্দি ব্যুরো: গত শনিবার গভীর রাতে মুরারিপুকুরের ২০- পল্লি গণেশ পুজোর জলসায় এক তরুণী গায়িকা শিল্পীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠলো মুল উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে। বাগুইআটির বাসিন্দা ভুক্তভোগী ওই তরুণী অভিযোগের আঙুল তুলেছে পুজোর মুল উদ্যোক্তা সুরজিত সাহা ওরফে ভানুর বিরুদ্ধে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ভানু এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ জলসার শেষে অস্থায়ী গ্রিন রুমে তিনি ও তার সহ শিল্পীরা প্রবেশ করে। তখনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই গ্রিন রুমে ঢুকে ভানু চমকিয়ে ধমকিয়ে তাকে বাদে অন্যান্য শিল্পীদের বাইরে বের করে দেয়। এবং নিজের সঙ্গীদের বলে গ্রিন রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিতে। ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, এরপরে ভানু তাকে ১০ লক্ষ টাকার অফার দেয়। আর বলে তার সব কথা শুনতে হবে। ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, ভানুর টাকার অফার পাওয়া মাত্রই তিনি ওই গ্রিন রুম থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তখনই ভানু তার কোমড় জড়িয়ে ধরে।
ভানুর নখের আঁচড়ে হাত ছড়ে যায়। টানাহ্যাঁচড়া করে জামা ছিঁড়ে দেয়। আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। হাত জোর করার পরেও আমাকে ছেড়ে দেয় নি ভানু'। ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, তখনই গ্রিন রুমের বাইরে থাকা এক সজ্জন ব্যক্তি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। গ্রিন রুমের দরজা খুলে তাকে বের করে। এবং মোটরবাইকে চাপিয়ে তাকে উল্টোডাঙ্গা উড়ালপুল পর্যন্ত পৌছে দেয়। ওই সজ্জন ব্যক্তি মানিকতলা থানায় ফোন করে।
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে হানা দেয়। কিন্তু অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি, পালিয়ে গেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু বলেন, 'ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ ব্যবস্থা নিক'। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে,অভিযুক্ত নিজেকে তৃণমূল কর্মী পরিচয় দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখাতো। জলসায় তরুণীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে হানা দেয়। কিন্তু অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি, পালিয়ে গেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু বলেন, 'ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ ব্যবস্থা নিক'। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে,অভিযুক্ত নিজেকে তৃণমূল কর্মী পরিচয় দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখাতো। জলসায় তরুণীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই