Header Ads

ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধি! সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করুন।

নজরবন্দি ব্যুরো: এবারের লোকসভা নির্বাচনে বড় রকমের ধাক্কা খায় তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। এর পর থেকে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। তৃণমূল সমর্থক থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা নাম লেখাতে শুরু করেন বিজেপিতে। এই ভাঙন আটকাতে যখন দলের অন্য নেতারা ব্যর্থ, তখন এই ভাঙন আটকাবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ছিল ২১ শে জুলাই। তৃণমূলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দিন। আর তার ঠিক পরের দিন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।


আজ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতের ৩ স্তর জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রামসভার প্রত্যেক সদস্যের এই ভাতা বৃদ্ধি করা হল।

আজ জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। পঞ্চায়েতের তিন স্তরের প্রতিনিধিরা যাতে করে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেন তারি নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরে এই বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন নেত্রী।

জেলা পরিষদের সভাপতিরা ৬০০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। এবার থেকে সেটা বাড়িয়ে ৯০০০টাকা করা হল। সহকারী সভাপতিরা পেতেন ৫০০০ টাকা ভাতা পেতেন। এবার বেড়ে দাঁড়াল ৮০০০ টাকা। কর্মাধ্যক্ষরা পেতেন ৪০০০ টাকা। বেড়ে হবে ৭০০০ টাকা। সাধারণ সদস্যরা ১৫০০০ টাকা পেতেন তা বেড়ে হবে ৫০০০ টাকা।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ৩৫০০ টাকা পেতেন। এবার বেড়ে হবে ৬০০০ টাকা। সহ সভাপতি ৩০০০ টাকা করে পেতেন, তা বেড়ে হবে ৫৫০০ টাকা।

কর্মাধ্যক্ষ পেতেন ২৫০০ টাকা। সেটা বেড়ে হবে ৫০০০। সাধারণ সদস্যদের ভাতা ১৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৩৫০০ টাকা।

গ্রামসভার প্রধানদের ভাতা ৩০০০ টাকা বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা হয়েছে। উপপ্রধানদের ভাতা ২০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০০ টাকা করা হয়েছে। উপসমিতির সঞ্চালকদের  ভাতা ১৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৮০০ টাকা করা হয়েছে। সাধারণ সদস্যদের ভাতা ১৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করা হয়েছে।

এই ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে কিছু সমালোচক সমালোচনা করলেও মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সমর্থন করছেন অনেকেই। তাদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ যদি আরও কিছু বছর আগে নিতেন তাহলে নেতদের মধ্যে কাটমানি নেবার প্রবণতা অনেক কমে যেত। রাজ্যের উন্নয়নের পথ আরও মসৃণ হত। তৃণমূল নেত্রীকে এই হারের মুখ দেখতে হত না।

পঞ্চায়েতের ত্রিস্তর জনপ্রতিনিধিদের সরকারি কর্মীদের সমান কাজ করতে হয়। অথচ ভাতার যা টাকা পান সেই টাকায় নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায় তাদের। এই কারণেই কাটমানি প্রবণতা চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
এনাদের ভাতা বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করেছেন। ভাতার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা করা উচিত ছিল। ৩ বা ৫ হাজার টাকায় এখন সংসার চলে না এটা সবার জানা।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.