দেশের অর্থনীতিতে চরম সঙ্কট; ভিলেন সেই "নোটবন্দি","জিএসটি"!
অরুনাভ সেনঃ ঝুলি থেকে বেড়াল বের হল৷দেশের অর্থনীতির মন্দার জন্য কার্যত খলনায়কের ভূমিকায় নোটবন্দি,জিএসটি,কার্যত স্বীকার করলেন যেকোনও অর্থনীতিবিদ নন,নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার৷দেশের আর্থিক মন্দা নিয়ে মুখ খুলে মোদি সরকারের যাবতীয় কৃতিত্বের ফানুস কিন্তু এক লহমায় ফাটিয়ে দিলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান৷
৭০ বছরে ‘অভূতপূর্ব’ এমন আর্থিক সঙ্কট! অতীতে দেখা যায়নি বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন নীতি আয়োগের নম্বর টু রাজীব কুমার৷কোনও সন্দেহ নেই ঠিক এই কথাগুলি বলার চেষ্টা করছিলেন দেশের বাম মনষ্ক অর্থনীতিবিদরা,এমন কি একই ধরনের কথার প্রতিচ্ছবি উঠে আসছিল কংগ্রেস সহ দেশের অন্যান্য বিরোধী নেতাদের কন্ঠে৷
মোদি-অমিত শাহ জুড়ি অবশ্য বারবার জাতীয়তাবাদ ও মেরুকরণের রাজনীতির তাস খেলে নির্বাচণী বৈতরণী পার হয়েছেন কিন্তু দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বা সম্ভাব্য মন্দা নিয়ে কখনও মুখ খোলেন নি,বা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন "ভয়ের কিছু নেই"এমন কিছু বলে৷কোনও সন্দেহ নেই দেশের মানুষকে আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,বেশ অনেকটা বছর আগেই৷বিজেপি তখন বিরোধী দল৷দুবারের ইউপিএ সরকার যেমন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ,তেমনই প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার প্রবল ঢেউ৷বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি স্বপ্ন দেখালেন আচ্ছে দিনের৷মানুষও বিকল্পের সন্ধানে৷ভোটের ফলে বিপর্যস্ত ইউপিএ৷ক্ষমতায় আসীন হল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার৷তখন দেশ জুড়ে কেবল মোদি হাওয়া৷মানুষও স্বপ্ন দেখছেন নিশ্চয়ই আসবে আচ্ছে দিন!বিরোধীরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে পারছে না,এমন আবহে কাটল মোটামুটি ২বছর৷
তারপর সেই ভয়ঙ্কর সময়৷ঘোষনা করা হল নোটবন্দির৷কাড়ার চেষ্টা হল মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা৷কালো টাকা উদ্ধারের নামে অসংগঠিত ক্ষেত্রকে তছনচ করা হল৷অসংখ্য মানুষ কাজ হারালেন৷অসংখ্য মানুষের দুবেলা পেট ভরে খাওয়ার নিরাপত্তা উবে গেল৷অথচ এই অসংগঠিত ক্ষেত্র জাতীয় আয় এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে৷লোকাল ট্রেন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি পাওয়া ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশে প্রথম কুঠারাঘাত নোটবন্দি৷প্রধানমন্ত্রী মানুন বা না মানুন নোটবন্দির সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে৷কমেছে নগদের জোগান৷বাজার থেকে হারিয়েছে নগদ৷অথচ অর্থনীতিবিদরা বলেন নগদ টাকা বাজারের অর্থনীতির ক্ষেত্রে দখিনা হাওয়া৷নোটবন্দির সিদ্ধান্তে সেই হাওয়া রুদ্ধ হয়েছে,থমকে গিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির প্রকৃত বিকাশ৷অথচ দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে
বাজেটে পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অর্থনীতির স্বপ্ন ফেরি করেছিল মোদি সরকার। কিন্তু সেই স্বপ্ন তো দূর, বর্তমান জিডিপির হার ধরে রাখাই সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে সরকার দেশের অর্থনীতি ও সাধারন মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর পরিত্রানের কোনও পথ এখনও বাতলে দিতে পারিনি৷
৭০ বছরে এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় অবিলম্বে চিরাচরিত প্রথার বাইরে বেরিয়ে যদি সরকার কোনও পদক্ষেপ না গ্রহন করে তবে ভারতীয় অর্থনীতির কঙ্কালসার চেহারা যে আরও বেআব্রু হয়ে পড়বে সেই হুঁশিয়ারির সেই সুর যেন শোনা গিয়েছে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের মুখে। দেশে ধুঁকছে গাড়ি শিল্প৷বিগত ৬মাসে প্রায় তিন লক্ষ কর্মী কাজ হারিয়েছেন৷সংস্থাগুলি নতুন করে আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের দিকে হাঁটছে৷অর্থাৎ আবারও আরও বহু মানুষ কর্মহীন হবেন৷উৎপাদন ক্ষেত্রে কার্যত ভাঁটার টান৷ নতুন কোনও শিল্প বা বিনিয়োগের রাস্তা তৈরি করা যাচ্ছে না। কিন্তু নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান যে বিপদের কথা বলছেন সেটি গোটা বাংলা করলে এমনই হয় বক্তব্যের তাৎপর্য, মূলধনের এই রকম সঙ্কটজনক পরিস্থিতি বিগত ৭০বছরে হয়নি৷
আর অর্থনীতির এই সংকটের কারন হিসেবে রাজীব কুমারের বিশ্লেষনের সঙ্গে সারা ভারতবর্ষের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে সামান্য অর্থনীতি পড়া মানুষদের সুর!তাল,ছন্দ সব মিলছে৷নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান স্পষ্ট বলেছেন পরিস্থিতিটা দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে পাল্টেছে গত চার বছরে।এবং তাঁর নিশানায় সেই নোটবন্দি, জিএসটি৷একটা সময় ছিল যখন বাজারে নগদ লেনদেন চলত ১০, ২০, ৩০, ৩৫ শতাংশ৷কিন্তু এখন সেই পরিমাণ অনকেটাই কমে নি,কমেছে
বাজারে নগদ মূলধনী লেনদেন ও বিনিয়োগ৷ নগদ মূলধন ধীরে ধীরে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। সেটা থামানো দরকার।অর্থাৎ বাজারের জন্য,দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য জরুরী টাকা৷স্বচ্ছতার সঙ্গে নগদ লেনদেন৷মনে রাখতে হবে মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত নগদ টাকা থাকলেই মানুষ জিনিসপত্র কেনেন,বাজার চাঙ্গা হয়,এক্সপ্রেসের গতির পাশাপাশি আড়ে ও বহড়ে বাড়ে দেশের অর্থনীতি৷ডিজিট্যাল ভারতবর্ষ হোক আমরা সবাই চাই৷তবে আরও আগে চাই খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থানের পাশাপাশি হাতে নগদ অর্থ,যে অর্থের সাহায্যে আমি কিনব পছন্দের কোনও জিনিস৷এখন দেখার নীতি আয়োগের নম্বর টুয়ের সতর্কবার্তা সরকার কানে তোলে কিনা!
মোদি-অমিত শাহ জুড়ি অবশ্য বারবার জাতীয়তাবাদ ও মেরুকরণের রাজনীতির তাস খেলে নির্বাচণী বৈতরণী পার হয়েছেন কিন্তু দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বা সম্ভাব্য মন্দা নিয়ে কখনও মুখ খোলেন নি,বা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন "ভয়ের কিছু নেই"এমন কিছু বলে৷কোনও সন্দেহ নেই দেশের মানুষকে আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,বেশ অনেকটা বছর আগেই৷বিজেপি তখন বিরোধী দল৷দুবারের ইউপিএ সরকার যেমন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ,তেমনই প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার প্রবল ঢেউ৷বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি স্বপ্ন দেখালেন আচ্ছে দিনের৷মানুষও বিকল্পের সন্ধানে৷ভোটের ফলে বিপর্যস্ত ইউপিএ৷ক্ষমতায় আসীন হল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার৷তখন দেশ জুড়ে কেবল মোদি হাওয়া৷মানুষও স্বপ্ন দেখছেন নিশ্চয়ই আসবে আচ্ছে দিন!বিরোধীরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে পারছে না,এমন আবহে কাটল মোটামুটি ২বছর৷
৭০ বছরে এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় অবিলম্বে চিরাচরিত প্রথার বাইরে বেরিয়ে যদি সরকার কোনও পদক্ষেপ না গ্রহন করে তবে ভারতীয় অর্থনীতির কঙ্কালসার চেহারা যে আরও বেআব্রু হয়ে পড়বে সেই হুঁশিয়ারির সেই সুর যেন শোনা গিয়েছে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের মুখে। দেশে ধুঁকছে গাড়ি শিল্প৷বিগত ৬মাসে প্রায় তিন লক্ষ কর্মী কাজ হারিয়েছেন৷সংস্থাগুলি নতুন করে আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের দিকে হাঁটছে৷অর্থাৎ আবারও আরও বহু মানুষ কর্মহীন হবেন৷উৎপাদন ক্ষেত্রে কার্যত ভাঁটার টান৷ নতুন কোনও শিল্প বা বিনিয়োগের রাস্তা তৈরি করা যাচ্ছে না। কিন্তু নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান যে বিপদের কথা বলছেন সেটি গোটা বাংলা করলে এমনই হয় বক্তব্যের তাৎপর্য, মূলধনের এই রকম সঙ্কটজনক পরিস্থিতি বিগত ৭০বছরে হয়নি৷
কোন মন্তব্য নেই