বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোটে যা হয়েছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক: আদালত
নজরবন্দি ব্যুরো: আদালতে এর আগেও বহু বার মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের, এবার ফের বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট নিয়ে আদালতে সমালোচনার মুখে রাজ্য সরকার। বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট নিয়ে বিচারপতির প্রতিক্রিয়া, "এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক।" নিয়ম মেনে আস্থা ভোট সঠিক প্রক্রিয়া মেনে হয়নি। শুক্রবার এমনটাই জানাল হাইকোর্ট।
আজ সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলা। তাতেই এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।
বিচারপতি বলেন, বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট কোনও নিয়ম মেনে হয়নি। ওই ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত প্রতিফলিত হয়নি। যা গণতন্ত্রের পক্ষে খুব খারাপ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সম্প্রতি বেশকিছু অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বনগাঁর একদল কাউন্সিলর। এর পরই পুরপ্রধান শংকর আঢ্যকে সরাতে অনাস্থা আনে বিজেপি। পুরসভা দখলে রাখতে এরপর প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
আস্থাভোট ঘিরে ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা করে প্রশাসন। আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার বেলা ৩টেয়। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের অভিযোগ, ভোটাভুটির সময় পুরভবনের একটি ঘরে তাদের কাউন্সিলরদের রাখা হয়। অপহরণের মামলা রয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে ২ বিজেপি কাউন্সিলরকে পুরভবনে ঢুকতেই দেয়নি পুলিশ। বিজেপির দাবি, তাদের সঙ্গে রয়েছেন বনগাঁর ১১ জন কাউন্সিলর। অপরদিকে তৃণমূলের পক্ষে রয়েছেন ১০ জন। যার মধ্যে ১ জন কংগ্রেসের কাউন্সিলর। যদিও পরে তৃণমূলের তরফে বলা হয় গুণ্ডা এনে পুরসভা দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি।
আজ সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলা। তাতেই এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।
বিচারপতি বলেন, বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট কোনও নিয়ম মেনে হয়নি। ওই ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত প্রতিফলিত হয়নি। যা গণতন্ত্রের পক্ষে খুব খারাপ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সম্প্রতি বেশকিছু অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বনগাঁর একদল কাউন্সিলর। এর পরই পুরপ্রধান শংকর আঢ্যকে সরাতে অনাস্থা আনে বিজেপি। পুরসভা দখলে রাখতে এরপর প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

No comments