১ বছর ধরে পারিশ্রমিক অনিয়মিত! চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে রাজ্যের এই পঞ্চায়েত কর্মীদের।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ এবার বঞ্চনার অভিযোগ আনলেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে Barefoot Technicians নিযুক্ত কর্মচারিরা। এই কর্মীদের নিয়োগ হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে ব্লক ভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে। ৯০ দিনের Residential ট্রেনিং শেষে পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের District Nodal officer এর স্বাক্ষরিত শংসাপত্র দেওয়ার পর ব্লকস্তরে চুক্তির ভিত্তিতে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে নিয়োগ করা হয়। একজন স্কিল লেবারের ৩৮২ টাকা রোজে পারিশ্রমিক হিসাবে মাসে ২০ দিনের রোজ দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে এই কর্মীদের ক্ষেত্রে। জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের যে Order copy দেওয়া হয়েছিলো, সেখানে উল্ল্যেখ আছে যে, রাজ্য সরকার চাইলে আমাদের মাসিক মাহিনার ব্যবস্থা করতে পারে (Memo No:J-11011/11/2015-RE(I), Date-19/08/16), যেটা অনান্য রাজ্য সরকার করেছে।
বর্তমানে কর্মীদের অভিযোগ, "আমরা যারা গ্রামাঞ্চলে কাজ করি সেখানে অল্পবিস্তর কাজ হওয়ার দরুন কোনো কোনো মাসে ২০ দিন পাই আবার কোনো কোনো মাসে কাজ কম হলে সেখানে ৮-১০ দিনের রোজ পাই। শহরতলীতে যারা কাজ করি সেখানে কাজ কম হওয়ার দরুন মাসে হয়তো ৮-১০ দিনের রোজ পাই। আবার কাজ না হলে একেবারেই পারিশ্রমিক পাইনা। অথচ প্রতিদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের উপস্থিত থাকতে হয় এবং নানাবিধ কাজ করতে হয়।গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা সবধরনের কাজই করে থাকি। যেমন- গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ গুলিতে ঘুরে ঘুরে MGNREGA প্রকল্পের নতুন কাজ তুলে আনা, ১০০ দিনের অদক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা বলে তাদেরকে কাজে উৎসাহিত করে তোলা, কাজ শুরুর পূর্বে কাজের জায়গা পরিদর্শন করে মোবাইলের মাধ্যমে Geo-tag করে কাজের স্থানে Lay-out দেওয়ার পর কাজ শুরু করা, কাজ চলাকালীন প্রতিদিন কাজের জায়গা পরিদর্শন করা, প্রতিদিনের কাজের শেষে কাজের পরিমাপ করে এনে নির্মান সহায়ক-কে পরিমাপ বই লিখতে সহযোগিতা করা, আলাদা আলাদা কাজের আলাদা আলাদা File তৈরী করে উক্ত কাজের যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করে রাখা থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের অনান্য তহবিলের কাজের (14 Th FC, own fund, PBG, etc) ক্ষেত্রেও একই কাজগুলি করা, বাংলার আবাস যোজনার সার্ভে এবং Geo-tag করা।
এমনকি আমাদেরকে GPMS করতে হয়, BLO কাজ থেকে শুরু করে নির্বাচনে (D/C এবং R/C) কাজ করতে হয়। আমরা STP(Skill Technical Person) ও GRS(Gram Rojkar sevak) এর সমান কাজ করি।তাতে আমরা মানসিক ভাবে এতটুকুও পিছিয়ে যাইনা। আমরা মাসিক মাহিনা পাই না। বর্তমানে প্রায় ১বৎসর যাবৎকাল কোনোরকম পারিশ্রমিক না পাওয়ার ফলস্বরূপ বর্তমানে আমরা অর্থনৈতিক সংকটের সহিত জীবিকা নির্বাহ করছি। মাসিক মাহিনা না পাওয়ার দরুন আর্থিক দিক থেকে বিপর্যস্ত আমরা।"
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৬৭২ জন এই ধরনের কর্মী আছেন (হাওড়া-৩০২ জন, পুরুলিয়া-২০ জন, মালদহ-২৯২ জন, দার্জিলিং-৩৫ জন, কালিম্পং-২৩জন )
কর্মীদের দাবি গুলি হলোঃ ১)মাসিক মাহিনা শুরু করা। ২)৬০ বৎসর পর্যন্ত কর্মসুনিশ্চয়তা। ৩)দূর্ঘটনা জনিত বীমা ও নির্দিষ্ট অর্থের সুবিধাদান।
বর্তমানে কর্মীদের অভিযোগ, "আমরা যারা গ্রামাঞ্চলে কাজ করি সেখানে অল্পবিস্তর কাজ হওয়ার দরুন কোনো কোনো মাসে ২০ দিন পাই আবার কোনো কোনো মাসে কাজ কম হলে সেখানে ৮-১০ দিনের রোজ পাই। শহরতলীতে যারা কাজ করি সেখানে কাজ কম হওয়ার দরুন মাসে হয়তো ৮-১০ দিনের রোজ পাই। আবার কাজ না হলে একেবারেই পারিশ্রমিক পাইনা। অথচ প্রতিদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের উপস্থিত থাকতে হয় এবং নানাবিধ কাজ করতে হয়।গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা সবধরনের কাজই করে থাকি। যেমন- গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ গুলিতে ঘুরে ঘুরে MGNREGA প্রকল্পের নতুন কাজ তুলে আনা, ১০০ দিনের অদক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা বলে তাদেরকে কাজে উৎসাহিত করে তোলা, কাজ শুরুর পূর্বে কাজের জায়গা পরিদর্শন করে মোবাইলের মাধ্যমে Geo-tag করে কাজের স্থানে Lay-out দেওয়ার পর কাজ শুরু করা, কাজ চলাকালীন প্রতিদিন কাজের জায়গা পরিদর্শন করা, প্রতিদিনের কাজের শেষে কাজের পরিমাপ করে এনে নির্মান সহায়ক-কে পরিমাপ বই লিখতে সহযোগিতা করা, আলাদা আলাদা কাজের আলাদা আলাদা File তৈরী করে উক্ত কাজের যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করে রাখা থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের অনান্য তহবিলের কাজের (14 Th FC, own fund, PBG, etc) ক্ষেত্রেও একই কাজগুলি করা, বাংলার আবাস যোজনার সার্ভে এবং Geo-tag করা।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৬৭২ জন এই ধরনের কর্মী আছেন (হাওড়া-৩০২ জন, পুরুলিয়া-২০ জন, মালদহ-২৯২ জন, দার্জিলিং-৩৫ জন, কালিম্পং-২৩জন )
কর্মীদের দাবি গুলি হলোঃ ১)মাসিক মাহিনা শুরু করা। ২)৬০ বৎসর পর্যন্ত কর্মসুনিশ্চয়তা। ৩)দূর্ঘটনা জনিত বীমা ও নির্দিষ্ট অর্থের সুবিধাদান।
কোন মন্তব্য নেই