Header Ads

তৃণমূলের প্রতি নরম মনোভাব নয়, সমর্থকদের যুক্তিকে প্রাধান্য দিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ লোকসভার ফলাফলের বিশদ পর্যালোচনায় রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে কোনরকম নরম মনোভাবের সম্ভাবনায় জল ঢেলেই দিল সিপিএম৷বলতে দ্বিধা নেই সম্ভবত সিপিএমের এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন রাজ্যে সিপিএম তথা অগনিত বাম কর্মী,সমর্থক,থেকে শুভকাঙ্খিরা৷বস্তুত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই বিষয়ে বিতর্ক চলছে৷পার্টির অন্দরে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিতর্ক না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বাম কর্মী,সমর্থকেরা এক বা দুজন বাম নেতার তৃণমূলের সঙ্গে হাত ধরার ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রে,রে করে উঠেছেন৷
তাদের স্পষ্ট বক্তব্য কোনও অবস্থাতে বাম কর্মী-সমর্থকদের চোখে তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবে মিত্র হতে পারে না,বা বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রুখতে কোনও অবস্থায় যদি তৃণমূলের সঙ্গে নরম মনোভাব নেওয়া হয় বা ২১এর নির্বাচনে আঁতাত বা জোট হয় সেটি একান্তভাবে নেতাদেরই জোট হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দলের কর্মী,সমর্থকেরা এবং সেই জোটকে যে তারা মানবেন না, ভোটটাও দেবেন না,সেকথা দৃড় চিত্তে নিজেদের ফেসবুকের ওয়ালে জানাতে কুন্ঠা বোধ করেন নি৷সত্যিকথা বলতে কি তৃণমূলের সঙ্গে নরম মনোভাব যাতে কোনও ভাবে সিপিএম না নেয়,সেই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বাম কর্মী,সমর্থকেরা৷
তাদের মূল বক্তব্য ছিল যারা গ্রাম বাংলায় তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে এখনও লাল পতাকাটা কাঁধে তুলে নিতে ভয় পাননা কি অপরাধ তারা করেছিলেন?তাদের আরও বক্তব্য স্রেফ সিপিএম করার অপরাধে অনেকে এখনও অনেকেই ঘরছাড়া,অনেকে মিথ্যে কেস খেয়ে জেল খেটেছেন,অনেকে হয়ত আছেন আজও গারদের ওপারে৷বস্তুত বাম কর্মী,সমর্থকদের চাওয়াকেই কার্যত শিলমোহর দিল সিপিএমের সর্বভারতীয় সম্পাদক থেকে রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সুর্যকান্ত মিশ্র৷সর্বোপরি আরও একবার প্রমানিত হল বাম রাজনীতিতে নেতা ও কর্মীদের মানসিক বন্ধন আজও অটুট৷কর্মীদের আবেগ,যুক্তিকে প্রধান্য দিয়েই কঠিন সময়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ডাঃ সুর্যকান্ত মিশ্র৷দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তৃণমূলের মদতে বিজেপির মোকাবিলা বা বিজেপির সাহায্য নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই— দুই প্রবণতাই বিপজ্জনক।বামেদের চোখে দুটি দলই রাজনৈতিক ও আদর্শগত ভাবে শত্রু৷এদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, ধর্মনিরপেক্ষ ও গনতান্ত্রিক শক্তিকে একজোট করেই লড়তে হবে। এই নিয়ে দলে আর বিতর্ক নেই৷সহমত পোষন করেছেন
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও৷সব মিলিয়েএটুকু বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল -বিজেপির মোকাবিলায় পুনরায় কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে যেতে রাজ্য সিপিএমের আপাতত কোনও ছ্যুৎমার্গ নেই৷ তৈরি হয়েছে বাম-কংগ্রেসের আবার একসাথে পথ চলার পটভূমি৷ আরও একবার যৌথ কর্মসূচিতে ভাটপাড়াতে দেখা যাবে বাম নেতাদের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের৷ যদিও সেখানে কোনও দলের দলীয় পতাকা থাকবেনা বলেই এখনও পর্যন্ত খবর৷ বস্তুত সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্যের পর ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন জয়ের সুর বাম কর্মী,সমর্থকদের হৃদয়ে৷ডাঃ মিশ্রের বক্তব্যের নির্যাষ খুব পরিস্কার তৃণমূলের প্রতি নরম হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে না। উল্টোটাও চলবে না৷
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে বিপুল সংখ্যক ভোটার মনে করছেন তৃণমূল তাদের নিজস্ব রাজনীতি দিয়ে বিজেপির মোকাবিলা করতে পারছে না। ভাটপাড়ার পরিস্থিতি সেটাই প্রমান করে৷তৃণমূলের জমানায় বিজেপির বৃদ্ধি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা তারা উপলব্ধি করছেন৷সবার বক্তব্য মেরুকরনের রাজনীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বাম ও ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির সক্রিয়তা আরও প্রয়োজন৷রাজ্যে বিজেপির বাড় বাড়ন্ত তারাই রুখতে পারে৷তৃণমূল যে বিজেপির মোকাবিলায় পিছিয়ে পড়ছে সেটা বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ভাটপাড়া৷তাদের আরও বক্তব্য তৃণমূল নয় রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রুখতে তাদের পছন্দ বাম,ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তি৷
Loading...

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.