হয়তো প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইতে নেতৃত্ব দেবেন অগ্নিকন্যা মমতা! #Editorial
অর্ক সানা, সম্পাদকঃ প্রায় দেড় বছরের বেশি হতে চলল নিঃশব্দে বেড়ে চলা একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠনের আন্দোলন! বলা যায় না আগামী দিনের প্রাথমিক শিক্ষকরা হয়ত ক্লাস নেওয়ার সময় পরবর্তী প্রজন্মকে পড়াবেন বঞ্চনার প্রতিবাদে বঙ্গে শিক্ষক বিদ্রোহের কাহিনী। কিছুদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে রাজনৈতিক অন্দোলন প্রতিহত করার কায়দায় জল কামান দেগে বীরত্ব প্রদর্শন করে রাজ্যের প্রশাসন। শান্তি রক্ষা করতে হবে কিনা! যাই হোক জলকামান চলল, গ্রেফতারিও হল।
বিধানসভায় ডেকে সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে কথা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী, ১৫ দিনের মধ্যেই হবে ম্যাজিক! অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যেই কিছু একটা হবে। কথা দিলেন তবে রাখলেন না, ম্যাজিকের পরিবর্তে হল ভোজবাজি। তাই আবার আন্দোলন, যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের দাবিতে আবারও প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন UUPTWA পা বাড়িয়েছে আন্দোলনের পথে। বিকাশ ভবন অভিযান করেই খান্ত হননি তাঁরা। চলছে আমরন অনশন। ভাবা যায়, একটা রাজ্যের শিক্ষককূল অনশনে বসেছে শুধুমাত্র বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে! ইতিহাসে কোনদিন হয়েছে? উত্তর, না; ইতিহাসে কখনও হয়নি তবে এখন ইতিহাস রচনা হচ্ছে। বড্ড মিস করছি বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। আহাঃ আজ তিনি যদি থাকতেন শিক্ষকদের ভাবতেই হতনা। রাজ্য অচল করে দিতেন অগ্নিকন্যা। আসলে তিনি পীড়িতের দুর্দশা দেখতে পারেন না। মনে নেই সিঙ্গুর? মনে নেই নন্দীগ্রাম? ৮৫% মানুষ স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছেন তো কি হয়েছে ১৫% তো দেননি!
কাজেই আন্দোলন, বেকার যুবক ছাত্র কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে আড়াই হাজার কোটির ন্যানোকে রাজ্য ছাড়া করে তবেই ছেড়েছেন। সিঙ্গুরে এখন সোনা ফলে বলে শোনা যায়। নন্দীগ্রামে হাজার হাজার মানুষ খুন করে গলা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছিল তৎকালীন হার্মাদ শাসক সিপিআইএম, কেউ সে দৃশ্য দেখতে না পেলেও পেয়েছিলেন মমতা। বুদ্ধদেবের 'ক্যামিক্যাল হাব হবে না' ঘোষণার পরেও অবরুদ্ধ ছিল নন্দীগ্রাম। এখন নন্দীগ্রামও আনন্দে আত্মহারা, হার্মাদ চলে গেছে।
পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল এত হাসাহাসি করছে যে কান পাতলে লাফিং ক্লাবে বসে রয়েছি বলে মনে হয়। ছাত্র-যুবরা বছর বছর চাকরির পরীক্ষায় বসা ভুলে এখন স্বনির্ভর হতে শিখেছে, মমতা ব্র্যাণ্ড চপ আর মোদী ব্র্যাণ্ড পকোড়া দুটোই বেশ জনপ্রিয়।
যাই হোক ফেরা যাক মূল প্রসঙ্গে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি PRT Scale অর্থাৎ যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন। এই দাবি কি খুব অযৌক্তিক? মোটেই না রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের এই দাবির পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। NCTE দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলে প্রাথমিক শিক্ষকরা শিক্ষকতাই করতে পারতেন না। আগে যোগ্যতামান ছিল মাধ্যমিক পাশ। বর্তমানে HS ৫০% বা Graduate সঙ্গে ডিএলএড ট্রেনিং না থাকলে হওয়া যায়না প্রাথমিক শিক্ষক। এহেন যোগ্যতা নিয়ে শিক্ষকতা করবেন, আর বেতনের বেলায় সেই পুরনো মাধ্যমিক মান অনুযায়ী PB-২ তে তাঁরা বেতন পাবেন! ভারতবর্ষের সব কটি রাজ্যের মধ্যে এই দৃষ্টান্ত শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই আছে, বলা চলে ঘটমান বর্তমান!
মোটকথা আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বড্ড মিশ করছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু স্বপ্ন কিভাবে পূরন হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিজেই মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই নিজের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন! চমকে যাওয়ার কিছুই নেই, কারন যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে তিনি নিজেই এক চমকের নাম। কিছুদিন আগেই কাচরাপাড়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্না অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে এসেছেন পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বলা যায়না হয় শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে আর একবার ধর্নায় বসতেই পারেন তিনি।
তবে একটা কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে পোস্টাল সহ ইভিএমের যা ট্রেন্ড তাতে বলা যায়না হয়ত এমন দিন আসবে যেদিন প্রাথমিক শিক্ষকরা হকের দাবিতে আন্দোলন করবেন আর সামনে দাঁড়িয়ে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি সেদিন পূরন হবেই।
বিধানসভায় ডেকে সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে কথা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী, ১৫ দিনের মধ্যেই হবে ম্যাজিক! অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যেই কিছু একটা হবে। কথা দিলেন তবে রাখলেন না, ম্যাজিকের পরিবর্তে হল ভোজবাজি। তাই আবার আন্দোলন, যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের দাবিতে আবারও প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন UUPTWA পা বাড়িয়েছে আন্দোলনের পথে। বিকাশ ভবন অভিযান করেই খান্ত হননি তাঁরা। চলছে আমরন অনশন। ভাবা যায়, একটা রাজ্যের শিক্ষককূল অনশনে বসেছে শুধুমাত্র বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে! ইতিহাসে কোনদিন হয়েছে? উত্তর, না; ইতিহাসে কখনও হয়নি তবে এখন ইতিহাস রচনা হচ্ছে। বড্ড মিস করছি বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। আহাঃ আজ তিনি যদি থাকতেন শিক্ষকদের ভাবতেই হতনা। রাজ্য অচল করে দিতেন অগ্নিকন্যা। আসলে তিনি পীড়িতের দুর্দশা দেখতে পারেন না। মনে নেই সিঙ্গুর? মনে নেই নন্দীগ্রাম? ৮৫% মানুষ স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছেন তো কি হয়েছে ১৫% তো দেননি!
পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল এত হাসাহাসি করছে যে কান পাতলে লাফিং ক্লাবে বসে রয়েছি বলে মনে হয়। ছাত্র-যুবরা বছর বছর চাকরির পরীক্ষায় বসা ভুলে এখন স্বনির্ভর হতে শিখেছে, মমতা ব্র্যাণ্ড চপ আর মোদী ব্র্যাণ্ড পকোড়া দুটোই বেশ জনপ্রিয়।
মোটকথা আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বড্ড মিশ করছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু স্বপ্ন কিভাবে পূরন হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিজেই মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই নিজের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন! চমকে যাওয়ার কিছুই নেই, কারন যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে তিনি নিজেই এক চমকের নাম। কিছুদিন আগেই কাচরাপাড়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্না অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে এসেছেন পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বলা যায়না হয় শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে আর একবার ধর্নায় বসতেই পারেন তিনি।
তবে একটা কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে পোস্টাল সহ ইভিএমের যা ট্রেন্ড তাতে বলা যায়না হয়ত এমন দিন আসবে যেদিন প্রাথমিক শিক্ষকরা হকের দাবিতে আন্দোলন করবেন আর সামনে দাঁড়িয়ে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি সেদিন পূরন হবেই।
No comments