Header Ads

PRT স্কেলের কোন সম্ভাবনা নেই, তবে প্রাথমিকের জন্যে থাকছে একাধিক সুখবর। #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ন্যায্য বেতনের দাবিতে আমরন অনশনে নেমেছেন উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেনের সদস্যরা। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন রাজ্যের কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক, তাদের দাবি পিআরটি স্কেল অর্থাৎ কেন্দ্রীয় হারে বেতন। গ্রেড পে ৪২০০ টাকা করতে হবে পাশাপাশি বহুদূরে ট্রান্সফার হওয়া ১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনশনের প্রায় ২৭০ ঘন্টা কাটতে চললেও এই আন্দোলনকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেনা রাজ্য সরকার। যদিও যা খবর তাতে উস্থির অনশনের চাপেই নিজেদের অবস্থান বদল করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
যাই হোক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, "অনশনকারী শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থাকা উচিত, তাদের সরকার শিক্ষকদের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয়।এমন কোন রুল নেই যে পিআরটি স্কেল দিতেই হবে। ওঁদের দাবি অনুযায়ী গ্রেড পে করতে হলে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এখনই সেই টাকা সরকারের নেই। ধাপে ধাপে তা বাড়ানো যেতে পারে এর পরেও যদি ওরা ধর্না অনশন চালিয়ে যাক আমাদের কিছু করার নেই।"
শিক্ষকরা আশা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্যে কিছু করবেন। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন "যাঁরা কেন্দ্রের হারে মাইনে চান, তারা কেন্দ্রে যান! কাজ কর্ম নেই রাস্তায় বসে আছে সব!"
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিআইএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, "শিক্ষকরা চাইছেন দেশের অন্য রাজ্যগুলোর মত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন। এতে অন্যায়ের তো কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি না বুঝেই এই মন্তব্য করেছেন, আবোল তাবোল বকছেন।"
অন্যদিকে বিজেপি-র পক্ষ থেকে বহু নেতা-সাংসদ-বিধায়ক রা অনশন মঞ্চে এসে আশা জাগিয়েছিলেন তাঁরা তাঁদের পাশে আছেন এবং তাঁদের সরকার এলে মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকেই পিআরটি স্কেলে বেতন ঘোষণা করা হবে। দাঁতে দাঁত চেপে সেই আশার বানী শুনে তা হজম করার আগেই এসেছে দুঃসংবাদ! ভারতের অন্যতম বিজেপি শাসিত মনিপুরে সর্বস্তরের শিক্ষকদের বেতন কমিয়ে দিয়েছে বিজেপি সরকার! কাজেই শিক্ষকরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এই অবস্থায় আগামীকাল শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের সাথে বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো কি হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে শিক্ষামন্ত্রীর। সেই আলোচনা থেকে উঠে আশা সিদ্ধান্তই আগামীকাল দুপুর ১টায় নজরুল মঞ্চের বৈঠকে শোনাবেন তিনি, এবং সেটাই ফলপ্রসূ হবে। প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী এবিপিটিএ-র সাথে বৈঠকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের West Bengal Health Scheme-২০০৮ এর আওতায় আনতে চলেছে। খুব দ্রুত স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশনামা জেলায় জেলায় পাঠানোর ব্যাবস্থা হচ্ছে।শীঘ্রই বদলি প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে আবার।
শাসকদল সূত্রে খবর গ্রেড পে ৪২০০ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী ৪২০০ টাকা গ্রেড পের যায়গায় গ্রেড পে হতে পারে ৩৬০০ টাকা। বেতন কাঠামো হতে পারে ৭১০০ - ৩৭৬০০টাকা। যার ফলে সরকারের প্রায় ১১৭০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। নভেম্বরে ষষ্ঠ পে কমিশন ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর আগেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের কিছুটা বেতন বাড়ানো হবে। পে কমিশন ঘোষণা হওয়ার পরে বেতন বাড়িয়ে আরও আর্থিক চাপ রাজ্য সরকারের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।
উস্থি সংগঠন সূত্রে খবর, আগামীকাল বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তারাও। অনশন তুলবেন কিনা তা পার্থ বাবুর ঘোষণার ওপর নির্ভর করছে।
পাশাপাশি WBPTTA-এর রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানিয়েছেন "সরকার যদি গ্রেড- পে ATদের৩৬০০,HTদের৩৯০০ এবং পে-স্কেল ৭১০০ দেয়, আমাদের সংগঠন পুর্ণ সমর্থন করবে। তবে ২টো দাবি থেকে আমরা নড়ছি না তাহল মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পিটিটিআই দের নিয়োগ এবং পিআরটি স্কেল।" 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.