Header Ads

প্রাথমিকে ট্রান্সফারের নেপথ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন? বিস্ফোরক অভিযোগ। #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ প্রাথমিকে শিক্ষকদের ট্রান্সফার ইস্যুটি বর্ধমান জেলার সবচেয়ে জ্বলন্ত সমস্যা। বিশেষ করে জেলা ভাগের পর একটা বড়ো অংশ ট্রান্সফারের ব্যাপারে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। কিন্তু এবার যে অভিযোগ সামনে এল তা বিস্ফোরক! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের অভিযোগ "চেয়ারম্যান ট্রান্সফারের অ্যাপ্লিকেশন জমা নেন না, বলেন ট্রান্সফার বন্ধ আছে অথচ প্রতি ১৫ দিন অন্তর দেখি ২-৩ জন করে ঠিক ট্রান্সফার পেয়ে যাচ্ছেন।
চেয়ারম্যান নিজেই তাদের RELEASE দিচ্ছেন অথচ তিনি নাকি কিছুই জানেন না!" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকের অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পেরেছেন এই অনৈতিক ট্রান্সফারের মূলে রয়েছে টাকার খেলা! টাকার অঙ্ক নাকি কমপক্ষে ১ লাখ টাকা। ক্ষোভের সাথে শিক্ষক অভিযোগ করেছেন "এখনও শিক্ষকদের অনেকেই টাকা দিয়ে রেখেছেন শোনা যায়! সেই শিক্ষকদের নাকি কোনদিনই কোনও আন্দোলনে পাওয়া যায় না, যদি ট্রান্সফারটা আটকে যায়! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকের দাবি, "টাকার বিনিময়ে ট্রান্সফার যেন আমাদের জেলার মিথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার মুখেই কুলুপ।
DPSC ও বিকাশ ভবনের চক্কর কাটতে কাটতে অনেকেই অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন দালালদের কাছে যদিও সেটা যে জেনুইন হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। DPSC ও বিকাশ ভবন এই ব্যাপারে ট্রান্সফার প্রার্থীদেরও চরমভাবে হয়রান করে। এ বলে আমি জানিনা ওখানে যান, ওখানে বলে সেখানে যান। মাঝখানে পড়ে নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য জীবন, অসংখ্য পরিবার। ট্রান্সফার প্রার্থী দের জীবনের মূল্যবান সময় ও সম্পর্কগুলিতে চলে আসছে তিক্ততা। যদি কারো না হতো তাহলে ব্যাপারটা এতটা খারাপ লাগতো না কিন্তু যখনই বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জন ট্রান্সফার পাচ্ছেন অথচ চরম সংকট জনক অবস্থায় যারা পড়ে রয়েছেন-তারা পাচ্ছেন না তখনই মন ও শরীর ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে।"
নজরবন্দি-র পক্ষ থেকে এই অভিযোগের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করা হচ্ছে প্রশাসনের কাছে, আমরা চাই সত্য উজাগর হোক।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.