'আপনারা দেখুন একটু। আমাদের সব পার্টি অফিস দখল করেছে বিজেপিঃ' জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

নজরবন্দি ব্যুরো: সালটা তখন ২০১০। টানা ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের শেষ হতে চলেছে। মূলত নন্দীগ্রামকে পুঁজি করে রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পেপার খুললেই চোখে পড়ে প্রায় প্রতিদিন একটার পর একটা সিপিআই(এম) এর পার্টি অফিসের দখল নিচ্ছে তৃণমূল। কোথাও বা বাম সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার প্রাক্তন বাম বিধায়কের গায়ে কাদা মাখিয়ে গ্রাম ঘোরান হচ্ছে। আর ওই সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী  বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য  যেখানেই গিয়েছেন সেখানে দেখান হয়েছে কালো পতাকা।
তার পর ২০১১ সালে রাজ্যের মসনদে বসে তৃনমূল কংগ্রেস।

মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখতে দেখতে প্রায় ৮ বছর সময় অতিক্রান্ত। রাজনীতির সমীকরণের পরিবর্তন এসেছে রাজ্যে। আর এবারের লোকসভা নির্বাচনে বেশ বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি।
২০১০-১১ সালের উল্টো ছবি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। একে একে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করছে বিজেপি। আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল সমর্থকরা। মনে হবে সেই ২০১১
সালের স্মৃতি যেন ফিরে এলো।

আজ কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক ছিল। সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ একাধিক হেভি-ওয়েট তৃণমূল নেতারা। তাঁদের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বৈঠক শেষে ফের জয় শ্রীরাম স্লোগানের মুখে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়।
তখন রাস্তায় সমবেত সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, "আপনারা দেখুন এই জায়গাটায় কি হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করে গেলাম। পার্টি অফিস সব দখল করেছে। আমাদের সব পার্টি অফিস দখল করেছে। প্রতিটা পার্টি অফিস দখল করেছে। সাধারণ মানুষকে করজোড়ে অনুরোধ করে গেলাম , আপনারা দেখুন। আর কিছু বলব না। সন্ত্রাস করছে, লুট করছে বিজেপি।

জ্যোতিপ্রিয় বাবুর এই কথা শুনে ওই এলাকার এক বাসিন্দার প্রতিক্রিয়া, " সময় বদলে গিয়েছে। তাই জ্যোতিপ্রিয় বাবুকে হাত জোড় করতে হচ্ছে।"