Header Ads

কামদুনির প্রতিবাদী শিক্ষক এবার তৃণমূলে!

নজরবন্দি ব্যুরো: কামদুনির প্রতিবাদী আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। আর সেই প্রতিবাদের কারণে রাজ্য সরকারের রোষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তিনি কামদুনির প্রতিবাদী শিক্ষক প্রদীপ মুখার্জি। সেই প্রদীপ-বাবু এবার তৃণমূলে নাম লেখাতে চলেছেন।
শাসকদলে যোগদানের আর্জি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি যান তিনি। সেখানে তৃণমূল-নেত্রীর হাতে চিঠি দিয়ে দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এই শিক্ষক।

২০১২ সালের ৭ জুন,  কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। কামদুনির প্রাচীর ঘেরা একটি জায়গায় তাকে গণ-ধর্ষণের পর নির্মম ভাবে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠে 'কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ'। মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিবাদী আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন কামদুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মুখার্জি এবং টুম্পা কয়াল ও মৌসুমি কয়াল। শাসকদলের চাপের কাছেও নতিস্বীকার করেননি তাঁরা। বরং আন্দোলনকে দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। আর এর জেরে সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল টুম্পা ও মৌসুমির পাশাপাশি পেশায় শিক্ষক প্রদীপ-বাবুকে। তাকে কামদুনির স্কুল থেকে বদলি করা হয়েছিল।
এবার কেন তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন তার উত্তরে ওই শিক্ষক বলেন, " বিজেপি-র মতো সাম্প্রদায়িক দল এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে ফল ভাল হবে না।  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেকথাই জানিয়েছি আমি। বলেছি, আপনার পাশে থেকে তৃণমূল দলের হয়ে কাজ করতে চাই। আমি এমাসেই চাকরি থেকে অবসর নেব। তখন হাতে অনেক সময় পাব এই দলের হয়ে কাজ করার জন্য। আমি একজন বিশ্বস্ত সৈনিকের মতো আপনার দলের সৈনিক হতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ও চিঠি দিয়ে আমি তাকে একথা জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দেখে বলেন, আপনি এসেছেন, দেখে খুব ভালো লাগছে । আমি চিঠি দেখে নিচ্ছি।"

যদিও কামদুনির আরও দুই প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল ও মৌসুমি কয়াল কোন দলে নাম লেখাচ্ছেন তা এখনও জানা যায় নি। 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.