Header Ads

কাটমানি ফেরানোর আলাদা কাউন্টার নবান্নে? আসল তোলাবাজ মমতা! বিস্ফোরক সুজন।

নজরবন্দি ব্যুরো: তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের নেতাদের তোলাবাজির টাকা ফিরিয়ে দেবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সেই নির্দেশের পর রাজ্য জুড়ে তোলাবাজির টাকা উদ্ধার করতে উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূলের এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে! গতকাল নিজের বাড়িতে ঘেরাও হন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি।
বিরোধী দলের লোকের নন, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও করলেন তৃণমূল সমর্থকরাই। এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামে। সোমবারই নজরুল মঞ্চে দলীয় কাউন্সিলরদের সভায় তৃণমূল-নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোলাবাজির টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেন তাঁর দলের কর্মীদের। বলেন, কারও কাছ থেকে টানা নিয়ে থাকলে ফেরত দিয়ে দিন। নইলে দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত করবে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কাউন্সিলরদের জন্যই আমার এত বদনাম। তারপর দিন সকালেই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম বাউড়ির বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ইলামবাজারের শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য একাধিকবার কাটমানি খেয়েছেন এই নেতা।
ঘেরাও হয় স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি রাজীব আকুড়ের বাড়িও। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে দুবরাজপুরের রসুলপুরের কিছু মানুষ ১০০ দিনের প্রকল্পে তছরুপ করা  টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে দুবরাজপুরে পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্যের বাড়ি ঘেরাও করেন তারা।কিন্তু উত্তেজনা একটা সময় এমন চরম অবস্থায় পৌঁছয় যে, পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যের সাগরেদরা ছররা  গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতেই এক মহিলা-সহ ৫ জন জখম হন। তাঁদেরকে সিউড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
মুখ্যমন্ত্রীর তোলাবাজির টাকা ফেরানোর নির্দেশের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্যের সব থেকে বড় তোলাবাজ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, কাটমানির টাকা ফেরত দ্ওযায়ার জন্যে কি নবান্নে আলাদা কাউন্টার খোলা হবে? 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.