Header Ads

ছেলে ভোলানো ললিপপে খুশি নয় প্রাথমিক শিক্ষককুল। ২৪শে জুন শিক্ষক বিদ্রোহ রাজপথে।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ সরকারের একটি স্কেল বা একটি গ্রেড পে পরিবর্তনের ঘোষণায় মোটেও খুশি নয় রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষককুল। তারা তাদের ন্যায্য দাবী, সর্বভারতীয় যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক বেতন কাঠামো, থেকে একচুলও সরতে রাজী নন। এব্যাপারে UUPTWA এর সম্পাদিকা, পৃথা বিশ্বাস, এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, "আমরা আমাদের ন্যায্য দাবী থেকে এই ছেলে ভোলানো ললিপপ দেখে মোটেও সড়ছি না। আগামী 24 তারিখ আমাদের যে কর্মসূচি নেওয়া আছে তা হবেই। রাজ্যের সকল শিক্ষককে নিজের ন্যায্য পাওনা বুঝে নেওয়ার লড়াই এ সামিল হতে আহ্বান জানাই।"
রাজ্য কমিটির সদস্য মানস গোস্বামী, যিনি বর্তমানে প্রহিংসমূলক বদলীর শিকার হয়ে ভুটান সীমান্তের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছেন, সঙ্গে যোগাযোগ করলে উনি এই ঘোষণাকে গিমিক বলে জানান, "বেতন বাড়ালেই বা কি হয়েছে? আনন্দে লাফান সবাই! সব রাজ্যের সঙ্গে আমাদের বেতনের পার্থক্য এখন 26628 টাকা। সেখানে একটা গ্রেড পে বাড়ালে কয় টাকা বাড়বে জানেন? ৩০০ টাকা। আর সব মিলিয়ে মোটের উপর ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেতন বাড়বে। আর যদি পে স্কেল একটা বাড়ায়, তাহলে স্কেল হবে ৭১০০, ৩২০০ বা ৩৬০০। সেক্ষেত্রে বেতন বাড়বে ৩৫০০ টাকার মতন। এটাই কি আমাদের ন্যায্য পাওনা? আন্দোলন করে যখন সরকার কে এতটা হেলাতে পেরেছি আমাদের দাবীর পক্ষে, তাহলে আবার আন্দোলন করে পুরোটাই করতে পারব।" রাজ্য কমিটির আর এক সদস্য অনন্ত পাত্র জানান, "এটা আষাঢ় মাস, মানে অনেক আষাঢ় এ গল্প হবে, শুনবেন আনন্দ নিন, কিন্তু ডমরুধরকে ভুলে যাবেন না।" UUPTWA এর সভাপতি, সন্দীপ ঘোষ জানান, "আজ আমাদের ৮ সদস্যর প্রতিনিধি দল বিধানসভায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের আমাদের দাবিগুলি জানিয়ে এলাম। প্রায় ২৫০র উপর বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের হাতে সরাসরি আমাদের দাবিগুলি পেশ করলাম। ভালো লাগল শাসকদলের অনেক মন্ত্রী এবং বিধায়ক আমাদের দাবির যুক্তি মেনে নিলেন।
বিধানসভা থেকে বেরোনোর সময় আমাদের কিছু পরিচিত সাংবাদিক আমাদের ডেকে বললেন সরকার আমাদের দাবির কিছুটা মান্যতা দিয়ে  বেতন বাড়ানোর বিষয় ঘোষণা করবেন।
আমাদের সংগঠন পরিষ্কার জানাচ্ছে , যতক্ষণ অবধি না আমরা সরকারি কোন G.O. পাচ্ছি এবং আমাদের দাবিমত বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে ২৪শে জুনের মহামিছিল হচ্ছেই।" রাজ্য কমিটির সদস্য মনীশ মন্ডল জানান, "আমাদের অনৈতিক বদলীপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ফেরৎ না আনা পর্যন্ত আর পে কমিশনের আগে পে রিভিউ করে সঠিক বেতন কাঠামো চালু না করা পর্যন্ত আমরা কোনোমতেই দমব না।" অন্যান্য সমস্ত শিক্ষক সংগঠন এই সামান্য বেতন বৃদ্ধির ঘোষণাকে দয়ার দান বা ভিক্ষার সমতুল্য বলেই মনে করছে। অর্থাৎ আগামী ২৪ তারিখ কলকাতার রাজপথ আর এক শিক্ষক বিদ্রোহের স্বাক্ষী থাকতে চলেছে।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.